National news - নিউমোনিয়ার টিকাও দেয়া হবে শিশুদের

নিউমোনিয়ার টিকাও দেয়া হবে শিশুদের
নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচীতে এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে নিউমোনিয়ার টিকা। এতদিন টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় পোলিও, যক্ষা, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস বি, হাম-রুবেলা এবং হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হত। এছাড়াও পোলিওর টিকা মুখে খাওয়ানো বদলে দেয়া হবে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শনিবার ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিউমোনিয়া টিকা ও পোলিও ইঞ্জেকশনের উদ্বোধন করবেন। এর ফলে বাংলাদেশে ৩০ লাখ শিশু সুফল পাবে বলে বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা দিয়ে আসা দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভি), ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকেশন ইনিশিয়েটিভ (জিপিইআই) শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে।
বাংলাদেশে এতোদিন পোলিওর মুখে খাওয়ানোর টিকা ব্যবহার করা হলেও আন্তর্জাতিকভাবেই এ টিকার ইনজেকশন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। 
পোলিও টিকা মুখে খাওয়ানো হলে মাঝে মধ্যে শিশুর এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা যায়। কিন্তু ইনজেকশন আকারে এ টিকা দেওয়া হলে সেই ঝুঁকি থাকে না, যদিও এর খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি।
১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়। এর আওতায় বড় বড় হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে প্রতি ১০০ জনে মাত্র ২ জন শিশুকে টিকা দেয়া সম্ভব হতো। তাই ১৯৮৫ সালে প্রত্যেক শিশুকে এই কর্মসূচীর আওতায় আনতে নতুন কৌশল নির্ধারণ করা হয়। এতে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের সকল টিকা নিশ্চিত করতে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচী সম্প্রসারণ করা হয়। পাশাপাশি নবজাতককে ধনুষ্টংকার থেকে রক্ষা করতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্তান ধারনক্ষম মেয়েদের টিটি টিকা দেওয়া শুরু হয়।
এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্মের পরপরই যক্ষা থেকে রক্ষা করতে বিসিজি টিকা দেয়া হয়। ৬ সপ্তাহ বয়সে ডিপথেরিয়া, পাটুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইপিস বি ও হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জাএই পাচঁ রোগ প্রতিরোধের টিকার প্রথম ডোজটি দেয়া হয়। এরপর ১০ সপ্তাহে দ্বিতীয় ও ১৪ সপ্তাহ বয়সে তৃতীয় ডোজটি দেয়া হয়। এরসঙ্গে হাম-রুবেলার টিকাটি (এমআর) নয় মাস বয়সের পরে দেয়া হয়। এরপর শুধু রোবেলা প্রতিরোধের টিকাটি ১৫ মাস বয়সে দেয়া হয়ে গেলে বলা যাবে, শিশু সব টিকা পেয়ে গেছে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts