Fashion news - নতুন হয়ে উঠুন

সিঁথির পরিবর্তনেই অনেকখানি পাল্টে যাবে চেহারা,সব সময় যে পোশাক পরে আপনি স্বচ্ছন্দ তার একটু বদলও আনতে পারেন,অপু বিশ্বাসের পোশাকগুলোর নকশা করেছেন রামিম রাজচলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের মতো একদমই বদলে ফেলতে পারেন নিজের লুক     
 







‘দারুণ লাগছে তো তোমাকে, একদমই চেনা যাচ্ছে না’—এ ধরনের কথা শুনতে কার না ভালো লাগে? প্রতিদিন আয়নায় নিজেকে একই রকম দেখতে দেখতে একঘেয়ে লাগাটাই স্বাভাবিক। এটি কাটানোর জন্য মাঝেমধ্যে নিজেকে একটু উল্টেপাল্টে নেওয়া যেতেই পারে! সাজ ও পোশাকের সামান্য পরিবর্তনে যদি প্রিয় মানুষদের কাছে নতুন হয়ে ওঠার আনন্দও পাওয়া যায়, মন্দ কী! হেয়ারস্টাইল দিয়েই শুরু করতে পারেন। সব সময় যে স্টাইলে আপনি অভ্যস্ত, তা থেকে বেরিয়ে আসুন। সহজ একটি পন্থা হচ্ছে সিঁথির পরিবর্তন। ডান, বাম বা মাঝামাঝি, যেভাবে সব সময় আপনি সিঁথি করে থাকেন, সেটিকে পাল্টে ফেলুন। সিঁথি ছাড়াও মাঝেমধ্যে ভিন্নভাবে আঁচড়ে নিতে পারেন চুল। হেয়ারকাটের ক্ষেত্রে বেছে নিন বিপরীতধর্মী কোনো কাট। অর্থাৎ যে ধরনের কাট আপনি আগে কখনো করেননি, তেমন কিছু। তবে খেয়াল রাখবেন, সেটি যেন চেহারার সঙ্গে মানানসই হয়। খুব লম্বা চুল যাঁদের, তাঁরা যদি হঠাৎ ছোট করে কেটে ফেলেন, দেখবেন অনেক তরুণ লাগছে নিজেকে। কোঁকড়ানো চুল রিবন্ডিং করে সোজা করে নিতে পারেন। রিবন্ডিং না করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার আয়রন। এতে বেশ ভালো একটি পরিবর্তন আসবে চেহারায়।
ভূমিকা রাখতে পারে পোশাকও। সব সময় শাড়িতে অভ্যস্ত হলে মাঝেমধ্যে সালোয়ার-কামিজ পরলেই দেখবেন অন্য রকম লাগছে। এটি আসলে যেকোনো আউটফিটের ক্ষেত্রেই সত্যি। যে পোশাকে আপনাকে কখনো দেখা যায়নি, সেটি পরার মানেই হচ্ছে অন্য রকম লাগা। এমনকি রঙের ক্ষেত্রেও তাই। ধরুন, লাল, সবুজ, কমলা, হলুদ-এই ধাঁচের গাঢ় রংগুলোই আপনার প্রিয়। সাদা বা হালকা রং একেবারেই পরেন না। একদিন একটু পরে দেখুন তো, কেমন লাগে? আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, আপনার চেনা মানুষরা একবার হলেও ফিরে তাকাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হবে, অন্য কাউকে দেখছেন। কেন এটা আগে ট্রাই করিনি—এই ভেবে আফসোসও হতে পারে। পায়ে পরার জুতাও হতে পারে পরিবর্তনের বাহন। ফ্ল্যাট শুতে সব সময় স্বচ্ছন্দ হলে, একদিন উঁচু হিল পরে দেখুন। একটু লম্বা লাগবে, অন্য রকম একটা অনুভূতি পাবেন। ঠিক উল্টোটা হবে, যাঁরা হিল পরেন তাঁরা ফ্ল্যাট পরতে শুরু করলে।
 
ওজন কমলে বা বাড়লেও শারীরিক অবয়বে বিশাল একটি পরিবর্তন আসে। ‘তুমি একদম শুকিয়ে গেছ, সুন্দর লাগছে তোমাকে!’ যাঁদের একটু মোটার ধাত, তাঁরা জানেন এই বাক্যটি শুনলে কেমন আনন্দ হয়! আসলে গায়ের রং যেমনই হোক না কেন, পরিমিত ডায়েট, সঠিক ব্যায়াম এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে শারীরিক আকারটা সুন্দর রাখতে পারাটাই প্রধান কথা। সুস্থ থাকার জন্যও এটি ভীষণ জরুরি বলে আমার মনে হয়। তাই নজর দিন সেদিকে। একটু সচেতন হলেই সেটি অসম্ভব কিছু নয়।
একটা বয়সের পর আমরা অনেকেই সংসার এবং কাজের চাপে নিজের যত্ন নিতে ভুলে যাই। আবার কেউ কেউ স্বভাবগতভাবেই অসচেতন থাকেন নিজের প্রতি। লুক পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে নিজের প্রতি যত্নশীল হয়ে ওঠা। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন। যার ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন দীপ্তিতে প্রভাময় হয়ে উঠবে আপনার ত্বক। আর সাজের ক্ষেত্রে ছোটখাটো পরিবর্তনেও একদম পাল্টে ফেলা যায় নিজেকে। এমনকি ভ্রুর শেপে পরিবর্তন আনলেও চেহারা অন্য রকম মনে হয়। যাঁরা তেমন একটা সাজেন না বা সাজলেও হালকা রং ব্যবহার করেন, তাঁদের বলছি, গাঢ় লাল, কমলা, পার্পল—এসব ট্রেন্ডি রঙে মাঝেমধ্যে সেজে উঠুন। মেকআপে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে চেহারায় একধরনের তারুণ্য আসে, চনমনে লাগে।
মাঝেমধ্যে এসব ছোটখাটো পরিবর্তন আমাদের নিজেকে নতুনভাবে উপলব্ধির সুযোগ তৈরি করে দেবে। জীবনের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য যেটি ভীষণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চমৎকার একটি উদাহরণ হতে পারেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। নিজেকে তিনি যেভাবে পাল্টে ফেলেছেন, তা রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। এই পরিবর্তনের জন্য তিনি অনেক পরিকল্পনা করেছেন, সময় নিয়েছেন, ধৈর্য ধরে একাগ্রতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়েছেন, তবেই তা সম্ভব হয়েছে। কঠোর পরিশ্রম, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার—এই সবকিছুর জন্যই তাঁর এই দারুণ রূপ। যাঁকে দেখলে চমকে উঠতে হয়, এই কি সেই আগের অপু!
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts