National news - সীমান্তের ৪০ পয়েন্ট দিয়ে আসে ফেনসিডিল গাঁজা বাংলাদেশ-ভারত ডিজি পর্যায়ে বৈঠক

সীমান্তের ৪০ পয়েন্ট দিয়ে আসে ফেনসিডিল গাঁজাসীমান্তের চল্লিশটি পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন আসছে দশ লাখ বোতল ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য। সংঘবদ্ধ চোরাচালানী চক্র বেপরোয়াভাবেই ফেনসিডিল আনছে। পরে সেগুলো ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকাসহ সারা দেশে। মাদক দ্রব্য অধিদফতর ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
ফেনসিডিলের এই আগ্রাসন শূন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে আগামীকাল রবিবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মাদক মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের বৈঠক। প্রতি বছর এ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও এবারে হচ্ছে তিন বছর পর। এটি হচ্ছে ডিজি পর্যায়ের চতুর্থ বৈঠক। সর্বশেষ বৈঠক হয় ২০১২ সালের তিন অক্টোবর দিল্লিতে। মাদক দ্রব্য অধিদফর সূত্র জানায়, ডিজি পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের তরফ থেকে ভারতের সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩০৯টি ফেনসিডিল কারখানার তালিকা প্রদান করে ঢাকা। ঢাকার তরফ থেকে এসব ফেনসিডিল কারখানা ধ্বংস করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন)  প্রণব কুমার নিয়োগী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ ডিজি (মাদক) পর্যায়ে চতুর্থ  বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে গত বছর ১৫-১৬ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। সব প্রস্তুতি নেয়ার পরও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বৈঠকে ভারত ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার অনেকটাই রক্ষা করেছে। আশা করা যায় চতুর্থ বৈঠকে আরো ফলপ্রসূ আলোচনা হবে এবং আমরা সীমান্তে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য পাচার শূন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে সক্ষম হব। তিনি জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ফেনসিডিল কারখানার যে তালিকা দেয়া হয়েছিল তার অনেকগুলোই ধ্বংস করেছে ভারত সরকার। এমনকি সীমান্ত এলাকায় ফার্মেসি (ওষুধের দোকান) স্থাপনের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে তারা।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ভারতে ফেনসিডিল উত্পাদন হলেও সে দেশের মাদকসেবীরা তা সেবন করে না। এর ব্যাপক চাহিদা বাংলাদেশে। এক সময় ফেনসিডিলের আগ্রাসন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। ভারত-বাংলাদেশের মাদক ডিজি পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠানের পর থেকে ফেনসিডিল আগ্রাসান অনেকটা কমেছে। মাদকের ঐ কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় বৈঠকের পর প্রায় আড়াই বছর সময় গড়িয়েছে। আমরা আশায় আছি,  চতুর্থ বৈঠকে ফেনসিডিল প্রবেশ বন্ধ ও এটাকে শূন্যের ঘরে নামিয়ে আনা যাবে। এই কর্মকর্তা আরো জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু তালিকা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি সীমান্তে মাদক বন্ধে ভারতের পক্ষ থেকেও একটি তালিকা প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের মিজোরামের ছোট হরিনা বর্ডার এলাকার বাইনচারি, বাল্টি, দোমাগ্রি লংলাই, মেঘালয়ের জনতাপুর বর্ডার এলাকার এমদো, দেওকি, খয়াই, চুনারুঘাট বর্ডার এলাকার ওয়েস্ট ত্রিপুরা, মনতলা বর্ডার এলাকার মোহনপুর, সেদাই ওয়েস্ট ত্রিপুরা, আগরতলার বাগাদিরমাথ, বামুতিয়া, নসিংঘর, বসিরহাট এবং নর্থ ২৪ পরগনা সীমান্ত এলাকায় এখনও বেশ কিছু অবৈধ ফেনসিডিল কারখানা রয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি তালিকা বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নিকট দেয়া হবে।
ঢাকায় আসছে ১০ সদস্যের টিম ঃ ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (এনসিবি) ডিজি শ্রী বি বি মিশ্রর নেতৃত্বে আজ শনিবার ঢাকায় আসছে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল। ২২-২৩ মার্চ সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে ডিজি পর্যায়ের বৈঠক। এতে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. বজলুর রহমান।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts