এটা
খেলে অ্যাসিড হয়, ওটা খেলে আবার কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না। যাঁদের হজমে
সমস্যা, তাঁরা নানা রকম বাছবিচার করতেই থাকেন। কেউ দুধ খান না, কেউ বাদ দেন
সব রকমের শাকসবজি, কেউ আবার মসলা বাদ দিয়ে আলাদা রান্না করেন। কিন্তু
পেটের সমস্যা সমাধানের এসব চেষ্টা কি বিজ্ঞানসম্মত? আসুন জেনে নিই:
মসলা বেশি খেলে আলসার হয়?চিকিৎসকেরা বলছেন, মসলা বা মসলাদার খাবার খাওয়ার সঙ্গে পাকস্থলীতে আলসার হওয়ার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা, পাকস্থলীর আলসারের জন্য দায়ী হ্যালিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের জীবাণু—এ কথা বেশ কিছুদিন হলো প্রমাণিত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যথানাশক বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধও আলসারের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক-আলসারের রোগীর উপসর্গ হয়তো কিছুটা বাড়ায়, কিন্তু রোগটির মূল কারণ নয় মোটেও।
ধূমপান করলে পেট পরিষ্কার হয়?
মসলা বেশি খেলে আলসার হয়?চিকিৎসকেরা বলছেন, মসলা বা মসলাদার খাবার খাওয়ার সঙ্গে পাকস্থলীতে আলসার হওয়ার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা, পাকস্থলীর আলসারের জন্য দায়ী হ্যালিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের জীবাণু—এ কথা বেশ কিছুদিন হলো প্রমাণিত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যথানাশক বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধও আলসারের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক-আলসারের রোগীর উপসর্গ হয়তো কিছুটা বাড়ায়, কিন্তু রোগটির মূল কারণ নয় মোটেও।
ধূমপান করলে পেট পরিষ্কার হয়?
ধূমপায়ীরা প্রায়ই বলেন, ধূমপান না করলে তাঁদের পেট
পরিষ্কার হয় না, সিগারেটে এক টানেই নাকি গ্যাস কমে যায়। কিন্তু সত্যিটা
একেবারেই উল্টো। সিগারেটের নিকোটিন মানুষের খাদ্যনালির স্ফিংটার বা দরজাকে
অকার্যকর করে দেয়। ফলে অ্যাসিডিটি আরও বাড়ে। তার ওপর ধূমপান খাদ্যনালির
প্রদাহ তৈরি করে। তাই পরিপাকতন্ত্রের ওপর ধূমপানের প্রভাব কোনোভাবেই ভালো
নয়।
দৈনিক কোষ্ঠ পরিষ্কার না হওয়া খারাপ?
প্রতিদিন কোষ্ঠ পরিষ্কার হতেই হবে—এমন কোনো কথা নেই।
মানুষের মলত্যাগের হার একেক সময় একক রকম হতে পারে। নির্দিষ্ট কোনো বিষয়
নেই এতে। কারও দিনে তিনবার, কারও পুরো সপ্তাহে তিনবার মলত্যাগ করতে
হয়—দুটোই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই একদিন কোষ্ঠ পরিষ্কার না হলেই চিন্তিত
হওয়ার কিছু নেই।
খাবার সময় বেশি করে পানি পান?
খাবার সময় বা আগে পরে বেশি করে পানি পান করলে হজম ভালো
হবে—এই ধারণাও ভুল। সারা দিনে আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ঠিক, তার
মানে এই নয় যে খাওয়ার সময় বারবার পানি খেতেই থাকবেন। বরং যাঁদের অ্যাসিড
রিফ্লাক্স হয়, তাঁদের খাওয়ার মাঝে বেশি পানি না খাওয়াই ভালো।
টেনশনে আলসার হয়?
অনেকেই বলেন, উদ্বেগ আর টেনশনের কারণেই পেটে আলসার হয়েছে।
এখানেও সেই কথা—পাকস্থলীর আলসারের সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া গেছে; আর তা মূলত
জীবাণুঘটিত। তবে উদ্বেগ বা টেনশনের সঙ্গে বদহজম, আইবিএস ইত্যাদি রোগের
সম্পর্ক থাকতে পারে।