রুহির বসার ঘর। দরজা বরাবর রাখা দুটি সেলাই মেশিন। মেশিনের ওপর কাটাছেঁড়া বিভিন্ন
রঙের কাপড়। পাশেই নিচে রাখা সাদা, কালো, লাল, নীল—নানা রঙের সুতার বলে
ভরা একটি ঝুড়ি। ঢাকার উত্তরায় রুহির বাড়ির দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই চোখে
পড়ল এসব। পাশের ঘর থেকে এসে হাজির হলেন মডেল ও অভিনেত্রী রুহি। বসার ঘরের
এক কোণে রাখা দুটি সেলাই মেশিনে আমাদের চোখ যায় বারবার। এটা টের পেয়ে
হেসে দিলেন রুহি। বললেন, ‘সেলাই মেশিনগুলো আমার। তাই বলে আমাকে আবার দরজি
বলবেন না যেন।’
নিজের পোশাক নিজের হাতে বানানো তাঁর ছোটবেলার অভ্যাস। ব্র্যাক থেকে ছোট্ট একটা প্রশিক্ষণ নিলেও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনে ১৬ মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন।
পোশাকে স্বকীয়তা আনতে সব ধরনের পোশাকই নিজ হাতে তৈরি করেন রুহি। ঘরে পরার ম্যাক্সি থেকে শুরু করে বাইরে পরার শাড়ি, গাউন, টপ ইত্যাদি। শাড়ি, গাউনের কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের লেইস, পুঁতি বা পাথর নিজ হাতে লাগিয়ে পোশাকে বাড়তি বৈচিত্র্য আনেন। আর এসব জিনিস বেশির ভাগই সংগ্রহ করেন দেশের বাইরে থেকে। রুহি বলেন, ‘দেশের বাইরে গেলে এসব জিনিসের প্রতিই আমার আগ্রহ থাকে বেশি।’ রুহি মাঝেমধ্যে মা ও শাশুড়ির পোশাকও বানিয়ে দেন।
রুহি জানান, দেশের মধ্যে কোনো বিশেষ মিটিং বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরোলে জিনস, টি-শার্ট বা টপের সঙ্গে পছন্দসই উঁচু হিলের স্যান্ডেল বা জুতা পরে নেন। তবে দেশের বাইরে শাড়িতেই বেশি থাকে রুহির টান। বিশেষ করে সিল্কের শাড়ি।
সুগন্ধির প্রতি তেমন দুর্বলতা না থাকলেও মাথার টুপি এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা তাঁর সংগ্রহ করা চাই-ই চাই। জুতার বেলায় অ্যালডো, জারা, নিউলুক রুহির পছন্দের ব্র্যান্ড। আর টুপি—পছন্দ হলেই হয়। বিভিন্ন রঙের প্রায় ৫০টির মতো টুপি তাঁর সংগ্রহে আছে। জুতা ও টুপি সংগ্রহের বাড়তি সুবিধা পান যখন তিনি দেশের বাইরে থাকেন। রুহি বলেন, ‘এখন তো স্বামীর সঙ্গে অন্যান্য দেশেও যাই। সুযোগ করে পছন্দমতো টুপি ও জুতা কিনতে পারি।’
ঋতু হিসেবে শীতকালটা পছন্দ রুহির। পোশাকে বাড়তি ফ্যাশন যোগ করা যায়। শীতকালে সাধারণত জিনস, টি-শার্টের ওপর পছন্দের কালো জ্যাকেট চাপিয়ে নেন তিনি।
সুই-সুতা যেমন পছন্দ, তেমনি রুহির পছন্দের তালিকায় আছে রান্নাবান্নাও। ছোটবেলা থেকেই রান্নায় আগ্রহ। নিজ হাতে চিকেন বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নায় মোটামুটি ওস্তাদ রুহি। তবে তাঁর নিজের পছন্দের খাবার ভাত, গরুর মাংস ও যেকোনো ধরনের ভর্তা। রুহি বলেন, ‘ছোট ভাইবোন আমার রান্না করা বিরিয়ানি খুবই পছন্দ করে। এ জন্য মাঝেমধ্যে বিরিয়ানি রান্না করি।’
শুটিং না থাকলে সকাল নয়টা-দশটাতেই জেগে যান রুহি। এরপর বড় এক মগ চা হাতে ছাদে কিংবা খোলা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখতে থাকেন। চলতে থাকে চা পান পর্ব। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন রুহি। তাই সিনেমা না দেখলে কি চলে! দেশের বাইরে গেলেই বেশি সিনেমা দেখা হয় তাঁর। ইউটিউবে পৃথিবীর বিখ্যাত মানুষের জীবন নিয়ে তৈরি ছবি দেখেন প্রায়ই। অবসরে নিজের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতেই পছন্দ তাঁর। এ সময় পড়ার জন্য সঙ্গে রাখেন শরৎচন্দ্রের বই। আবার কখনো কখনো নদীর কাছে ছুটে যান। নদী তাঁকে টানে। বহমান নদীর সঙ্গে মিলিয়ে নেন নিজের জীবনকে।
নিজের পোশাক নিজের হাতে বানানো তাঁর ছোটবেলার অভ্যাস। ব্র্যাক থেকে ছোট্ট একটা প্রশিক্ষণ নিলেও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনে ১৬ মাসের ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন।
পোশাকে স্বকীয়তা আনতে সব ধরনের পোশাকই নিজ হাতে তৈরি করেন রুহি। ঘরে পরার ম্যাক্সি থেকে শুরু করে বাইরে পরার শাড়ি, গাউন, টপ ইত্যাদি। শাড়ি, গাউনের কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের লেইস, পুঁতি বা পাথর নিজ হাতে লাগিয়ে পোশাকে বাড়তি বৈচিত্র্য আনেন। আর এসব জিনিস বেশির ভাগই সংগ্রহ করেন দেশের বাইরে থেকে। রুহি বলেন, ‘দেশের বাইরে গেলে এসব জিনিসের প্রতিই আমার আগ্রহ থাকে বেশি।’ রুহি মাঝেমধ্যে মা ও শাশুড়ির পোশাকও বানিয়ে দেন।
রুহি জানান, দেশের মধ্যে কোনো বিশেষ মিটিং বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরোলে জিনস, টি-শার্ট বা টপের সঙ্গে পছন্দসই উঁচু হিলের স্যান্ডেল বা জুতা পরে নেন। তবে দেশের বাইরে শাড়িতেই বেশি থাকে রুহির টান। বিশেষ করে সিল্কের শাড়ি।
সুগন্ধির প্রতি তেমন দুর্বলতা না থাকলেও মাথার টুপি এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা তাঁর সংগ্রহ করা চাই-ই চাই। জুতার বেলায় অ্যালডো, জারা, নিউলুক রুহির পছন্দের ব্র্যান্ড। আর টুপি—পছন্দ হলেই হয়। বিভিন্ন রঙের প্রায় ৫০টির মতো টুপি তাঁর সংগ্রহে আছে। জুতা ও টুপি সংগ্রহের বাড়তি সুবিধা পান যখন তিনি দেশের বাইরে থাকেন। রুহি বলেন, ‘এখন তো স্বামীর সঙ্গে অন্যান্য দেশেও যাই। সুযোগ করে পছন্দমতো টুপি ও জুতা কিনতে পারি।’
ঋতু হিসেবে শীতকালটা পছন্দ রুহির। পোশাকে বাড়তি ফ্যাশন যোগ করা যায়। শীতকালে সাধারণত জিনস, টি-শার্টের ওপর পছন্দের কালো জ্যাকেট চাপিয়ে নেন তিনি।
সুই-সুতা যেমন পছন্দ, তেমনি রুহির পছন্দের তালিকায় আছে রান্নাবান্নাও। ছোটবেলা থেকেই রান্নায় আগ্রহ। নিজ হাতে চিকেন বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নায় মোটামুটি ওস্তাদ রুহি। তবে তাঁর নিজের পছন্দের খাবার ভাত, গরুর মাংস ও যেকোনো ধরনের ভর্তা। রুহি বলেন, ‘ছোট ভাইবোন আমার রান্না করা বিরিয়ানি খুবই পছন্দ করে। এ জন্য মাঝেমধ্যে বিরিয়ানি রান্না করি।’
শুটিং না থাকলে সকাল নয়টা-দশটাতেই জেগে যান রুহি। এরপর বড় এক মগ চা হাতে ছাদে কিংবা খোলা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখতে থাকেন। চলতে থাকে চা পান পর্ব। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন রুহি। তাই সিনেমা না দেখলে কি চলে! দেশের বাইরে গেলেই বেশি সিনেমা দেখা হয় তাঁর। ইউটিউবে পৃথিবীর বিখ্যাত মানুষের জীবন নিয়ে তৈরি ছবি দেখেন প্রায়ই। অবসরে নিজের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতেই পছন্দ তাঁর। এ সময় পড়ার জন্য সঙ্গে রাখেন শরৎচন্দ্রের বই। আবার কখনো কখনো নদীর কাছে ছুটে যান। নদী তাঁকে টানে। বহমান নদীর সঙ্গে মিলিয়ে নেন নিজের জীবনকে।