নিজের ঘরটা অন্যদের থেকে আলাদা হবে, এমনটা কম-বেশি সবাই চান। সেই একই কাঠ, রড আয়রন দিয়ে ঘর না সাজিয়ে বাঁশ, বেত দিয়ে সাজাতে পারেন ঘর। যাঁরা সৃজনশীল, সাধ-সামর্থ্য আছে, তাঁরা চান নান্দনিকভাবে ঘরকে অন্যরূপ দিতে।
এই যেমন বসার ঘরে বা শোয়ার ঘরে বাঁশ বা বেতের টেবিলল্যাম্প, ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন। এতে আশপাশের পরিবেশ স্নিগ্ধ দেখাবে। চাইলে ল্যাম্পশেড সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন ডিজাইনের চেয়ারপারসন গুলশান নাসরিন চৌধুরী বলেন, দেশীয় উপকরণ দিয়ে ঘরকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যায়। দেখা যায়, একঘেয়েমি কাটাতে সহজে বাঁশ-বেতের আসবাব ও শোপিস দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। এতে ঘরের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।
এ ধরনের আসবাব ১০ থেকে ১২ বছর অনায়াসে টেকে। বড় বড় আসবাব যেমন টেবিল-চেয়ার, আলমারি, সোফাসেটও পাওয়া যায় বাঁশ-বেতের। তেমনি ছোট ছোট ঘর সাজানোর সরঞ্জামাদিও কিনতে পারেন। ঝুড়ি, টু-সিটার, মোড়া, ট্রে, টেবিল প্লেসমেট ও টেবিল রানার কেনা যেতে পারে।
সব সময় ব্যবহার করতে না চাইলে বিশেষ দিনে এসব ঘর সাজানোর সামগ্রী দিয়ে ঘরকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
যত্নআত্তি
বেতের আসবাব সহজে ধোয়া যায়। আবার রোদেও শুকিয়ে নেওয়া যায়। তবে বাঁশের আসবাব শুকনো কাপড় দিয়ে অন্তত দুই দিন পরপর মুছতে হবে।