Style news - ফুল দিয়ে যায় চেনা

বিদেশে গেলে এমন পোশাক পরেন ফাহমিদা নবী। ছবি: সুমন ইউসুফ

     
সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে নানা ধরনের ফুল গোঁজেন চুলে। স্মোকি চোখের সাজে তাঁকে দেখা যায় বেশির ভাগ সময়।
ফাহমিদা নবীর এই ফটোশুটের জন্য আমরা ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে গাড়ি এনে দাঁড় করালাম। ভুট্টা দেখে গাড়ির ভেতর থেকে প্রায় লাফিয়েই উঠলেন ফাহমিদা, বললেন, ‘আমি একটা পোড়ানো ভুট্টা খেতে চাই।’ মসলা দিয়ে একটা ভুট্টা পুড়িয়ে আনা হলো। ভুট্টার দানা মুখে পুরে বলতে লাগলেন, ‘আমার সম্বন্ধে জানতে চাইছিলেন না? এই হলাম আমি। এই পোড়ানো ভুট্টা বাসায় বসে খেলে একটুও মজা পাবে না। এই যে লোকজন (আশপাশের লোক দেখিয়ে), খোলা জায়গা, এর মধ্যে বসেই খেতে পারলে আসল স্বাদ পাবেন।’ মানুষের সঙ্গে মিশতে খুব ভালোবাসেন এই শিল্পী। বলেন, ‘এরই মধ্যে একটা নতুন ভূত মাথায় চেপেছে। সেটা হলো বিভিন্ন স্থানে একা একা ঘোরাফেরা করব, আর অচেনা লোকের সঙ্গে মিশব। তবে দেশে এটা পরিচিতির জন্য হয়তো সম্ভব হবে না। তাই বিদেশে গিয়ে এই কাজটা করতে চাই।’
দেশের বাইরে গেলে চেনা লোকজনও ভড়কে যেতে পারেন ফাহমিদাকে দেখে। কারণ, দেশের বাইরে গেলে তাঁর পোশাক বদলে যায়। এই সময়টা শার্ট আর জিনস পরেই বেশি সময় পার করেন। এ ছাড়া নানা ধরনের পশ্চিমা পোশাক পরেন সেখানে। গানের বাইরে আরও নানা পরিচয় মিলল ফাহমিদা নবীর। এই যেমন ক্যামেরা হাতে ছবি তুলতে বেরিয়ে পড়েন মাঝেমধ্যে। নানা ধরনের ছায়ার (শ্যাডো) ছবি তুলতে ভালোবাসেন। এ জন্য একটি নতুন ক্যামেরা কিনেছেন সম্প্রতি। আবার বাসায় যখন থাকেন তখন নানা ধরনের জিনিস দিয়ে ঘর সাজাতে ভালোবাসেন। নিজের ঘরের প্রতিটি কোণই সাজিয়েছেন যত্ন নিয়ে।
আজকাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন, শাড়ি সঙ্গে ফুল গোজা চাই
আজকাল একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর ফ্রেশ হয়ে খেতে খেতেই নানা ধরনের কাজ সারেন। কয়েক ঘণ্টা কাটে গানের সঙ্গে। বললেন, ‘রেকর্ডিং থাকলে সকালে বেরিয়ে পড়ি। আর যেদিন রেকর্ডিং থাকে না, সেদিন বিকেলে হাঁটতে যাই। বিকেলে ছাদে গিয়ে মেয়ের পোষা দুই খরগোশ রোজ ও স্নোর সঙ্গে দুষ্টুমিতে অনেকটা সময় কাটে আজকাল।’
বাসায় থাকলে সাধারণত একটু ঢিলেঢালা পোশাকই বেছে নেন। শীতে প্যান্ট-শার্টের ওপরে একটা সোয়েটার চাপান। তবে সবচেয়ে ভালোবাসেন শাড়ি পরতে। সংগ্রহে আছে নানা ধরনের দেশি শাড়ি। এর মধ্যে ফ্যাশন হাউস অরণ্যের শাড়িই বেশি পছন্দ করেন। অনুষ্ঠানের ধরন বুঝেই শাড়ি নির্বাচন করেন। দিনের বেলা সাধারণত সুতি শাড়ি পরেন। গানের অনুষ্ঠান থাকলে মিরপুরের কাতান পরতে ভালোবাসেন। শাড়ি যেমনই হোক না কেন, তাঁর কানে একটা ফুল না থাকলে ঠিক সাজটা পূর্ণতা পায় না বলে মনে করেন। তাই শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে নানা ধরনের ফুল পরেন কানে। চুলটা সব সময় খোলা রাখতে ভালোবাসেন। আর চোখের সাজে নানা ধরনের রং দিয়ে ‘স্মোকি আই’ করে ফেলেন। যেটা সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। বাসায় কোনো গেট-টুগেদার থাকলে সালোয়ার-কামিজই বেছে নিতে চেষ্টা করেন। কারণ, হোস্ট হিসেবে আড্ডার সঙ্গে নানা কিছু তদারক করতে হয় তখন। গয়নার মধ্যে মুক্তার জিনিসই বেশি পছন্দ। ভারী গয়না অবশ্য খুব একটা পরেন না। কানের দুলটা বেশি জমকালো হলে গলায় কিছু পরেন না। শাড়ি পরলে কপালে টিপ দিতে ভালোবাসেন।
কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেলে সাজগোজ নিয়ে ভাবতেন। তবে আজকাল সেটা বাদ দিয়েছেন। এখন তাঁর সাজ সবারই চেনা। তাই চেনা লুকেই থাকতে চান বলে জানালেন।
মেয়ের পোষা খরগোশ তাঁরও বন্ধু, ফুল ভালোবাসেন, প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা রেয়াজ করেন
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts