কর্মময়
ব্যস্ত দিন পার করে মানুষ ঘরে ফিরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। চাকরিজীবী বা
ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী বা গৃহিণী—সবারই থাকে ঘরে ফেরার তাগিদ। ঘরই যেহেতু
শান্তির আশ্রয়স্থল, তাই ঘরের পরিবেশ যাতে সুন্দর থাকে, সেদিকে আলাদা নজর
দিতে হবে। গোছানো ও সুন্দর ঘরের জন্য অনেক বেশি আসবাবের দরকার নেই; যা আছে,
সেগুলো ভালো করে গুছিয়ে যথাস্থানে সাজিয়ে রাখা যায় তাহলেই হলো।
ভারী আসবাব সব ঘরেই কমবেশি থাকে। আর এখন সবাই আগের চেয়ে বেশি ফ্যাশনসচেতন। ভারী আসবাব এখন প্রয়োজন পূরণের পাশাপাশি ঘর সাজানোর অনুষঙ্গের মতোও ব্যবহূত হয়। ভারী আসবাব রাখার ক্ষেত্রে তাই একটু যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। যেহেতু বারবার সরানো যায় না তাই একটু ভেবে ও সময় নিয়েই এগুলো গুছিয়ে রাখুন।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ফারজানা বলছিলেন, এখনো চলছে বিয়ের মৌসুম। আর নতুন সংসারে কমবেশি ভারী আসবাব কেনা হবেই। তা ছাড়া যাঁরা ভারী আসবাব সুন্দর করে সাজানোর কথা ভাবছেন, তাঁরা কোন জায়গায় কীভাবে এগুলো রাখবেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন ফারজানাস ব্লিসের এই ডিজাইনার।
ফারজানা গাজীর পরামর্শ১. প্রয়োজনের জন্যই মূলত ভারী আসবাব কেনা হয়। তাই প্রথমেই আপনার সুবিধার কথা বিবেচনা করে একটি সুবিধাজনক জায়গায় সেগুলো রাখুন।
২. শোয়ার ঘরের আসবাব যেমন—খাট, ড্রেসিং টেবিল, আলমারি ইত্যাদি সাজানোর ক্ষেত্রে এখন ইংরেজি বর্ণ ‘এল’ (L) বা ‘ইউ’ (U) আকৃতি খুব জনপ্রিয়। এভাবে সাজালে ঘরের পরিসর বেশ বড় দেখাবে।
৩. শোয়ার ঘরে খাট এক দিকে দেয়ালের পাশে রাখতে পারেন। খাটের পাশেই রাখুন ড্রেসিং টেবিল। খুব বেশি সমস্যা না হলে ড্রেসিং টেবিল খাটের বিপরীত দিকে না রাখাই ভালো।
৪. ড্রেসিং টেবিল রাখার ক্ষেত্রে একটু বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। এমন স্থানে এটি রাখুন, যাতে আয়নায় বাইরে থেকে শোয়ার ঘরের ভেতরটা না দেখা যায়।
ভারী আসবাব সব ঘরেই কমবেশি থাকে। আর এখন সবাই আগের চেয়ে বেশি ফ্যাশনসচেতন। ভারী আসবাব এখন প্রয়োজন পূরণের পাশাপাশি ঘর সাজানোর অনুষঙ্গের মতোও ব্যবহূত হয়। ভারী আসবাব রাখার ক্ষেত্রে তাই একটু যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। যেহেতু বারবার সরানো যায় না তাই একটু ভেবে ও সময় নিয়েই এগুলো গুছিয়ে রাখুন।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ফারজানা বলছিলেন, এখনো চলছে বিয়ের মৌসুম। আর নতুন সংসারে কমবেশি ভারী আসবাব কেনা হবেই। তা ছাড়া যাঁরা ভারী আসবাব সুন্দর করে সাজানোর কথা ভাবছেন, তাঁরা কোন জায়গায় কীভাবে এগুলো রাখবেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন ফারজানাস ব্লিসের এই ডিজাইনার।
ফারজানা গাজীর পরামর্শ১. প্রয়োজনের জন্যই মূলত ভারী আসবাব কেনা হয়। তাই প্রথমেই আপনার সুবিধার কথা বিবেচনা করে একটি সুবিধাজনক জায়গায় সেগুলো রাখুন।
২. শোয়ার ঘরের আসবাব যেমন—খাট, ড্রেসিং টেবিল, আলমারি ইত্যাদি সাজানোর ক্ষেত্রে এখন ইংরেজি বর্ণ ‘এল’ (L) বা ‘ইউ’ (U) আকৃতি খুব জনপ্রিয়। এভাবে সাজালে ঘরের পরিসর বেশ বড় দেখাবে।
৩. শোয়ার ঘরে খাট এক দিকে দেয়ালের পাশে রাখতে পারেন। খাটের পাশেই রাখুন ড্রেসিং টেবিল। খুব বেশি সমস্যা না হলে ড্রেসিং টেবিল খাটের বিপরীত দিকে না রাখাই ভালো।
৪. ড্রেসিং টেবিল রাখার ক্ষেত্রে একটু বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। এমন স্থানে এটি রাখুন, যাতে আয়নায় বাইরে থেকে শোয়ার ঘরের ভেতরটা না দেখা যায়।
৫. ড্রয়িংরুমের পরিসর যদি বড় হয়, তাহলে কারুকার্যময় বড় কাঠের বা চামড়ার
সোফা ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু ছোট পরিসরের ড্রয়িংরুমের জন্য যথাসম্ভব কম
ডিজাইনের সোফা ব্যবহার করুন। সোফা এমন ভাবে রাখুন, যাতে খুব সহজেই তা
পরিষ্কার করতে পারেন।
৬. আপনার ঘরে যদি এমন পুরোনো আসবাব থাকে যা আপনি ব্যবহার করছেন না,
তাহলে তা যেনতেনভাবে না রেখে স্টোর রুমে রাখতে পারেন। স্টোর রুম না থাকলে
সুন্দর করে বার্নিশ করে ঘরের যেকোনো ফাঁকা জায়গায় বসিয়ে দিতে পারেন।
৭. এখন ট্রাংক ও স্টিলের আলমারির ব্যবহার প্রায় উঠেই গেছে। তার পরও
আপনার ঘরে ট্রাংক থাকলে তা বোঝা ভাবার কোনো কারণ নেই। অনেকেই ট্রাংক ‘রিকশা
পেইন্ট’ করে ঘরে সাজিয়ে রাখে। নতুনত্ব আনার ক্ষেত্রে আপনিও এটি করতে
পারেন।
৮. দুজনের সংসার হলে টেলিভিশন বেডরুমেই রাখতে পারেন। ঘরের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে ড্রয়িংরুমে রাখা যেতে পারে।
যেভাবেই ভারী আসবাব রাখুন না কেন, একসঙ্গে গাদাগাদি করে কিছু রাখবেন না।
এতে ঘরে আলো-বাতাস ঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারবে না এবং ঘরের পরিবেশও
স্যাঁতসেঁতে থাকবে। নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং যত্ন নিন।
কেনাকাটা
বছরজুড়ে নানা সময়ে কিছু না কিছু ভারী আসবাব কেনা হয়েই থাকে। তাই জেনে
নিন কোথা থেকে কিনবেন এসব আসবাব। অটবিতে সোফা, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার,
আলমারি, খাট প্রভৃতি আসবাব কিনতে পাওয়া যাবে। দাম নির্ভর করবে আসবাবের আকার
ও তৈরির উপকরণের ওপর। যেমন কাঠের ড্রেসিং টেবিলের দাম ১৩ হাজার থেকে ৬২
হাজার টাকা। বোর্ডের ড্রেসিং টেবিলের দাম পড়বে সাত হাজার থেকে ১৫ হাজার
টাকা পর্যন্ত। কাঠের তৈরি ডাবল সিটের সোফার দাম পড়বে ২৪ হাজার থেকে ৩৫
হাজার টাকা। সিঙ্গেল সিটের সোফার দাম ২৫ হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকা।
এ ছাড়া পছন্দমতো ডিজাইনের আসবাব বানিয়েও নিতে পারেন বিভিন্ন ফার্নিচারের দোকান থেকে। খরচ নির্ভর করবে কাঠের ধরন, ডিজাইন ও সাইজের ওপর