Home decoration news - খেতে খেতে খাবার টেবিলে

খাবারঘরে পরিমিত আসবাব থাকাই ভালো। ছবি: অধুনা

     
আজকাল সবাই যে যার মতো ব্যস্ত। সময় কোথায় এত? তবুও পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা হয় ওই খাবার টেবিলেই। তাই খাবারঘর বা খাবার টেবিলের গুরুত্ব কম নয়। খাবার টেবিল সাজানোর ওপর অনেকটা খাওয়ার স্পৃহা নির্ভর করে। আর রুচির পরিচয়ও পাওয়া যায়। এখানে যত কম জিনিসপত্র রাখা যায় ততই ভালো। অনেকে মনে করেন, খাওয়ার ঘরে তো অল্প সময় থাকা হয়। তাই বেশি জিনিস রাখলে ক্ষতি কী। এই ধারণা ঠিক নয়। ঘর গুমোট হলে সেখানে খেতেও ইচ্ছা করে না। আর সবাই মিলে আনন্দ করে খাওয়া হয়ে ওঠে না।
রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন ডিজাইনের চেয়ারপারসন গুলশান নাসরিন চৌধুরী বলেন খাবারের ঘরটি ছোট হলে সেখানে গোল বা ওভাল আকারের খাওয়ার টেবিল ব্যবহার করাই ভাল। এতে ঘর বড় দেখায়। টেবিলের ওপরে স্বচ্ছ কাচ দিতে পারেন। এ ছাড়া খাবার টেবিলে তাজা ফুলসহ ফুলদানি রাখলে সবারই ভালো লাগবে। আধুনিক জীবনে খাবারঘরকে নানাভাবে সাজানো যেতে পারে। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু জিনিস রাখতে হবে। একক পরিবারের জন্য খুব বড় আকারের খাবার টেবিল না কিনে ছোট টেবিলই ভালো। এই ঘরে তৈজসপত্র রাখার জন্য ছোট আলমারি রাখা যেতে পারে। তার পর রাখতে পারেন ওভেন। এতে জায়গার অপচয় হবে না। আরও বাড়তি জায়গা থাকলে ফ্রিজ ও পানির ফিল্টার রাখতে পারেন।
দেয়ালের রংটা হালকাই ভালো। ঘর বড় দেখাবে তাতে। কারও কারও খাবারঘর ও বসার ঘর একসঙ্গে। মাঝে কোনো কিছু দিয়ে আলাদা না করে খোলা রাখাই ভালো। এতে খোলামেলা লাগবে ঘরটি।
খাবার টেবিলের ম্যাটগুলো রঙিন হলে ভালো। এ ছাড়া টেবিল রানারও ব্যবহার করতে পারেন। আর চার কোনা টেবিল ও গোলাকৃতি কাঠের টেবিল, রট আয়রনের খাবার টেবিল পাওয়া যায়। আর আজকাল নিচু উচ্চতার অর্থাৎ লো হাইটের খাবার টেবিলের চাহিদা আছে।
গৃহিণী রোকসানা আলমের খাবারঘরটা খুব একটা বড় নয়। কিন্তু তিনি একটুকরো সবুজ রেখেছেন। জানালার পাশে একটি মানিপ্ল্যান্ট রেখেছেন, যাতে চোখের ও মনের প্রশান্তি আসে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts