স্বর্ণ চোরাচালানের আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্সের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের সহায়তায় বিভিন্ন দেশ
থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে স্বর্ণ আনা হচ্ছে। এরপর চোরাচালানকৃত স্বর্ণের
সিংহভাগই পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে। আর এ কাজে তারা জাতীয়
পতাকাবাহী সংস্থা বিমানের উড়োজাহাজকে ব্যবহার করছে। ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ ও
বিমানের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়া যাত্রী এবং বিমানের নিরাপত্তাও হুমকির
মুখে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিমানের উড়োজাহাজ ব্যবহার করে স্বর্ণ চোরাচালানের
ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি কারো। এমনকি
চোরাচালানের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর প্রতিবেদনগুলোও আলোর মুখ দেখেনি।
বিভিন্ন সময় কয়েকজনকে আটক করা হলেও মূল হোতারা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরেই।
এ জন্য বিমানের সাথে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ‘সর্ষের ভেতরেই ভূত’ রয়েছে বলে
ধারণা করছেন অনেকে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশের একটি উড়োজাহাজ থেকে প্রায় পৌনে ৬৩ কেজি স্বর্ণের চোরাচালান আটক করা হয়। ওই ঘটনার তদন্ত করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তিন সদস্যের একটি কমিটি। কমিটি ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এই প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, পৌনে ৬৩ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে গত বছরের ২৬ এপ্রিল ১০৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার এবং ২০১৩ সালের ২৪ জুলাইয়ের ১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনার মিল রয়েছে। এ সব স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে বিমানের উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে। আর বিমানের অভ্যন্তরে যেভাবে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরাসরি জড়িত থাকা কিংবা সহায়তা করা ছাড়া সেভাবে লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, বিমানের বেশ কিছুসংখ্যক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরেই সংঘবদ্ধ স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত। এরা ককপিট ও কেবিন ক্রু, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শিডিউলিং শাখায় কর্মরত। এ চক্রের একটি অংশ বিদেশ থেকে বিমানের উড়োজাহাজে স্বর্ণ লুকিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমান বন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। অপর অংশ উড়োজাহাজ থেকে খালাস করে বিমান বন্দরের বাইরে প্রাপকের হাতে তুলে দেয়ার দায়িত্ব পালন করে। বিমানের ঐ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চোরাকারবারিদের শুধু সহায়তাই করে না বরং স্বর্ণ লুকিয়ে রাখার কৌশলও শিখিয়েছে। বিদেশ থেকে বিমানে অবৈধভাবে স্বর্ণ বহন করে দেশে এনে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা খালাস করার জন্য প্রভাবও খাটায় তারা। চোরাচালানের সাথে জড়িত এ সকল কর্মকর্তা বিপুল পরিমাণ অর্থও হাতিয়ে নিয়েছেন। যেমন, গত ২ ফেব্রুয়ারি চোরাচালানকৃত স্বর্ণ বহনকারী উড়োজাহাজটিকে বিমানবন্দরের বে’তে না রেখে ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল চোরাচালানটি কাস্টমস চেকিং এড়িয়ে ও রাজস্ব পরিশোধ না করে দেশে বিশেষ কৌশলে পাচার করা।
প্রায় পৌনে ৬৩ কেজি স্বর্ণের চোরাচালান আটকের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার বহন করে কোন একক ব্যক্তির জন্য দুবাই এয়ারপোর্টের সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজে উঠা এবং বিভিন্ন অবস্থানে ও বিভিন্ন টয়লেটের মধ্যে গোপন স্থানে রাখা অসম্ভব ব্যাপার। সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে এ কাজ সংঘটন করা হয়েছে। তারা বিমান বন্দরে অবতরণ করার পর উড়োজাহাজটি হ্যাঙ্গারে নিয়ে গিয়েছিল। যাতে সেখানে কর্মরত বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অন্যান্য সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় বিমান বন্দরের বাইরে স্বর্ণ পাচার করা যায়। কিন্তু গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে বিমানের ফ্লাইট বিজি-০৪৮’র বিভিন্ন টয়লেটের মিরর কেবিনেটের ভিতরের দিকে এবং টয়লেটের বডির মধ্যবর্তী স্থানসমূহের স্ক্রুগুলো খুলে উদ্ধারকৃত স্বর্ণবারের একটি বড় অংশ উদ্ধার করা হয়। দুবাই থেকে ঢাকায় আগমনের উড্ডয়নকালীন সময়ের মধ্যে যেকোন সময় উদ্ধারকৃত স্বর্ণবারগুলো গোপন স্থানে রাখা হয়। এতে বিমানের এক বা একাধিক ক্রুর সংশ্লিষ্টতা থাকার আশংকা রয়েছে। যেহেতু স্বর্ণগুলো গোপন স্থানে স্ক্রু করে রাখা হয়েছিল তাই তা আনস্ক্রু করা ছাড়া বের করা সম্ভব ছিল না। তাই হ্যাঙ্গারে নিয়ে চক্রের সদস্য ও উড়োজাহাজের মেইনটেনেন্সের সাথে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে এ স্বর্ণবার বাইরে পাচার হতো। তদন্তে জানা যায়, উড়োজাহাজটি হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়ার পর এর বিভিন্ন মেইনটেনেন্স ও চেকিং সংক্রান্ত কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জুনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার আমিরুল ইসলাম, বশির উদ্দিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিরঞ্জন মালি স্বর্ণ চোরাচালানটি বাইরে পাচারের চেষ্টার সংঘবদ্ধ চক্রের সাথে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের কাজ করে আসছেন। এদেরকে আটক করে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করলে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যাবে। এ ধরনের চোরাচালানের অধিকাংশ ঘটনায় শুল্ক গোয়েন্দাসহ অন্যান্য কাস্টমস দপ্তর অনেক ফৌজদারী মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশের একটি উড়োজাহাজ থেকে প্রায় পৌনে ৬৩ কেজি স্বর্ণের চোরাচালান আটক করা হয়। ওই ঘটনার তদন্ত করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তিন সদস্যের একটি কমিটি। কমিটি ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এই প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, পৌনে ৬৩ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে গত বছরের ২৬ এপ্রিল ১০৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার এবং ২০১৩ সালের ২৪ জুলাইয়ের ১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনার মিল রয়েছে। এ সব স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে বিমানের উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে। আর বিমানের অভ্যন্তরে যেভাবে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরাসরি জড়িত থাকা কিংবা সহায়তা করা ছাড়া সেভাবে লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, বিমানের বেশ কিছুসংখ্যক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরেই সংঘবদ্ধ স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত। এরা ককপিট ও কেবিন ক্রু, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শিডিউলিং শাখায় কর্মরত। এ চক্রের একটি অংশ বিদেশ থেকে বিমানের উড়োজাহাজে স্বর্ণ লুকিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমান বন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। অপর অংশ উড়োজাহাজ থেকে খালাস করে বিমান বন্দরের বাইরে প্রাপকের হাতে তুলে দেয়ার দায়িত্ব পালন করে। বিমানের ঐ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চোরাকারবারিদের শুধু সহায়তাই করে না বরং স্বর্ণ লুকিয়ে রাখার কৌশলও শিখিয়েছে। বিদেশ থেকে বিমানে অবৈধভাবে স্বর্ণ বহন করে দেশে এনে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা খালাস করার জন্য প্রভাবও খাটায় তারা। চোরাচালানের সাথে জড়িত এ সকল কর্মকর্তা বিপুল পরিমাণ অর্থও হাতিয়ে নিয়েছেন। যেমন, গত ২ ফেব্রুয়ারি চোরাচালানকৃত স্বর্ণ বহনকারী উড়োজাহাজটিকে বিমানবন্দরের বে’তে না রেখে ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল চোরাচালানটি কাস্টমস চেকিং এড়িয়ে ও রাজস্ব পরিশোধ না করে দেশে বিশেষ কৌশলে পাচার করা।
প্রায় পৌনে ৬৩ কেজি স্বর্ণের চোরাচালান আটকের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার বহন করে কোন একক ব্যক্তির জন্য দুবাই এয়ারপোর্টের সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজে উঠা এবং বিভিন্ন অবস্থানে ও বিভিন্ন টয়লেটের মধ্যে গোপন স্থানে রাখা অসম্ভব ব্যাপার। সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে এ কাজ সংঘটন করা হয়েছে। তারা বিমান বন্দরে অবতরণ করার পর উড়োজাহাজটি হ্যাঙ্গারে নিয়ে গিয়েছিল। যাতে সেখানে কর্মরত বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অন্যান্য সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় বিমান বন্দরের বাইরে স্বর্ণ পাচার করা যায়। কিন্তু গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে বিমানের ফ্লাইট বিজি-০৪৮’র বিভিন্ন টয়লেটের মিরর কেবিনেটের ভিতরের দিকে এবং টয়লেটের বডির মধ্যবর্তী স্থানসমূহের স্ক্রুগুলো খুলে উদ্ধারকৃত স্বর্ণবারের একটি বড় অংশ উদ্ধার করা হয়। দুবাই থেকে ঢাকায় আগমনের উড্ডয়নকালীন সময়ের মধ্যে যেকোন সময় উদ্ধারকৃত স্বর্ণবারগুলো গোপন স্থানে রাখা হয়। এতে বিমানের এক বা একাধিক ক্রুর সংশ্লিষ্টতা থাকার আশংকা রয়েছে। যেহেতু স্বর্ণগুলো গোপন স্থানে স্ক্রু করে রাখা হয়েছিল তাই তা আনস্ক্রু করা ছাড়া বের করা সম্ভব ছিল না। তাই হ্যাঙ্গারে নিয়ে চক্রের সদস্য ও উড়োজাহাজের মেইনটেনেন্সের সাথে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে এ স্বর্ণবার বাইরে পাচার হতো। তদন্তে জানা যায়, উড়োজাহাজটি হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়ার পর এর বিভিন্ন মেইনটেনেন্স ও চেকিং সংক্রান্ত কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জুনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার আমিরুল ইসলাম, বশির উদ্দিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিরঞ্জন মালি স্বর্ণ চোরাচালানটি বাইরে পাচারের চেষ্টার সংঘবদ্ধ চক্রের সাথে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের কাজ করে আসছেন। এদেরকে আটক করে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করলে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যাবে। এ ধরনের চোরাচালানের অধিকাংশ ঘটনায় শুল্ক গোয়েন্দাসহ অন্যান্য কাস্টমস দপ্তর অনেক ফৌজদারী মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে।