দেশের
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো সারা বছরই নানা ধরনের
প্রকল্প ও গবেষণা পরিচালনা করে থাকে। এসব প্রকল্প ও গবেষণায় প্রয়োজন হয়
তথ্য সংগ্রাহক বা গবেষণা সহকারীর। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত গবেষণা সহকারী
হিসেবে সদ্য স্নাতক পাস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়ে
থাকে।
গবেষণা সহকারী হিসেবে খণ্ডকালীন এসব কাজ ভবিষ্যতে জীবনবৃত্তান্তে অভিজ্ঞতা হিসেবেও মূল্যবান হতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগের পর সাধারণত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তাই গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করতে চাইলে পূর্বাভিজ্ঞতার চেয়ে আগ্রহ, উৎসাহ ও একাগ্রতা জরুরি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ সাধারণত স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালের প্রথম দুই মাসে তাদের বিভিন্ন প্রকল্পে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে গবেষণা সহকারী হিসেবে খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়েছে।
জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণা সমন্বয়ক আফজাল আফতাব বলেন, ‘খণ্ডকালীন কাজের জন্য আমরা সাধারণত উদ্যমী ও মানুষের সঙ্গে সহজে মিশতে পারে—এমন ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণ করতে আগ্রহী ও দুর্গম এলাকায় গিয়ে থাকতে পারবে—এমন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি।’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়েছেন মিঠুন সরকার ও তাঁর চার বন্ধু। বর্তমানে এক মাসের জন্য তাঁরা কাজ করছেন জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি প্রকল্পে। তাঁরা জানালেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই এর আগে কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল প্রকাশিত না হওয়ায় এখন খণ্ডকালীন এই কাজ করছেন। নিজেদের জীবনবৃত্তান্তে এই চাকরির অভিজ্ঞতা বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।
কারা করতে পারেন
সম্মান বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ালেখা করছেন কিংবা সদ্য পাস করেছেন—এমন শিক্ষার্থীরা কাজ করতে পারেন। নির্দিষ্ট কোনো অভিজ্ঞতার দরকার না হলেও নৃবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পান। তবে মাঠপর্যায়ে গবেষণার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজের সুযোগ যেকোনো বিষয়ের শিক্ষার্থীর রয়েছে। সম্মান বা স্নাতকোত্তরের শিক্ষাসূচিতে গবেষণা পদ্ধতি (রিসার্চ মেথোডলজি) বিষয় আছে—এমন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের ভালো সুযোগ আছে।
কাজের ধরন
গবেষণা সহকারী হিসেবে নানা রকমের কাজ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে
বিভিন্ন ধরনের জরিপের কাজ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গবেষণার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ, গভীর সাক্ষাৎকার (ইনডেফথ ইন্টারভিউ), দলগত আলোচনা (ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন) বা বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে অনুবাদক হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে। এসব কাজ সাধারণত মাঠপর্যায়ে গিয়ে বেশি করতে হয়।
কাজের মেয়াদ ও বেতন
গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজের মেয়াদ কমপক্ষে তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে। গবেষণা সহকারীর বেতন সাধারণত দৈনিক হিসেবে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বেতনের পরিসীমা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান এবং কাজের ধরনের ওপর। দৈনিক বেতনের পরিমাণ এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এ ছাড়া কাজের প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ে যেতে হলে প্রতিষ্ঠান ভ্রমণ ও থাকা-খাওয়ার খরচও দিয়ে থাকে। ঢাকার ভেতরে হলে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ভ্রমণ ও খাওয়ার খরচ দিয়ে থাকে।
খোঁজ পাবেন কীভাবে
প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বা চাকরিবিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোতে গবেষণা সহকারীর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রার্থী বাছাই ও নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে থাকে বলে নিয়মিত খোঁজ রাখতে হয়।
গবেষণা সহকারী হিসেবে খণ্ডকালীন এসব কাজ ভবিষ্যতে জীবনবৃত্তান্তে অভিজ্ঞতা হিসেবেও মূল্যবান হতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগের পর সাধারণত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তাই গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করতে চাইলে পূর্বাভিজ্ঞতার চেয়ে আগ্রহ, উৎসাহ ও একাগ্রতা জরুরি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ সাধারণত স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালের প্রথম দুই মাসে তাদের বিভিন্ন প্রকল্পে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে গবেষণা সহকারী হিসেবে খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়েছে।
জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণা সমন্বয়ক আফজাল আফতাব বলেন, ‘খণ্ডকালীন কাজের জন্য আমরা সাধারণত উদ্যমী ও মানুষের সঙ্গে সহজে মিশতে পারে—এমন ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণ করতে আগ্রহী ও দুর্গম এলাকায় গিয়ে থাকতে পারবে—এমন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি।’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়েছেন মিঠুন সরকার ও তাঁর চার বন্ধু। বর্তমানে এক মাসের জন্য তাঁরা কাজ করছেন জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি প্রকল্পে। তাঁরা জানালেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই এর আগে কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল প্রকাশিত না হওয়ায় এখন খণ্ডকালীন এই কাজ করছেন। নিজেদের জীবনবৃত্তান্তে এই চাকরির অভিজ্ঞতা বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।
কারা করতে পারেন
সম্মান বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ালেখা করছেন কিংবা সদ্য পাস করেছেন—এমন শিক্ষার্থীরা কাজ করতে পারেন। নির্দিষ্ট কোনো অভিজ্ঞতার দরকার না হলেও নৃবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পান। তবে মাঠপর্যায়ে গবেষণার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজের সুযোগ যেকোনো বিষয়ের শিক্ষার্থীর রয়েছে। সম্মান বা স্নাতকোত্তরের শিক্ষাসূচিতে গবেষণা পদ্ধতি (রিসার্চ মেথোডলজি) বিষয় আছে—এমন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের ভালো সুযোগ আছে।
কাজের ধরন
গবেষণা সহকারী হিসেবে নানা রকমের কাজ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে
বিভিন্ন ধরনের জরিপের কাজ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গবেষণার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ, গভীর সাক্ষাৎকার (ইনডেফথ ইন্টারভিউ), দলগত আলোচনা (ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন) বা বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে অনুবাদক হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে। এসব কাজ সাধারণত মাঠপর্যায়ে গিয়ে বেশি করতে হয়।
কাজের মেয়াদ ও বেতন
গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজের মেয়াদ কমপক্ষে তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে। গবেষণা সহকারীর বেতন সাধারণত দৈনিক হিসেবে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বেতনের পরিসীমা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান এবং কাজের ধরনের ওপর। দৈনিক বেতনের পরিমাণ এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এ ছাড়া কাজের প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ে যেতে হলে প্রতিষ্ঠান ভ্রমণ ও থাকা-খাওয়ার খরচও দিয়ে থাকে। ঢাকার ভেতরে হলে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ভ্রমণ ও খাওয়ার খরচ দিয়ে থাকে।
খোঁজ পাবেন কীভাবে
প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বা চাকরিবিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোতে গবেষণা সহকারীর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রার্থী বাছাই ও নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে থাকে বলে নিয়মিত খোঁজ রাখতে হয়।