National news - তাবিথের এজেন্টকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলল পুলিশ

তেজগাঁও মডেল হাই স্কুলে সরকার সমর্থিত লোকজন তাবিথ আউয়ালকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন l প্রথম আলো
সকাল ১০টা। মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশের গার্লস আইডিয়াল ইনস্টিটিউট ভোটকেন্দ্র। মূল ফটকের একটু দূরে পুলিশের এক সদস্য এক যুবকের পেছন দিক থেকে প্যান্ট ও বেল্ট ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে কেন ধরে নিচ্ছেন, জানতে চাইলে ওই পুলিশ সদস্য বলেন, ‘পেছনে স্যারেরা আছেন, তাঁরা বলতে পারবেন।’
এর পরই ওই যুবককে পুলিশের একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। পুলিশ সদস্যরা সাদাপোশাকে ছিলেন। তবে তাঁদের শরীরে পুলিশের জ্যাকেট এবং অস্ত্র ছিল। ওই গাড়িতে আগেই এক নারীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনার পর পুনরায় কেন্দ্রে প্রবেশ করে আবার দেখা যায়, মধ্যবয়সী এক ব্যক্তিকে এক পুলিশ সদস্য টেনে বের করছেন। কোন অপরাধে তাঁকে ধরে নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে মাঝবয়সী ওই ব্যক্তি কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘আমার কোনো অপরাধ নেই। আমি বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের এজেন্ট ছিলাম। এ জন্য আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।’ এ সময় তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ব্যাটা তুই এজেন্ট না, জাল ভোট দিছোস।’
পাকড়াও করা ওই দুই ব্যক্তির পেছনে যাচ্ছিলেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। কথা বলতে চাইলে দ্রুত হেঁটে চলে যাচ্ছিলেন। দুই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এরা বাসের এজেন্ট। মামলা আছে। তাই ধরে নিয়ে যাচ্ছি।’
গার্লস আইডিয়াল ইনস্টিটিউটে দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৫০৫ জন। একটি বুথে গিয়ে দেখা যায়, তাবিথ আউয়ালের এজেন্ট নেই। এ ব্যাপারে পোলিং অফিসারদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এই সময় ওই বুথের এক পোলিং এজেন্ট বেরিয়ে যেতে অনুমতি চাচ্ছিলেন পোলিং অফিসারের কাছে। ওই এজেন্টের পিছু নিয়ে সামনে এগোতেই নিচু স্বরে তিনি বললেন, ‘বাসের এজেন্টকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। আমাকেও বলেছে বের হয়ে যেতে। আমি নাকি জামায়াতের লোক। তাই চলে যাচ্ছি। ভাই, আমার নাম-পরিচয় দিয়েন না।’ এই দুটি কেন্দ্রের অন্য বুথেও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি।
এসব ঘটনা যখন ঘটছিল, একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল কায়েম দরজা বন্ধ করে তাঁর কক্ষে বসে ছিলেন। কেন্দ্রের এজেন্টদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিটি বুথে ১০-১২ জন করে এজেন্ট দিয়েছি। কে কোন দলের আর কে কে আছেন, তা আমি বলতে পারব না।’
গার্লস আইডিয়ালের দুটি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ভোটারদের ভিড় দেখা যায়নি।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts