একটা সময় শুধু প্রয়োজন মেটাতেই চশমা পরার চল ছিল। চেহারায় চশমা মানাচ্ছে না বলে অনেকে ল্যাসিক করিয়ে নিয়ে চশমা পরাটাই ছেড়ে দিয়েছেন। তবে আজকাল চশমাটাও যেন হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ। যাঁদের জন্য চশমা খুব জরুরি কিছু নয়, ফ্যাশনের হাওয়া গায়ে লাগিয়ে তাঁরাও এখন পরছেন চশমা। তবে প্রয়োজনে হোক কিংবা নিছক শখের বশে, ভারী ফ্রেমের চশমায় ভারিক্কি চালে হেঁটে চলার দিন শেষ হয়ে গেছে বহু আগেই। বন্ধুদের আড্ডায় বা বাইরে ঘুরতে যাওয়ার সময় হালকা চশমায় নানান রঙের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে বেশ।
অফিস বা ক্লাসে ব্যবহার করার চশমাটি হয়তো নৈমিত্তিক, তবে ঘোরাঘুরির সময় সেসব আর থাকছে কোথায় বলুন? তখন নানান রং আর নানান ঢঙের চশমা থাকছে চোখে। কেউ পরছেন সাদা-কালোয় ডোরাকাটা চশমা, তো কারও চশমায় আবার খয়েরি রঙের ছোপ। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নীল, গোলাপি, বেগুনি, কমলা রঙের চশমাও ব্যবহার করেন অনেকে। কেউ কেউ আবার পছন্দ করেন হ্যালো কিটি চশমা। হ্যালো কিটির বো-এর মতো একটি বো ফ্রেমের একপাশে থাকাটাই হ্যালো কিটি চশমার বৈচিত্র্য। কেউ কেউ আবার হ্যালো কিটির বো-এর মধ্যে তারকাখচিত চশমাও পছন্দ করছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, চশমার ফ্রেমের আকৃতিতেও এসেছে বৈচিত্র্য। বিশেষ একটি আকৃতির চশমার নাম ক্যাটস আই চশমা। দোকানগুলোতে রয়েছে নানান রঙের ক্যাটস আই চশমা। চারকোনা ফ্রেম বা একটু গোলাকৃতির ফ্রেমও চলছে বেশ।
চশমার ফ্রেমের উপাদানেও এসেছে বৈচিত্র্য। মেটালের তৈরি চশমার জনপ্রিয়তা আর আগের মতো নেই। চশমার দোকান ভিশন ওয়ার্ল্ডের বিক্রয় সহকারী ওয়ালীউল্লাহ মৃধা জানালেন, সেলুলাইটের তৈরি ফ্রেম আজকাল চলছে বেশ। চশমার ফ্রেম এখন এমনভাবে তৈরি হচ্ছে, যেন দীর্ঘদিন চশমা ব্যবহার করলেও চোখের কোনায় খুব বেশি দাগ না পড়ে।
প্রায় সব চশমার দোকানেই এখন পাওয়া যাচ্ছে বাহারি এসব চশমা। শুধু সাদা বা শুধু কালো রঙের ফ্রেমও কিনছেন অনেকে। দোকানে গিয়ে চশমা কেনার পাশাপাশি কেউ কেউ আবার অনলাইনেও চশমা কিনছেন।
দরদামরে-ব্যান, আরমানিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চশমা পাবেন দুই হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে। ব্র্যান্ড ছাড়াও পেতে পারেন মনের মতো চশমা। ব্র্যান্ড ছাড়া চশমার ফ্রেমের দাম পড়বে ৩৫০-৬৫০ টাকার মধ্যে।