অন্য
কারও ত্বকে খুব ভালো কাজ করেছে শুনে নিজেও বাজার থেকে কিনে আনলেন একই
ক্রিম। ব্যবহারের পর ত্বক সুন্দর হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো মুখে লাল লাল
ফুসকুড়ি উঠে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেল। আর অমনি দোষ গিয়ে পড়ল সেই
প্রসাধনীর ওপর। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো, যার কথা শুনে এটি কিনেছিলেন,
তার ও আপনার ত্বকের ধরন কি এক কি না?
অনেক সময় না বুঝেই অনেক প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই সৌন্দর্যচর্চার যেকোনো সামগ্রী বেছে নেওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া দরকার। এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা শাকিল ও রাহিমা সুলতানা।
এখন প্রায় প্রতিটি ভালো প্রসাধনী পণ্যের গায়ে উল্লেখ করাই থাকে যে সেটি কোন ধরনের ত্বক বা চুলের জন্য উপযোগী। তবে তার আগে কোনো রূপবিশেষজ্ঞের কাছ থেকে নিজের ত্বক ও চুলের ধরন জেনে নেওয়া ভালো। ত্বক সাধারণত চার রকমের হয়ে থাকে-শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র ও সংবেদনশীল। ফেসওয়াশ, সাবান, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন লোশন থেকে শুরু করে মুখে ব্যবহারের মেকআপ-সামগ্রীও বাছাই করতে হবে ত্বকের ধরন বুঝে। তৈলাক্ত ত্বক এমনিতেই অনেক বেশি ঘামে, এই ধরনের ত্বকের জন্য পানিনির্ভর প্রসাধনী ভালো। শুষ্ক ত্বকে আবার এটি ভালো কাজে দেবে না। তাঁরা তেলনির্ভর প্রসাধনী বেছে নিতে পারেন।
সংবেদনশীল ত্বক যাঁদের, তাঁদের সবচেয়ে সাবধান হতে হবে। কোন কোন জিনিসগুলো ত্বকে সমস্যা করতে পারে, তা আগে জেনে নিয়ে সব সময় তা এড়িয়ে চলতে হবে। পণ্যের প্যাকেট থেকে সেটির উপাদানের নামগুলো কেনার আগেই দেখে নিন। অ্যালার্জি হতে পারে, এমন কোনো উপাদান এতে স্বল্পমাত্রায় থাকলেও তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। একই নিয়ম মেনে চলতে হবে চুলের প্রসাধনী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও। রুক্ষ চুলের জন্য যেই শ্যাম্পু ভালো, তা রেশমি চুলের জন্য উপকারী না-ও হতে পারে। অনেক সময় প্রসাধনী ঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারার কারণেও নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই জেনে নিতে হবে সঠিক ব্যবহারবিধি।
নতুন কোনো প্রসাধনী ত্বক ও চুলের সঙ্গে মানিয়ে যাবে কি না, তা ব্যবহারের আগে জানার নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। তাই আগেই বেশি পরিমাণে না কিনে বাজার থেকে সবচেয়ে ছোট কন্টেইনারটি কিনে তা কিছুদিন ব্যবহার করে দেখার পরামর্শ দেন রাহিমা সুলতানা। মুখে লাগানোর পর যদি ফুসকুড়ির মতো দেখা দেয়, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে সেদিন থেকেই পণ্যটির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে এটি বুঝতে দুই-তিন দিন সময় নেওয়া দরকার। চুল রুক্ষ হতে থাকলে, চুল পড়া বেড়ে গেলে বা খুশকি হলে সেই শ্যাম্পুও আর ব্যবহার করা উচিত হবে না।
একই নিয়ম মেনে চলতে হবে ভেষজ প্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। না বুঝেই মুখে ও চুলে কোনো প্যাক লাগিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না। ত্বক ও চুলের সঙ্গে মানিয়ে গেলে কেবল সেটা নিয়ম মেনে ব্যবহার করুন। মুখে লাগানোর আগে গলায় বা কানের পেছনে লাগিয়ে নিয়ে দেখতে পারেন ত্বকে কোনো জ্বালাপোড়া বা সমস্যা হচ্ছে কি না। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুরুতর পর্যায় ধারণ করলে দেরি না করে অবশ্যই অভিজ্ঞ কোনো চর্মরোগ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন ডেলটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান আয়েশা সিদ্দিকা।
অনেক সময় না বুঝেই অনেক প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই সৌন্দর্যচর্চার যেকোনো সামগ্রী বেছে নেওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া দরকার। এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা শাকিল ও রাহিমা সুলতানা।
এখন প্রায় প্রতিটি ভালো প্রসাধনী পণ্যের গায়ে উল্লেখ করাই থাকে যে সেটি কোন ধরনের ত্বক বা চুলের জন্য উপযোগী। তবে তার আগে কোনো রূপবিশেষজ্ঞের কাছ থেকে নিজের ত্বক ও চুলের ধরন জেনে নেওয়া ভালো। ত্বক সাধারণত চার রকমের হয়ে থাকে-শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র ও সংবেদনশীল। ফেসওয়াশ, সাবান, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন লোশন থেকে শুরু করে মুখে ব্যবহারের মেকআপ-সামগ্রীও বাছাই করতে হবে ত্বকের ধরন বুঝে। তৈলাক্ত ত্বক এমনিতেই অনেক বেশি ঘামে, এই ধরনের ত্বকের জন্য পানিনির্ভর প্রসাধনী ভালো। শুষ্ক ত্বকে আবার এটি ভালো কাজে দেবে না। তাঁরা তেলনির্ভর প্রসাধনী বেছে নিতে পারেন।
সংবেদনশীল ত্বক যাঁদের, তাঁদের সবচেয়ে সাবধান হতে হবে। কোন কোন জিনিসগুলো ত্বকে সমস্যা করতে পারে, তা আগে জেনে নিয়ে সব সময় তা এড়িয়ে চলতে হবে। পণ্যের প্যাকেট থেকে সেটির উপাদানের নামগুলো কেনার আগেই দেখে নিন। অ্যালার্জি হতে পারে, এমন কোনো উপাদান এতে স্বল্পমাত্রায় থাকলেও তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। একই নিয়ম মেনে চলতে হবে চুলের প্রসাধনী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও। রুক্ষ চুলের জন্য যেই শ্যাম্পু ভালো, তা রেশমি চুলের জন্য উপকারী না-ও হতে পারে। অনেক সময় প্রসাধনী ঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারার কারণেও নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই জেনে নিতে হবে সঠিক ব্যবহারবিধি।
নতুন কোনো প্রসাধনী ত্বক ও চুলের সঙ্গে মানিয়ে যাবে কি না, তা ব্যবহারের আগে জানার নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। তাই আগেই বেশি পরিমাণে না কিনে বাজার থেকে সবচেয়ে ছোট কন্টেইনারটি কিনে তা কিছুদিন ব্যবহার করে দেখার পরামর্শ দেন রাহিমা সুলতানা। মুখে লাগানোর পর যদি ফুসকুড়ির মতো দেখা দেয়, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে সেদিন থেকেই পণ্যটির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে এটি বুঝতে দুই-তিন দিন সময় নেওয়া দরকার। চুল রুক্ষ হতে থাকলে, চুল পড়া বেড়ে গেলে বা খুশকি হলে সেই শ্যাম্পুও আর ব্যবহার করা উচিত হবে না।
একই নিয়ম মেনে চলতে হবে ভেষজ প্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। না বুঝেই মুখে ও চুলে কোনো প্যাক লাগিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না। ত্বক ও চুলের সঙ্গে মানিয়ে গেলে কেবল সেটা নিয়ম মেনে ব্যবহার করুন। মুখে লাগানোর আগে গলায় বা কানের পেছনে লাগিয়ে নিয়ে দেখতে পারেন ত্বকে কোনো জ্বালাপোড়া বা সমস্যা হচ্ছে কি না। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুরুতর পর্যায় ধারণ করলে দেরি না করে অবশ্যই অভিজ্ঞ কোনো চর্মরোগ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন ডেলটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান আয়েশা সিদ্দিকা।