লম্বা,
এলোমেলো চুলগুলোকে গুছিয়ে এক জায়গায় নিয়ে আসা। অতীতে এ দেশে বেণি বা
খোঁপা করার উদ্দেশ্য মূলত ছিল এটাই। তখন অবশ্য এই দুই পদ্ধতিতেই চুল বাঁধা
হতো। ফ্যাশন ও স্টাইলিংয়ের বৈচিত্র্যে বদলে গেছে চুল বাঁধার ধরন-ধারণ।
বেণির কথাই ধরা যাক। বিভিন্ন ধরনের বেণির মাধ্যমে এক চেহারাতেই আনা যায়
ভিন্নধর্মী লুক। এ কারণেই খোঁপা, খোলা চুল, বেণি, ঝুঁটি—সব রকম চুলের
স্টাইলের মধ্যে এখন বেণির ব্যবহারই জনপ্রিয়।
এ দেশে একসময় সাধারণ বেণির বাইরে ফ্রেঞ্চ বেণি, খেজুর বেণি করা হতো। এইগুলোকেই স্টাইলিশ বেণি মনে করা হতো। একটু অগোছালো করে হালকা করে বেণি করাটা এখন সারা পৃথিবীতে খুব জনপ্রিয়। ওপর থেকে নিচের দিকে বেণি করার পদ্ধতি তো আছেই। পাশাপাশি নিচের দিক থেকে নিয়ে ওপর দিকে বেণি করা হচ্ছে। একদম ঘাড়ের কাছে নিচে থেকে ওপরে বেণি করে উঁচু করে খোঁপা করা হচ্ছে। এখন একদম সামনে থেকেও বেণি করা হচ্ছে। পুরো চুলে ব্যাককোম্ব করে বেণি করা হচ্ছে, যেটা আগে কখনোই ভাবা যেত না।
বেণি নিয়ে যত রকমভাবে খেলা করা যায়, রূপবিশেষজ্ঞরা তার সব রকম চেষ্টাই করছেন। রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘আগে কখনো চিন্তা করা যেত না যে পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে বেণি করা যায়। কিন্তু এখন দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গেও বেণি করা হচ্ছে অনায়াসে। সারা পৃথিবীতেই বেণির ওপর নানা রকম স্টাইলিং করা হচ্ছে। আমরাও এখন বেণির মাধ্যমে নতুন নতুন স্টাইল, লুক তৈরি করার চেষ্টা করছি। যতটুকু আমাদের জীবনযাপন, পোশাকের সঙ্গে যায়, ততটুকুই পাশ্চাত্য স্টাইল থেকে নিয়ে অনুসরণ করা হচ্ছে এখানে।’
লম্বা ও ভারী চুলের অধিকারীরা তো যেকোনো ধরনের বেণির স্টাইল করতে পারবেন। অসুবিধায় পড়েন পাতলা চুলের অধিকারীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁরা কখনোই আঁটসাঁট করে বেণি করবেন না। পুরো চুলকে ব্যাককোম্ব করে নিতে হবে আগে। এরপর আস্তে আস্তে ভাগ করে করে বেণি করে ফেলুন। হালকা ও ঢিলা করে বেণি করতে হবে। একটু অগোছালো ভাব থাকলেই বরং ভালো।
সামনের কিছুটা চুল নিয়ে এক পাশে সিঁথি করুন। এই চুলগুলো হালকাভাবে পেঁচিয়ে কানের পাশ দিয়ে নিয়ে আটকে নিন। বাকি চুলগুলো ব্যাককোম্ব করে পেছনে নিয়ে যান। এবার নিচু করে এক পাশে খেজুর বেণিটি করে ফেলুন। দাওয়াতে ভালো দেখাবে।
সামনের দিকে যাঁদের চুল ছোট কিংবা ব্যাং করা, তাঁরা এটা করে দেখতে পারেন। ব্যাং করা চুলগুলোকে ছেড়েও রাখতে পারেন। সম্ভব হলে ক্লিপ দিয়ে আটকেও নিতে পারেন। এবার যেকোনো একটি পাশে সিঁথি থেকে বেণি করা শুরু করুন। কানের পাশ দিয়ে নিয়ে খোঁপার চারপাশে আটকে দিন। মাথার ওপরের অংশের চুলগুলোকে হালকা ব্যাককোম্ব করে নিতে পারেন।
যাঁদের চুল কম, তাঁদের জন্য এই বেণিটা আদর্শ। খুব গুছিয়ে না বেঁধে একটু এলোমেলোভাবেই করতে হবে এটি। সিঁথির দুই পাশের চুলে দুই থেকে তিনটি করে টুইস্ট তৈরি করে অর্থাৎ পেঁচিয়ে কানের পাশ দিয়ে আটকে নিন ক্লিপের সাহায্যে। সিঁথি যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে ব্যাককোম্ব করে চুলগুলোকে একটু ফুলিয়ে নিয়ে নিচু করে এক পাশে হালকা ও এলোমেলো বেণি করে নিন।
একদম কপাল বরাবর থেকে চুল নিয়ে দুই পাশে দুটি বেণি করুন। বেণিগুলো ওপর থেকে কানের পাশ দিয়ে নিচের দিকে চলে যাবে। সামনের সিঁথিটি চাইলে মাঝেও করতে পারেন অথবা এক পাশেও করতে পারেন। সিঁথির শেষ প্রান্ত থেকে ব্যাককোম্ব চুলগুলো পেছনে নিয়ে এসে খোঁপা করে ফেলুন। বেণি দুটি খোঁপার চারপাশ দিয়ে পেঁচিয়ে আটকে দিন।
চুলের ওপরের অংশে মাঝে, ডান দিকে, বাঁ দিকে মোট তিনটি ফ্রেঞ্চ বেণি করুন। এই তিনটি ফ্রেঞ্চ বেণি নিচের অংশে এসে সাধারণ বেণিতে রূপ নিয়ে নেবে। নিচের অংশে এসে যতগুলো ইচ্ছা বেণি করতে পারেন। চাইলে রঙিন কৃত্রিম চুল লাগিয়ে নিতে পারেন। দেখতে ভালো লাগবে। এটা কম বয়সীদের বেশি মানাবে।
এ দেশে একসময় সাধারণ বেণির বাইরে ফ্রেঞ্চ বেণি, খেজুর বেণি করা হতো। এইগুলোকেই স্টাইলিশ বেণি মনে করা হতো। একটু অগোছালো করে হালকা করে বেণি করাটা এখন সারা পৃথিবীতে খুব জনপ্রিয়। ওপর থেকে নিচের দিকে বেণি করার পদ্ধতি তো আছেই। পাশাপাশি নিচের দিক থেকে নিয়ে ওপর দিকে বেণি করা হচ্ছে। একদম ঘাড়ের কাছে নিচে থেকে ওপরে বেণি করে উঁচু করে খোঁপা করা হচ্ছে। এখন একদম সামনে থেকেও বেণি করা হচ্ছে। পুরো চুলে ব্যাককোম্ব করে বেণি করা হচ্ছে, যেটা আগে কখনোই ভাবা যেত না।
বেণি নিয়ে যত রকমভাবে খেলা করা যায়, রূপবিশেষজ্ঞরা তার সব রকম চেষ্টাই করছেন। রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘আগে কখনো চিন্তা করা যেত না যে পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে বেণি করা যায়। কিন্তু এখন দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গেও বেণি করা হচ্ছে অনায়াসে। সারা পৃথিবীতেই বেণির ওপর নানা রকম স্টাইলিং করা হচ্ছে। আমরাও এখন বেণির মাধ্যমে নতুন নতুন স্টাইল, লুক তৈরি করার চেষ্টা করছি। যতটুকু আমাদের জীবনযাপন, পোশাকের সঙ্গে যায়, ততটুকুই পাশ্চাত্য স্টাইল থেকে নিয়ে অনুসরণ করা হচ্ছে এখানে।’
লম্বা ও ভারী চুলের অধিকারীরা তো যেকোনো ধরনের বেণির স্টাইল করতে পারবেন। অসুবিধায় পড়েন পাতলা চুলের অধিকারীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁরা কখনোই আঁটসাঁট করে বেণি করবেন না। পুরো চুলকে ব্যাককোম্ব করে নিতে হবে আগে। এরপর আস্তে আস্তে ভাগ করে করে বেণি করে ফেলুন। হালকা ও ঢিলা করে বেণি করতে হবে। একটু অগোছালো ভাব থাকলেই বরং ভালো।
সামনের কিছুটা চুল নিয়ে এক পাশে সিঁথি করুন। এই চুলগুলো হালকাভাবে পেঁচিয়ে কানের পাশ দিয়ে নিয়ে আটকে নিন। বাকি চুলগুলো ব্যাককোম্ব করে পেছনে নিয়ে যান। এবার নিচু করে এক পাশে খেজুর বেণিটি করে ফেলুন। দাওয়াতে ভালো দেখাবে।
সামনের দিকে যাঁদের চুল ছোট কিংবা ব্যাং করা, তাঁরা এটা করে দেখতে পারেন। ব্যাং করা চুলগুলোকে ছেড়েও রাখতে পারেন। সম্ভব হলে ক্লিপ দিয়ে আটকেও নিতে পারেন। এবার যেকোনো একটি পাশে সিঁথি থেকে বেণি করা শুরু করুন। কানের পাশ দিয়ে নিয়ে খোঁপার চারপাশে আটকে দিন। মাথার ওপরের অংশের চুলগুলোকে হালকা ব্যাককোম্ব করে নিতে পারেন।
যাঁদের চুল কম, তাঁদের জন্য এই বেণিটা আদর্শ। খুব গুছিয়ে না বেঁধে একটু এলোমেলোভাবেই করতে হবে এটি। সিঁথির দুই পাশের চুলে দুই থেকে তিনটি করে টুইস্ট তৈরি করে অর্থাৎ পেঁচিয়ে কানের পাশ দিয়ে আটকে নিন ক্লিপের সাহায্যে। সিঁথি যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে ব্যাককোম্ব করে চুলগুলোকে একটু ফুলিয়ে নিয়ে নিচু করে এক পাশে হালকা ও এলোমেলো বেণি করে নিন।
একদম কপাল বরাবর থেকে চুল নিয়ে দুই পাশে দুটি বেণি করুন। বেণিগুলো ওপর থেকে কানের পাশ দিয়ে নিচের দিকে চলে যাবে। সামনের সিঁথিটি চাইলে মাঝেও করতে পারেন অথবা এক পাশেও করতে পারেন। সিঁথির শেষ প্রান্ত থেকে ব্যাককোম্ব চুলগুলো পেছনে নিয়ে এসে খোঁপা করে ফেলুন। বেণি দুটি খোঁপার চারপাশ দিয়ে পেঁচিয়ে আটকে দিন।
চুলের ওপরের অংশে মাঝে, ডান দিকে, বাঁ দিকে মোট তিনটি ফ্রেঞ্চ বেণি করুন। এই তিনটি ফ্রেঞ্চ বেণি নিচের অংশে এসে সাধারণ বেণিতে রূপ নিয়ে নেবে। নিচের অংশে এসে যতগুলো ইচ্ছা বেণি করতে পারেন। চাইলে রঙিন কৃত্রিম চুল লাগিয়ে নিতে পারেন। দেখতে ভালো লাগবে। এটা কম বয়সীদের বেশি মানাবে।
কপালের মাঝ বরাবর চুলগুলোকে ব্যাককোম্ব করে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। এবার
দুই কানের ওপরের চুলগুলোকে নিচ থেকে ওপরের দিকে নিয়ে আঁচড়ে নিন। দুই পাশে
নিচ থেকে ওপরের দিকে বেণি করা শুরু করুন। বাকি চুলগুলোকে উঁচু করে খোঁপা
করে ফেলুন। এবার দুই পাশের দুটি বেণি খোঁপার ওপর দিয়ে আড়াআড়ি করে নিয়ে
আটকে দিন।
এক পাশে সিঁথি করতে হবে। এবার একদম সামনে থেকেই হালকাভাবে সাধারণ বেণি
করুন। পেছনে নিয়ে আটকে দিন। নিচের চুল খোলাই রাখুন। যাঁদের ছোট চুল, তাঁরা
এটা করে দেখতে পারেন।
মাঝে অথবা এক পাশে সিঁথি করে নিন। দুই কানের পাশ দিয়ে হালকাভাবে
পেঁচিয়ে চুলগুলো ক্লিপ দিয়ে পেছনে আটকান। মাথার ওপরের অংশের চুলকে
ব্যাককোম্ব করে নিন। পেছনের চুল খুব ভালোভাবে আঁচড়ে নিচু করে তিনটি খেজুর
বেণি করুন। তিনটি খেজুর বেণিকে এবার একসঙ্গে নিয়ে এসে একটি বেণিতে রূপ
দিন।