Home decoration news - খোলামেলা রান্নাঘর

মডেল ও অভিনেত্রী বাঁধনের বাড়ির মতো এমন রান্নাঘর আজকাল দেখা যায়। ছবি: নকশা

     
রান্নাঘর বলতেই কাটা, বাটা আর চুলার আঁচের কথা মাথায় আসে। তবে এমন রান্নাঘরও অনেক বাড়িতে দেখা যায়, যেখানে ভারী রান্নাবান্না করা হয় না। বরং রান্নার আগের ও পরের কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়। ড্রাই কিচেন বা ওপেন কিচেন নামেই এটি পরিচিত। ড্রাই কিচেন মূলত ঘরের দৃশ্যমান জায়গাতেই করা হয়ে থাকে। এটি ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও ব্যবহৃত হয়। ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ফারজানা গাজী বলেন, ‘সাধারণত অফিসেই বেশি ব্যবহৃত হয় ড্রাই কিচেন। এ ছাড়া যাঁরা বাড়িতে দুটো রান্নাঘর ব্যবহার করতে চান, তাঁরা একটা মূল রান্নাঘরের বাইরে ওপেন বা ড্রাই কিচেন বানিয়ে নেন। যে রান্নাঘরটি খাবার পরিবেশন, গৃহস্থালির বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, থালা-বাসন রাখা ইত্যাদি কাজেই ব্যবহৃত হয়।’
নিজের বাসায় ড্রাই কিচেন ব্যবহারকারী সায়মা জাহান বলেন, ‘আমাদের খাদ্যাভ্যাসে যেহেতু তেল-মসলা বেশি ব্যবহৃত হয়, তাই শুধু ড্রাই কিচেনে আমাদের চলবে না। যে কারণে, আমি দুটো রান্নাঘর তৈরি করেছি। একটা রান্নাঘরের চুলায় সব খাবার রান্না করার পর ওপেন কিচেনে এনে সেসব পরিবেশনের জন্য রাখা হয়।’
ওপেন কিচেন বা ড্রাই কিচেনে সাধারণত রাখা হয় ওভেন, জুসার, ব্লেন্ডার, বৈদ্যুতিক কেতলি, কফি মেকার, চপার বোর্ড, ছুরি-কাঁচি, থালাবাটি, চামচ, বেশি জায়গা থাকলে ফ্রিজ, হালকা রান্নার জন্য চুলা ইত্যাদি।
যে কাজে এমন রান্নাঘর
ড্রাই কিচেন সাধারণত এমনভাবে সাজানো থাকে, যাতে ঘরের সৌন্দর্য বেড়ে যায়। এসব কিচেনের সামনের দিকে তিন থেকে চার ফুট উঁচু দেয়াল দিয়ে বাকিটা উন্মুক্ত রাখা হয়। নানা ধরনের লাইট ও ফলস সিলিং দিয়ে এই রান্নাঘরকে আরও আকর্ষণীয় করা যায়। এটি সাধারণত লিভিং রুম বা ডাইনিংয়ের পাশে বানানো হয়। ফলস সিলিংয়ের ওপরে লাইট দিয়ে মৃদু আলো তৈরি বা মাঝখানে একটা ঝুলন্ত লাইট দিয়ে শেড ব্যবহার করা যায়। খাবার রান্নার পর এই জায়গা থেকে পরিবেশন পাত্রে তুলে নেওয়া হয়। এ ছাড়া কোনো খাবার গরম করা, জুস তৈরি, মসলা ব্লেন্ড, চা বা কফি তৈরি করা ইত্যাদি কাজে ড্রাই বা ওপেন কিচেন ব্যবহার হয়। এ ছাড়া চপার বোর্ডে নানা ধরনের কাটাকাটির কাজ করতে পারেন এই ঘরে। সামনের দিকে একটা উঁচু চেয়ার বা টুল রাখা যায়।
ড্রাই কিচেনের যত্ন
ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কাছ থেকে জানা গেল, সামনের টপ দেয়ালের ওপরের অংশে মার্বেল বা গ্রানাইট ব্যবহার করা ভালো। কারণ, এখানে জিনিসপত্র কাটাকুটি বা পরিবেশনের কাজ করা হয়। এখানে টাইলস ব্যবহার হলে কিছুদিন পর পরই ভিনেগার বা লেবু-পানিতে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ড্রাই কিচেনে গ্লাস ব্যবহার হলে সেটা ভেজা কাপড়ে মুছে নিতে হবে। ড্রাই কিচেনের বেসিনে কোনো আবর্জনা জমিয়ে রাখা ঠিক না। এমন রান্নাঘরে ওয়াটারপ্রুফ ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা উচিত।
সায়মা জাহান জানান, ওপেন কিচেনে মসলাযুক্ত খাবার রান্না করা উচিত না। এতে সারাঘরে গন্ধ ছড়ায়, কয়েক দিনেই এই রান্নাঘরটি নোংরা হয়ে পড়বে। ওপেন কিচেনে কাজের জিনিস এক পাশে রাখা উচিত। ছুরি বা ধারালো জিনিস হলে সেটা সাবধানে রাখতে হবে। ওপেন রান্নাঘরে ময়লা রাখার জন্য ঢাকনাসহ ঝুড়ি ব্যবহার করা উচিত।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts