Home decoration news - গরমে আরাম

হালকা রঙের পর্দা ঘরে আনবে প্রশান্তি। ছবি: অধুনা। কৃতজ্ঞতা: এথনিকা

     
বাইরে যাচ্ছেতাই গরম। সব শান্তি এখন ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই। এ কারণে ঘরের সবকিছুতেই স্নিগ্ধতার ছোঁয়া রাখা যেন আবশ্যক। অন্দরসাজে নান্দনিক পর্দার ব্যবহারের মাধ্যমে এই কাজটি বেশ ভালোভাবে করা সম্ভব। তবে এ সময়ের আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্দার কাপড় ও নকশা হতে হবে মানানসই। নাহলে ফলাফল পাবেন উল্টোভাবে।
বাজারে ঘুরলেই পর্দার বৈচিত্র্য নজর কাড়ে। বেছে নিতে পারেন হালকা বা হালকা উজ্জ্বল রং ও ছিমছাম নকশা। বুটিক হাউস এথনিকার পরিচালক নাসিরা মানসুর বলেন, ‘ঘরের মধ্যে রোদ বেশি এলে একটু ভারী পর্দা ব্যবহার করা ভালো। তবে সুতির ও খাদির কাপড়ের তৈরি পর্দাগুলো চোখে আরাম দেবে ও বাতাস চলাচলে সহায়তা করবে।’ ভারী পর্দা ব্যবহার করলে পেছনে টিস্যু, নেট, মসলিন কাপড়ের পর্দা রাখতে পারেন। প্রয়োজনমতো ভারী পর্দাটি একদিকে সরিয়ে রাখলে বাতাস চলাচল করবে। খাদি কাপড়ের রং অতিরিক্ত রোদে জ্বলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পর্দার লাইনিং হিসেবে মার্কিন কাপড় বা পুরোনো পর্দা লাগিয়ে নিতে পারলে এই সমস্যাটি অনেকাংশেই কমে যাবে। সুতির বাইরে বেছে নিতে পারেন পাতলা সিল্ক অথবা জর্জেটের কাপড়।
সব ঘর একই রঙের হলে পর্দাগুলো বিভিন্ন নকশা ও রঙের হতে পারে। এতে একঘেয়েমি তৈরি হবে না। ফারজানা’স ব্লিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা গাজী কোন ঘরে কী রঙের পর্দা ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে ধারণা দিলেন। মাস্টার বেডরুমে চাঁপা সাদা, হালকা নীল, বাদামি, ধূসর রঙের পর্দা প্রশান্তি আনবে। হালকা সবুজ মানাবে খাবার রুমের সঙ্গে। অন্যদিকে ড্রয়িংরুমে হালকা কমলা রং অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। হালকা বেগুনি ও আকাশি রঙের পর্দা রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করবে নতুন দম্পতিদের জীবনে। বয়স্কদের জন্য চাঁপা সাদা রংটা বেশি মানানসই। কিশোরীদের জন্য বেগুনি, হলুদ, গোলাপি ও ছেলের ঘরের জন্য ধূসর, নীল রংটি মানানসই। বাচ্চাদের ঘরের পর্দা তাদের পছন্দসই কার্টুন দিয়ে রাঙাতে পারেন।
ঘর ছোট হলে পর্দার নকশা ও রং অবশ্যই হালকা হতে হবে। দেয়ালের রং যদি সাদার বাইরে হয়, তাহলে বিপরীত রং বেছে নেবেন। দেয়ালের রং কমলা হলে সাদার মধ্যে কমলা প্রিন্টের পর্দা নজর কাড়বে। ফারজানা গাজী বলেন, ‘পর্দার যেই রং থাকবে একই রং আনুন বিছানার চাদর কিংবা কুশন কভারে। খাবার রুমের পর্দার রং নিয়ে আসতে পারেন টেবিল ম্যাটের ভেতরে।’ পর্দাকাহিনি এখানেই শেষ নয়। পুরোনো জামদানি, নকশিকাঁথা, শাড়ি দিয়ে তৈরি করতে পারেন পর্দা। পছন্দমতো ব্লক, টাইডাই করিয়ে নিতে পারেন। সব সময় এক সেটের বেশি পর্দা ব্যবহার করুন। খুব বেশি ময়লা হয়ে যাওয়ার আগেই ধুতে দিন। অনেকের বাসায় খুব বড় জানালা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে দুটি নকশার পর্দা মিলিয়ে টাঙিয়ে দিন। রঙিন হয়ে উঠবে পরিবেশ।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts