জুতার সঙ্গে মিল থাকা চাই ব্যাগের। কিংবা পোশাকের কোনো একটা রং থাকতে পারে ব্যাগেও—এমন পরামর্শ এখন হয়তো আর পাবেন না ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। ব্যাগ বাছাইয়ের বাঁধাধরা কোনো নিয়ম তো আর মানা হচ্ছে না। ইচ্ছেমতো রং বা আকারের ব্যাগ ব্যবহারের চল এখন। পোশাকটা সাদামাটা হলেও নজর কাড়বে হয়তো ব্যাগটাই। রঙের বাহার যেমন আছে, তেমনি নানা রকম প্রিন্ট বা নকশারও কমতি নেই।
চলছে বড় ব্যাগ বা ছোট ক্লাচই ট্রেন্ডি এ সময়ে—এমন কথা বলা যাবে না। বড়, ছোট বা মাঝারি সব ধরনের ব্যাগের চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের কাছে। শপিং মলগুলো ঘুরে দেখা গেল, ধরনটা যেমনই হোক না কেন ব্যাগের নকশায় বা আকারে থাকছে নানা বৈচিত্র্য। কোনো ব্যাগ হচ্ছে ত্রিভুজ আকারের বা গোলাকার। কোনোটিতে আছে চৌকোনার নানা ধরন। টোটি, ন্যাপস্যাক, মেসেঞ্জার নামে পরিচিত এই ব্যাগগুলোতে থাকছে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার। ছোট ক্লাচ ব্যাগগুলোতেও পাথর আর পুঁতির ব্যবহারে আনা হচ্ছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। পুরো ব্যাগে না হলেও অ্যানিম্যাল প্রিন্টের ব্যবহারও চোখে পড়ছে। খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড যেমন: কোচ, মাইকেল করস, শ্যানেল ইত্যাদির রেপ্লিকা ব্যাগগুলোও বেশ জনপ্রিয় এখন।
সারা দিন স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানোর জন্য লম্বা বেল্টের ক্রস ব্যাগগুলোই বেশি আরামদায়ক বলে মনে করেন মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ। জানালেন, চামড়ার তৈরি একটু বড় আকারের ব্যাগও ব্যবহার করেন তিনি। তবে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে চামড়ার ওপর পাথরের কাজ করা ক্লাচই তাঁর পছন্দ।
বড় ও মাঝারি আকৃতির টোটি ব্যাগগুলোই এখনকার ট্রেন্ড, এমনটাই জানালেন বাটার ডাইভারসিটি ইনচার্জ সুহানা সাদ্দাত। এই ধরনের ব্যাগের আকার ও নকশার বৈচিত্র্যের কারণে শুধু কাজের জায়গায় নয়, বিভিন্ন উৎসব আমন্ত্রণে এমন ব্যাগ বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। ব্যাগের হাতল ছোট, বড় নানা আকারের হচ্ছে। এ ছাড়া ম্যাজেন্টা, হলুদ, গোলাপি, নীল, কালো, সবুজ, কমলা সব রংই চলছে বেশ। জুতার রঙের সঙ্গে কালার ব্লক করানো ব্যাগগুলোও এখন বেশ জনপ্রিয় বলে জানালেন তিনি।
তরুণদের কথা ভেবেই নানা নকশার ব্যাগ এনেছে আরবার ট্রুথ। এখানে একরকম ব্যাগ বেশ নজর কাড়ল, লম্বা বেল্টের ব্যাগে সোনালি লেইস দিয়ে আঁকা হয়েছে হাসিমুখ। নিমন্ত্রণে বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি, উপলক্ষটা যা-ই হোক না কেন স্ট্রাকচারড ব্যাগগুলো মানিয়ে যাবে সব পরিবেশে। শাড়ির সঙ্গে যেমন মানাবে, তেমনি পশ্চিমা পোশাকেও ভালো লাগবে এই ব্যাগগুলো। এদিকে অফিস শেষে হয়তো ছুটতে হবে কোনো পার্টিতে, সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন এনভেলপ আকারের ক্লাচ ব্যাগগুলো। এ ধরনের ব্যাগের সুবিধা হলো এর লম্বা বেল্টটা কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে যেমন অফিসে দৌড়ানো যায়, তেমনি অফিস শেষে বেল্টটা ভেতরে ঢুকিয়ে দিলেই পার্সের মতো ব্যবহার করা যায় ব্যাগগুলো।
দরদামআরবান ট্রুথে স্ট্রাকচারড ব্যাগের দাম পড়বে ১৪০০ টাকা, এনভেলপ ক্লাচ ব্যাগগুলো পাবেন ১৩৯০ টাকায় আর ১২০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যেই মিলবে অন্যান্য নকশার ব্যাগগুলো। এদিকে ব্যাগ পাবেন ১৫৯০ থেকে ২০০০ টাকায়। এ ছাড়া নিউমার্কেট, বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, পিংক সিটি শপিং মল ইত্যাদি জায়গা থেকেও কিনতে পারেন ব্যাগ। অনলাইনেও একটু খুঁজে ফরমায়েশ দিতে পারেন ব্যাগের। শুধু ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে এমন ফেসবুক পেজও আছে বেশ কিছু।