কালবৈশাখীতে
নোয়াখালীর সদর ও কবিরহাট উপজেলায় প্রায় ৮০০ কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গত
মঙ্গলবার রাতের ওই ঝড়ের পর গতকাল বুধবার সকালে ঝড়ে গাছের ভেঙে পড়া ডাল
কুড়াতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত অসীম দেবনাথের (১৪) বাড়ি সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের গোপাই গ্রামে। সে বিনোদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল উদ্দিন জানান, গতকাল সকাল সাতটার দিকে অসীম দেবনাথ বাড়ির পাশে ভেঙে পড়া গাছের ডাল সংগ্রহ করতে যায়। এ সময় ডোবায় ভেঙে পড়া ডাল তুলতে গিয়ে সেখানে পড়ে থাকা বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান দাবি করেন, ওই এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েনি। বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে থাকা ডিশ লাইনের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়েছে। ডিশ লাইনের বিদ্যুতে স্পৃষ্ট হয়ে ওই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবারের ঝড়ে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় ওই দুই উপজেলায় প্রায় ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূরুল আমিন জানান, মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে তাঁর ইউনিয়নের শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আন্ডারচরের ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক জানান, তাঁর ইউনিয়নে ১০৫টি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নাছির উদ্দিন জানান, ঝড়ে সদর উপজেলার আন্ডারচর, কালাদরাফ, নোয়াখালী, পূর্ব চরমটুয়া, এওজবালিয়া ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালারও ক্ষতি হয়েছে।
কবিরহাট ইপজেলার চাপরাশিরহাটের ইসমাইল কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাসার জানান, ঝড়ে কলেজের দুটি টিনশেড ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কবিরহাটের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, ঝড়ে ধানশালিক, চাপরাশিরহাট, সুন্দলপুর, ঘোষবাগ ও বাটইয়া ইউনিয়নের ২৮৭টি কাঁচা ঘর, একটি কলেজ, দুটি নূরানি মাদ্রাসা, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য এখনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শংকর লাল দত্ত গতকাল প্রথম আলোকে জানান, ঝড়ে কবিরহাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এ কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
নিহত অসীম দেবনাথের (১৪) বাড়ি সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের গোপাই গ্রামে। সে বিনোদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল উদ্দিন জানান, গতকাল সকাল সাতটার দিকে অসীম দেবনাথ বাড়ির পাশে ভেঙে পড়া গাছের ডাল সংগ্রহ করতে যায়। এ সময় ডোবায় ভেঙে পড়া ডাল তুলতে গিয়ে সেখানে পড়ে থাকা বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান দাবি করেন, ওই এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েনি। বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে থাকা ডিশ লাইনের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়েছে। ডিশ লাইনের বিদ্যুতে স্পৃষ্ট হয়ে ওই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবারের ঝড়ে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় ওই দুই উপজেলায় প্রায় ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূরুল আমিন জানান, মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে তাঁর ইউনিয়নের শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আন্ডারচরের ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক জানান, তাঁর ইউনিয়নে ১০৫টি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নাছির উদ্দিন জানান, ঝড়ে সদর উপজেলার আন্ডারচর, কালাদরাফ, নোয়াখালী, পূর্ব চরমটুয়া, এওজবালিয়া ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালারও ক্ষতি হয়েছে।
কবিরহাট ইপজেলার চাপরাশিরহাটের ইসমাইল কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাসার জানান, ঝড়ে কলেজের দুটি টিনশেড ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কবিরহাটের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, ঝড়ে ধানশালিক, চাপরাশিরহাট, সুন্দলপুর, ঘোষবাগ ও বাটইয়া ইউনিয়নের ২৮৭টি কাঁচা ঘর, একটি কলেজ, দুটি নূরানি মাদ্রাসা, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য এখনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শংকর লাল দত্ত গতকাল প্রথম আলোকে জানান, ঝড়ে কবিরহাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের ওপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এ কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।