শহুরে জীবনে ব্যস্ততা বাড়ছে৷ মা-বাবারও দম ফেলার সময় থাকে না৷ সন্তানদের সময় কাটে টিভির পর্দা, কম্পিউটার ও মুঠোফোনে গেম খেলে৷ শিশুর এই একািকত্ব দূর করতে হয়তো পুরোপুরি পারবেন না৷ কিন্তু ওর ঘরটিকে যদি মনের মতো করে সাজিয়ে দিতে পারেন, বিশেষ করে খেলনাগুলো এখানে-সেখানে না রেখে ঘরের এক কোনায় ওর মতো করে গুছিয়ে রাখতে পারেন৷ যেমন ছোট্ট একটি ঝুড়িতে ওর সব খেলনা রাখা যেতে পারে।
রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের চেয়ারপারসন গুলসান নাসরীন চৌধুরী বলেন, শিশুর ঘরটি এমনভাবে সাজানো উচিত, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকে। শিশুর খেলার ঘরের জানালায় অবশ্যই গ্রিল ও নেট ব্যবহার করা উচিত৷ এমন কোনো কিছু শিশুর খেলাঘরে রাখা উচিত নয়, যে কারণে শিশুটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে। ধারালো অথবা কাচের কোনো জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয়৷ এমনকি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বা ওষুধ যেন শিশুর হাতের নাগালে না থাকে৷ কোনো শিশুর যদি শ্বাসকষ্ট থাকে, তাহলে কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো৷ এর পরিবর্তে মাদুর বা শীতলপাটি ব্যবহার করা যায়৷ ফোম দিয়ে নিচু বসার জায়গা বানানো যায়; যাতে মেঝের ঠান্ডা থেকে শরীর খারাপ না করে৷
শিশুর খেলার ঘরটি রঙিন হওয়া উচিত, এতে আকর্ষণ বাড়বে৷ পুরো ঘর অনেক সময় রঙিন করা সম্ভব হয় না৷ তখন ভাড়াবাড়িতে থাকলে বাড়িওয়ালার অনুমতি নিয়ে দেয়াল অাঁকিয়ে দিতে পারেন৷ একটা বোর্ড বানিয়ে স্টিকার ও পোস্টার লাগাতে পারেন৷
ঘরের কোণে শিশুর জন্য তাক করতে পারেন৷ সেখানে রং, পেনসিল, বই রাখতে পারবে৷ এ ছাড়া শিশুকে নিজের খেলনা নিজেকে গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করাতে হবে৷ এতে করে ছোটবেলা থেকে স্বাবলম্বী হবে৷ নিজে কিছু করতে পারলে সেও খুশি হবে৷