বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে অব্যাহত স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায়
উদ্বিগ্ন সরকার। এ স্বর্ণ চোরাচালান রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
ইতিমধ্যে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিমান কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফায় চিঠি
দিয়েছে। কিন্তু এতে টনক নড়েনি তাদের। শেষ পর্যন্ত গতকাল সোমবার বিমানের
প্রধান নির্বাহী কাইল হেউড এবং পরিচালক (অর্থ) মোসাদ্দিক আহমেদকে জাতীয়
রাজস্ব বোর্ডে তলব করা হয়। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের এক ঘণ্টারও
বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বৈঠক
সূত্রে জানা যায়, চোরাচালান বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত বছরের ১২ আগস্ট ও
২৫ নভেম্বর বিমান কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় শুল্ক ও তদন্ত অধিদপ্তর। বাংলাদেশ
বিমানের দুইটি পৃথক উড়োজাহাজ থেকে গত ১৪ জানুয়ারি ১৪ কেজি এবং ২ ফেব্রুয়ারি
৬২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় । উড়োজাহাজের ভেতরে এগুলো লুকিয়ে রাখা ছিল। এ
তথ্য জানিয়ে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ না হওয়ায়
বিমান কর্মকর্তাদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বিমান কর্মকর্তাদের
বলেন, চোরাচালানের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পাচার রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ
দিতে হবে।
জিজ্ঞাসাবাদে
বারবার চোরাচালানের ঘটনা বিশ্লেষন করা হয়। স্বর্ণপাচার রোধে বিমানের
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চোরাচালান সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান, লোডিং পয়েন্টে
সতর্কতা বাড়ানো, হ্যাঙ্গার গেটের ভিতরে ও মেইনটেনেন্স এরিয়ায় সিসিটিভি
স্থাপন, উড়োজাহাজের নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করতে পরামর্শ দেয়া হয়।
ইতিমধ্যে
চোরাচালানের ঘটনায় আইনি ও বিভাগীয় মামলায় চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে যথাযথ
ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বর্তমানে তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটিকে পূর্ণ সহায়তা
দিতে বিমান কর্তৃপক্ষকে আহবান জানানো হয়।