অল্প একটু আলো ছড়ায়। এতেই বদলে যায় ঘরের চেহারা। টেবিল ল্যাম্প ব্যবহারের মজাটাই এখানে। মায়াবী পরিবেশ তৈরিতে যেন প্রতিযোগিতা চলে বিভিন্ন নকশার ল্যাম্পশেডগুলোর মধ্যে। তবে ঠিকঠাক যত্ন না নিলে কমে যেতে পারে ল্যাম্পশেডের সৌন্দর্য।
ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে টেবিল ল্যাম্পের জনপ্রিয়তা সমসময়ই আছে।বাজার ঘুরে নকশার বাহার দেখলে সেটা ভালোই বোঝা যায়।ল্যাম্পশেডগুলোতে সিল্ক, সুতি, খাদির কাপড়ের ব্যবহার চলছে অনেক দিন ধরেই। আধুনিক রূপ আনতে সহায়তা করছে ভিন্ন ধরনের কাগজ। যাত্রার ডিজাইনার তাজিয়া সুলতানা বলেন, পুঁতি, তালপাতা, খেজুরপাতার পাশাপাশি শীতলপাটির উপকরণ দিয়ে টেবিল ল্যাম্প ও ল্যাম্পশেড বানানো হচ্ছে। হাতি-ঘোড়ার ছবি আঁকা হচ্ছে ল্যাম্পশেডের ওপরে। নান্দনিকতা আনতে ল্যাম্পশেডে একরঙা কাপড়ের পাশাপাশি টাই-ডাইয়ের নকশা, গামছার ওপর মোমবাটিকের কাজ করা হচ্ছে।
যে জিনিস তৈরিতে এত আয়োজন, সেটার যত্ন-আত্তি করা খুব সহজ।
সম্ভব হলে দিনে একবার ল্যাম্পশেডগুলো মুছতে হবে। তাহলে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে পানি দিয়ে ধোয়ার ঝামেলার মধ্যে আর পড়তে হবে না। তবে ল্যাম্পশেড পরিষ্কারের সময় কখনোই ভেজা কাপড় ব্যবহার না করার পরামর্শ দিলেন আর্টিফ্যাক্টসের মহাব্যবস্থাপক মো. আশরাফ।
আরো কিছু পরামর্শ
পরিষ্কার করার সময় শেডটা আলতোভাবে ধরে তারপর পরিষ্কার করুন। না হলে মোছার সময় শেডটি তার অবস্থান থেকে সরে যেতে পারে।
সিল্কের চেয়ে সুতি কাপড়ের শেড তাড়াতাড়ি ময়লা হয়ে যায়। ল্যাম্পশেড ধোয়ার সময় টুথব্রাশ ও গুঁড়া সাবান ব্যবহার করুন। প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে শেডের ধুলা ঝেড়ে নিন। গুঁড়া সাবান পানিতে গুলিয়ে নিন। টুথব্রাশের মাধ্যমে ওপর থেকে নিচে, নিচে থেকে ওপরে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়ার পর বাতাসে শুকান। রোদের মধ্যে শুকালে শেডটির কাপড় আঁটোসাঁটো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুঁতি, কাগজ বা অন্য কোনো উপকরণ হলে ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করুন। খেয়াল রাখতে হবে যেই ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করছেন, সেটিতে যেন ময়লা না থাকে। শেডটির ভেতরের দিকটিও পরিষ্কার করতে হবে। না হলে সঠিকভাবে আলো পাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বাল্ব অথবা টেবিল ল্যাম্পের বৈদ্যুতিক তারটি সকেট থেকে খুলে নেবেন।