ঢাকা
উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রায় সব কেন্দ্রই ছিল সরকারি দলের মেয়র ও
কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে। তাঁরা বেলা ১১টার পর
থেকেই কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে নিজ দলীয় প্রার্থীর প্রতীকে গণহারে
সিল মেরে বাক্সভর্তি করতে শুরু করেন। দুপুরে বিএনপির ভোট বর্জনের ঘোষণার পর
তা অনেকটা প্রকাশ্য রূপ নেয়। এতে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা বা আইন-শৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কেউ-ই বাধা দেননি। বরং অনেকে সহযোগীর ভূমিকায়
ছিলেন। এ সময় কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে ও ছবি তুলতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা
বাধার মুখে পড়েন।সকাল আটটায় ভোট গ্রহণের শুরুতে
সংখ্যায় কম হলেও কেন্দ্রে সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। কিন্তু
কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আক্রমণাত্মক উপস্থিতির
মুখে উপস্থিতি কমতে থাকে। তাঁদের গলায় ছিল আনিসুল হক ও সংশ্লিষ্ট
ওয়ার্ডের দল-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর ছবিসংবলিত কার্ড। একপর্যায়ে এই
কার্ডধারীরাই কেন্দ্রের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাঁদের ঘুরেফিরে ভোট
দিতে এবং দুপুরের পর গণহারে ব্যালটে সিল মারতে দেখা গেছে।ঢাকা
উত্তরের মিরপুর এলাকায় কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে, তবে তা ছিল
সরকার দল-সমর্থিত ও ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে।
প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশই ছিল একই রকম, যা দেখে মনে হয়েছে—ঢাকা
উত্তরে মেয়র পদে একমাত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আনিসুল হক। আর
সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীও যেন শুধু সংশ্লিষ্ট
ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া প্রার্থী, আর কেউ নেই।
প্রথম আলোর ১৯ জন প্রতিবেদক ও আলোকচিত্রী উত্তর সিটি করপোরেশনের দেড় শতাধিক কেন্দ্র ঘুরে ভোটের এমন চিত্র দেখতে পান।
প্রথম আলোর ১৯ জন প্রতিবেদক ও আলোকচিত্রী উত্তর সিটি করপোরেশনের দেড় শতাধিক কেন্দ্র ঘুরে ভোটের এমন চিত্র দেখতে পান।