Entertainement news - আনপ্লাগড ব্রায়ান অ্যাডামস

আনপ্লাগড ব্রায়ান অ্যাডামস
আশি-নব্বই দশকের কোনো কিশোর-কিশোরীকে তার পছন্দের রক শিল্পী সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হলে সে কোনো চিন্তা ছাড়াই উত্তর দেবে—ব্রায়ান অ্যাডামস। চিরতরুণ এ শিল্পী কানাডার কিংস্টোনে ১৯৫৯ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম রায়ান গাই অ্যাডামস। ব্যতিক্রমী ঘরানার গায়কী এবং কণ্ঠের জন্য সে সময়ের অন্যতম রক শিল্পী হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। এ পর্যন্ত অ্যাডামস ১২টি স্টুডিও অ্যালবাম, ৫টি লাইভ অ্যালবাম এবং ৬৯টি সিঙ্গেল করেছেন। তার ৪র্থ অ্যালবাম ‘রেকলেস’ ছিল অসাধারণ হিট একটি অ্যালবাম। মূলত এই অ্যালবামের মধ্য দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ সারাবিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত অ্যালবামটি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ সেরা গানের তালিকায় স্থান করে নেয়, এমনকি প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত কোনো গান যুক্তরাজ্যের শীর্ষ দশে ঠাঁই পায়। ১৯৮৫ সালে প্রিন্সেস ডায়ানার প্রতি সম্মান জানিয়ে তার গাওয়া ‘হেভেন’ গানটি আমেরিকার টপচার্টে প্রথম স্থান এনে দেয় অ্যাডামসকে। এখন পর্যন্ত তার গাওয়া এ গানটি সর্বোচ্চ দর্শকপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এরপরেই আছে তার অন্যতম গাওয়া বিখ্যাত গান ‘সামার অব সিক্সটি নাইন’। মূলত রোমান্টিক ধাঁচের গান ‘হেভেন’। গানের শুরুতে অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করা হয়েছে। আর পরবর্তী লাইনগুলোতে নিজের প্রেমিকাকে কাছে পেয়ে তিনি কতটা ধন্য সেই কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। গানের মূল উপজীব্য বিষয় ভালোবাসা, যেখানে তিনি জীবনে শুধু ভালোবাসা চান এবং তার ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে চান। এই প্রাপ্তিটুকুই তাকে স্বর্গের অনুভূতি এনে দেয়। এমনই কিছু বার্তা নিয়ে করা হয়েছে ‘হেভেন’ গানটি।  অ্যাডামস ও তার বন্ধু ভ্যালেন্স মিলেই বেশিরভাগ গান লিখেছেন। ১৯৮৭ সালে তাদের অ্যালবাম ‘ইনটু দ্য ফায়ার’ যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাজ্যে শীর্ষ স্থান দখল করে নেয়। মূলত এটাই ছিল অ্যাডামস এবং ভ্যালেন্সের যৌথভাবে করা শেষ অ্যালবাম। ১৯৯১ সালে অ্যাডামস ‘রবিনহুড’-এ প্লেব্যাক করে বিশাল সফলতা পান। এ মুভিতে তার গাওয়া ‘এভরিথিং আই ডু’ গানটি যুক্তরাষ্ট্রে টানা ১৬ সপ্তাহ শীর্ষ স্থান ধরে রাখে। তার মিউজিক ক্যারিয়ারের অন্যতম অর্জন হলো নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মদিনের উত্সবে গান গাওয়া, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গাওয়া। কিন্তু সব থেকে বড় অর্জন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড’ খ্যাত লাইভ কনসার্ট। গান গাওয়ার পাশাপাশি গান লেখাতেও দারুণ পটু অ্যাডামস, যা তাকে বিনা দ্বিধায় তার সময়ের সেরা রক শিল্পী হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে দিয়েছে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts