Lifestyle news - পরি লাল শাড়ি খয়েরি টিপ

গাঢ় লাল রঙের শাড়ি শাহীন সামাদের প্রিয়। ছবি: সুমন ইউসুফ
নজরুলসংগীতশিল্পী শাহীন সামাদ। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। চোখে কাজল ও কপালে লাল খয়েরি টিপ পরতে ভালোবাসেন। তারুণ্যের মাপকাঠি যে বয়স নয়, সেটা যেন স্পষ্ট তাঁর জীবনযাপনে। একটা মিষ্টি হাসি লেগে থাকে ঠোঁটের কোণে। প্রাণবন্ত এই মানুষকে দেখে কেউ কি বলবে, বয়স তাঁর তেষট্টির ঘরে! তিনি সংগীতশিল্পী শাহীন সামাদ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শিল্পী ভোরে ঘুম থেকে উঠে মেডিটেশন ও ইয়োগা করেন। এরপর হাঁটতে বের হন। বললেন, ‘আমার সময়গুলো ছকে বাঁধা। সকালের স্নিগ্ধতা আমার দিনটা সুন্দর করে দেয়। সারা দিনের জন্য সকালেই তৈরি হই।’
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় তিনি রেয়াজ করেন। সময় পেলে চোখ বোলান টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠানগুলোতে। বাইরে হাঁটতে বা বাসার সময়টুকুতে তিনি সালোয়ার–কামিজ পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে তাঁর প্রিয় পোশাক শাড়ি। গাঢ় লাল তাঁর খুব পছন্দের রং হলেও পছন্দের তালিকায় রয়েছে, ম্যাজেন্টা, খয়েরি, কালো ও নীল। শাড়ির মধ্যে রাজশাহী ও মিরপুর সিল্কের শাড়ি বেশি পরেন।
আর শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরেন হাত, কান আর গলার গয়না। শাহীন সামাদ বলেন, ‘গয়নার প্রতি বাড়তি দুর্বলতা নেই, যতটুকু পরলে সুন্দর লাগে, ততটুকুই পরি।’ তবে দুর্বলতা আছে চোখে কাজল ও কপালে টিপ পরার ব্যাপারে। আর খোঁপায় তাঁর বেলি ফুল বা গোলাপ শোভা পায় সব সময়ই। হালকা মেকআপ নেন নিজে নিজেই। সুগন্ধি, লিপস্টিক থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন নামী ব্র্যান্ডের।
সাজসজ্জার বিষয়ে নমনীয় হলেও ভোজনের ব্যাপারে তিনি সব সময়ই বেশ কড়া। পুরোপুরি নিরামিষাশী হতে না পারলেও এড়িয়ে চলেন মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবার। এখনো বাসায় বিশেষ আয়োজন হলে নিজেই ঢুকে যান রান্নাঘরে।
গানের মানুষ তিনি। তাই প্রিয় শিল্পীদের সিডি নিয়ে গড়ে তুলেছেন সংগ্রহশালা। নেতিবাচক খবর এড়িয়ে চলার কৌশল হিসেবে পত্রিকায় চোখ বোলান কম। তবে বই বা সাময়িকী পড়েন সময় পেলেই। ‘ছোট গল্প ভালো লাগে। সর্বশেষ আমি হুমায়ূন আহমেদের বই পড়েছি। গাড়িতে তো বেশ সময় চলে যায়, সেই সময়টুকু বই পড়ে বা গান শুনে কাটিয়ে দিই।’
এ ছাড়া প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্কাইপে কথা বলেন বিদেশে থাকা দুই মেয়ের সঙ্গে। আর দুই নাতনির মুখ না দেখলে তো দিনটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায় শাহীন সামাদ ও আবদুস সামাদ দম্পতির। মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে বছরে বেশ কয়েকবার উড়াল দেন বিদেশে। ‘আমার বড় মেয়ে পরিবার নিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রে আর ছোট মেয়ে পড়ছে যুক্তরাজ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশে ওদের খুব কম আসা হয়। তাই আমরাই চলে যাই ওদের কাছে’, বলেন শাহীন সামাদ। এভাবেই কাটে তাঁর দিন।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts