প্রায়
এক মাস ধরে দফায় দফায় দরপতনে পুঁজিবাজারের সূচক ব্যাপক কমে যাওয়ার পর গত
পাঁচ কর্মদিবসে কিছুটা বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক
অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাচ্ছেন না। এ কারণে বাজারে
বিনিয়োগ কমে গেছে। অধিক দরপতনের ফলে অনেক শেয়ারের দর তলানীতে নেমে এসেছে।
এজন্য কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে অংশ নিচ্ছে। ফলে ফের সূচক
বাড়ছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে বাজারও ঘুরে দাঁড়াবে।
গত ৫ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ৯৪
পয়েন্ট বেড়েছে।
এদিকে
তালিকাভুক্তির পর দর বাড়তে থাকলেও সোমবার দরপতনের শীর্ষে চলে এসেছে ইফাদ
অটোস লিমিটেড। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ টাকা ৯০ পয়সা কমেছে। এ কোম্পানির
৪৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ২৮ কোটি
৪৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
ডিএসই
জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ খাতের গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর
২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের
জন্য ৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে কোম্পানিটি ৯৫ শতাংশ নগদ
অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দিয়েছে। সব মিলে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির
লভ্যাংশের পরিমাণ দাড়িয়েছে ১৬০ শতাংশ নগদ। সমাপ্ত অর্থবছরে আর্থিক
কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ দশমিক ৬৭ টাকা এবং শেয়ার প্রতি
সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৩ দশমিক ২৩ টাকা।
তথ্যে
দেখা গেছে, ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭১২
পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৪৯
পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৮ কোটি ১ লাখ টাকা। যা আগের
দিনের চেয়ে ৪৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেশি।
লেনদেনকৃত
৩১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৩৮টির এবং অপরিবর্তিত
রয়েছে ৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)
সার্বিক মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৪২২ পয়েন্টে
দাঁড়িয়েছে।
লেনদেন হয়েছে
২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৩ কোটি টাকা বেশি। লেনদেনকৃত
২৩০টি কোমপানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে
৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের।
ডিএসই
সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ১৩৩
কোটি ১৩ লাখ টাকা হয়েছে তিন খাতের কোম্পানি ঘিরে। খাতগুলো হচ্ছে প্রকৌশল,
ওষুধ ও রসায়ন এবং বিদ্যুত্ ও জ্বালানী খাত। আগের দিন এই তিন খাতের লেনদেন
ছিল ৪১ দশমিক ১ শতাংশ বা ৮৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে এ
খাতগুলোর লেনদেন বেড়েছে গড়ে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৪৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।