সাকিব আল হাসান
শুরু হয়ে গেছে ক্রিকেট উন্মাদনা। খেলা দিয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। আর ঘাট (মাঠের বাইরে) কাঁপছে তাঁদের স্টাইলে। বাদ যাচ্ছে না খেলোয়াড়দের পোশাক থেকে চুল। ভক্তদের সবকিছুই ফটোকপি (হুবহু নকল) করা চাই। ক্রিকেটারদের চুল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ রইল নকশার পাঠকদের জন্যও। জনপ্রিয় কয়েকজন ক্রিকেটারের চুলের স্টাইল নিয়ে জানাচ্ছেন হেয়ারোবিক্সের রূপ পরামর্শক ও স্বত্বাধিকারী শাদীন মাহবুব।
সাকিব আল হাসানের চুলের নতুন স্টাইলের নাম মোহক। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই স্টাইলটা জনপ্রিয়। এর আগে ফুটবলার ডেভিড বেকহামকেও দেখা গেছে এই স্টাইলে। সাকিব আল হাসানের চুলের ছাঁটে মোহক স্টাইলটাকে কিছুটা নতুনত্ব দেওয়া হয়েছে ক্ষুর দিয়ে এক পাশে সোজা সিঁথি করে। মুখের আকারের সঙ্গে মিল রেখেই মোহক স্টাইল করানো উচিত। মুখের গড়ন ডিম্বাকৃতি, মাঝারি দেহ তবে পেশি আছে এমন ছেলেদের এই স্টাইলে বেশি মানাবে।
মাথার নিচের দিক থেকে ক্রমান্বয়ে ওপরের চুল কিছুটা বড়। এই স্টাইলের নাম ক্লাসিক ট্যাপার কাট। এ রকম সাধারণ কাটেই চুলটা স্টাইলিশ দেখাতে পারে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডেভিড মিলারের এই স্টাইলটা আগে ব্রেট লির মাধ্যমেও বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হাত দিয়েই সহজে এই স্টাইল ঠিক রাখা যায়।
খেলাধুলা ও প্রেম দুটো নিয়েই আলোচিত ভারতের বিরাট কোহলি। স্টাইলিশ ট্যাপার কাটে নিজের চুলের স্টাইল করেছেন তিনি। মাথার পেছন দিক ও কানের ওপরের চুল ছোট করে ট্যাপার করেছেন। মাথার উপরিভাগের চুল রেখেছেন ক্রমান্বয়ে বড় করে। লম্বা মুখের গড়ন ছাড়া যে কেউ এই স্টাইল করাতে পারেন। অল্প কোঁকড়া চুলেও এই স্টাইল মানাবে।
অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লার্কের চুলে কানের দুই পাশ ও পেছনে ট্যাপার করে কাটা। কপালের ওপরের চুল তেমন বড় না, তবে মাথার ওপরের চুল আন-ইভেন স্পাইক করে কাটা হয়েছে। যাঁদের চুল সোজা, তাঁদের এই স্টাইলটায় বেশি মানবে। মুখের গড়ন গোল বা ডিম্বাকৃতি হলে দেখতে ভালো লাগবে।
খেলোয়াড়ি জীবনের শুরু থেকেই পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারের স্টাইল আলোচিত। লম্বা চুলে অবশ্য এখন আর দেখা যায় না তাঁকে। মাঝারি আকারের চুলে তিনি স্পাইক করিয়েছেন। যে কেউ এই কাট দিতে পারেন। তবে চুলটা সোজা হলেই ভালো দেখাবে। আর স্পাইকি হেয়ার জেল ব্যবহার করে এই স্টাইল অনেক সময় পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব।