বাড়িতে রং করানোর কাজটিকে অনেকের ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ ও বিরক্তিকর মনে হয়। কিন্তু শৌখিনতার চেয়েও এটি প্রয়োজনীয় বেশি। কেননা, সময়মতো বাড়ি রং করলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ জন্য চাই সুন্দর একটি পরিকল্পনা।
বার্জারের ডেকোর ইনচার্জ শামীম আহমেদ খান বলেন, বাইরের অংশের আগে ভেতরের অংশে রং লাগানো উচিত। কারণ, ভেতরের অংশটি ঋতু পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে না। বর্ষাকালেও ভেতরের দেয়ালে রং করা যায়। কিন্তু বাইরের দেয়ালে রং লাগানোর জন্য গ্রীষ্মকাল সবচেয়ে উপযোগী।
বাইরের দেয়ালে প্রাথমিকভাবে সিমেন্ট ব্যবহার করে ৯০ দিন পর সিলার ব্যবহার করতে হবে। কারণ, ৯০ দিন আগে দেয়ালের পানি ঠিকভাবে শুকায় না। ৯০ দিন আগে সিলার ব্যবহার করলে দেয়ালের স্থায়িত্ব কমে যায়। রং লাগানোর আগে পাথর দিয়ে দেয়াল ঘষে দিতে হবে। পাঁচ-ছয় বছর পর পর বাইরের দেয়াল রং করানো উচিত। যদি শেওলা পড়ে যায়, তাহলে তিন বছর পর বাইরের দেয়াল রং করানো উচিত। ভেতরের দেয়ালে রং করা যেতে পারে চার বছর পর পর। পুরোনো রং করা দালানে বাইরের দিকে রং করতে চাইলে পুডিং ব্যবহার করা যাবে না। বাইরের দেয়াল ভেতরের দেয়ালের মতো মসৃণ করতে চাইলে সিলার ব্যবহার না করে দুবার পুডিং বা পাট্টির প্রলেপ দিতে হবে। পুডিং ব্যবহার করার আগে পানি দিয়ে দেয়াল ভিজিয়ে দিতে হবে। বাইরের দেয়ালে খরচ কমাতে চাইলে পুডিং বা পাট্টি ব্যবহার না করে তিনবার রঙের প্রলেপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল আজিজ বলেন, আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে দেয়ালে রং করা উচিত। গ্রীষ্মকালে চাইলে বাড়ির ভেতরে ও বাইরে একসঙ্গে রং করা যেতে পারে। কিন্তু এই কাজ করতে হবে বাড়ির কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর। তা না হলে বাইরে ও ভেতরে একসঙ্গে কাজ শুরু করে দিলে ভেতরের দেয়াল নোংরা হয়ে যেতে পারে।
মূলত দেয়াল সম্পূর্ণ শুকানোর পর রং লাগাতে হবে। রং লাগানো শুরু করার আগে আর্দ্রতার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। স্যাঁতসেঁতে থাকার কারণে দেয়ালে ছত্রাক বা শেওলা জন্মাতে পারে। এ কারণে সম্পূর্ণ না শুকানো পর্যন্ত বাইরের দেয়ালে রং করা উচিত নয়। পুরোনো দালানে রং করার আগে ছত্রাকগুলোকে চেঁছে তুলে ফেলতে হবে এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাস সলিউশন ব্যবহার করতে হবে।