নি
জের ঘর মানেই প্রশান্তির জায়গা। আর এই প্রশান্তি ভাবটা চলে আসে ঘরে ঢোকার দরজাটা দেখলেই। নগরজীবনে একটা ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের সদর দরজার বাইরে খুব বেশি জায়গা থাকে না। তবুও সেই অল্প জায়গা নানা ধরনের জিনিস দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারে। আর দরজাটাও হতে পারে সুন্দর, অন্য রকম। অন্দরসজ্জা প্রতিষ্ঠান ইন-এক্স সিটি ডিজাইনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ওমর সোহেল বলেন, আজকাল ঘরের ভেতরের সাজসজ্জার পাশাপাশি সবাই ঘরে প্রবেশের মূল দরজার সজ্জাতেও মনোযোগ দিচ্ছেন। বাইরে থেকে তো ঘরের সাজ দেখা যায় না। তাই প্রধান দরজা এবং এর আশপাশের সাজসজ্জা দেখে ভেতরটা অনুমান করা যায় সহজে। তা ছাড়া সারা দিন বাইরের ক্লান্তি কাটিয়ে ঘরে প্রবেশের আগে এই জায়গাটাই অনেকটা প্রশান্তি এনে দিতে পারে।
যে বাড়িতে যেমন জায়গা, সেখানে সেভাবেই দরজার সাজসজ্জা ঠিক করা উচিত বলে জানান ওমর সোহেল। ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের দরজার বাইরে সাধারণত দেড় থেকে দুই ফুট জায়গা পাওয়া যায়। আর তাই বাসায় বসবাসকারীদের রুচির সঙ্গে মিলিয়েই সাজানো উচিত প্রবেশমুখের সে জায়গাটুকু।
ইকো ইনভেটরসের চিফ অপারেটিং অফিসার ফারাজানা গাজী বলেন, বাসার লোকজনের মতামত নিয়েই সাধারণত বাড়ির সদর দরজা সাজানো হয়। অনেকে প্রকৃতি ভালোবাসে, কেউ পছন্দ করেন চিত্রকর্ম, কেউ বা হয়তো নানা ধরনের আসবাব বা কাচের জিনিসের প্রতি দুর্বল। এমন নানা ধরনের জিনিসই দরজার বাইরের সাজসজ্জাতে ব্যবহার করা যায়।
সদরে যেমন দরজাডিজাইনারদের মতে, বাসায় প্রবেশের মূল দরজাটা সব সময় মজবুত হওয়া জরুরি। কারণ, পুরো ঘর বা ফ্ল্যাটের সুরক্ষা দেয় এই দরজা। যে কারণে সেগুন বা মেহগনি কাঠের দরজা ব্যবহার করছেন অনেকে। সাধারণত এক পাল্লার দরজা বেশি চোখে পড়লেও আজকাল দুই পাল্লার দরজাও দেখা যাচ্ছে। অনেক অ্যাপার্টমেন্টে আবার দুই দিক দিয়ে প্রবেশপথ থাকে। যেখানে একটা দরজা দিয়ে সরাসরি ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করা যায় আর অন্যটা দিয়ে লিভিং রুমে। এসব অ্যাপার্টমেন্টের দুটি দরজার কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয় বাইরের দিক। ফারজানা গাজী বলেন, যেহেতু প্রধান দরজা, তাই দরজার লকটাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নানা ধরনের দেশি-বিদেশি লক আছে, যেগুলো বাসার নিরাপত্তার পাশাপাশি দরজার সৌন্দর্য অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। দরজার ফ্রেমটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নানা আকৃতির দরজার ফ্রেম আছে। যেটা অ্যাপার্টমেন্টের ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে।
সাজসজ্জাদরজার বাইরের জায়গাটা ছোট হলে সেটাকে বড় দেখানো যায় নানা ধরনের সাজসজ্জা দিয়ে। দরজার পাশের দেয়ালে আয়না বসালে জায়গাটা বড় দেখাবে। এ ছাড়া নানা ধরনের কাঠের ওপরে খোদাই করা ডিজাইন বা টাইলস স্টোন ব্যবহার করে জায়গাটা বড় দেখানো যায়। দরজার পাশে কাঠের বড় আকারের টেরাকোটা ছাড়াও ছোট ছোট একাধিক পেইন্টিং ঝুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। স্ট্রাটা ইন্টেরিয়রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম জানান, একটা সময় সদর দরজার পাশে ট্রাডিশনাল সাজসজ্জা দেখা গেলেও এখন চোখে পড়ছে আধুনিক ডিজাইনের সাজ। আগে অনেক বেশি করুকাজ করা দরজা ব্যবহার হলেও হালের ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টে দরজার পাশের সজ্জাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এখন কেরোসিন কাঠের ওপর মেটাল, অ্যাফেস, তামা ইত্যাদি ব্যবহার করে ডিজাইন হচ্ছে। দরজার বাইরে ব্যবহার করা হচ্ছে সিরামিক বা র্যাপটিক টাইলস।
দেয়ালের পাশে রাখা যায় নানা ধরনের ছোট গাছের টব। টব রাখতে চাইলে এমন গাছ বেছে নেওয়া উচিত, যাদের সপ্তাহে একবার আলো-বাতাস হলেই চলবে। এ ছাড়া আশপাশের ফাঁকা স্থানে আঁকা চিত্রকর্ম ঝুলিয়ে দিলেও জায়গাটা ভালো দেখাবে। এ ছাড়া বাড়তি জায়গা থাকলে একটা শ্ু র্যাক (জুতা রাখার বাক্স) বসিয়ে দিতে পারেন একপাশে। দরজা খুললেই সামনে যে জায়গাটা চোখে পড়বে, সেই জায়গাটাতেও বাইরের আবহের সঙ্গে মিল রাখা যেতে পারে। ওয়াল ব্রাকেট লাইট বা লুকানো বাতি দিয়েও জায়গাটা ঝলমলে করে তুলতে পারেন।
বাজারে নানা ধরনের দরজা পাওয়া যাচ্ছে আজকাল। এক ও দুই পাল্লার দরজা তো আছেই, আবার বাঁকানো দরজাও পাওয়া যায়। এগুলো সাধারণত ফ্ল্যাটের নকশার ওপর নির্ভর করে। প্রধান দরজায় সব সময় মজবুত কাঠ ব্যবহার করার পরমর্শ দিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পুরোনো ঢঙের দরজার বাইরে এসে আজকাল অনেকটা সাধারণ দরজাও হচ্ছে। দরজার কাঠে সবেচেয়ে বেশি চলছে সেগুন। বার্মাটিক সেগুন কাঠের ওপর সহজেই কারুকাজ করা যায়। সেগুন ছাড়াও মেহগনি ও সুন্দরী কাঠের দরজার চাহিদা বেড়েছে। দামে কিছুটা সাশ্রয়ের কথা ভাবলে কেরোসিন কাঠের দরজা তৈরির পরামর্শ দিলেন ডিজাইনাররা। দরজার সৌন্দর্য বাড়াতে কাঠের সঙ্গে আজকাল কাচের চলটাও বেড়েছে। নানা ধরনের ডিজাইন করা ডেকোর গ্লাস ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠের পাশাপাশি।
জের ঘর মানেই প্রশান্তির জায়গা। আর এই প্রশান্তি ভাবটা চলে আসে ঘরে ঢোকার দরজাটা দেখলেই। নগরজীবনে একটা ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের সদর দরজার বাইরে খুব বেশি জায়গা থাকে না। তবুও সেই অল্প জায়গা নানা ধরনের জিনিস দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারে। আর দরজাটাও হতে পারে সুন্দর, অন্য রকম। অন্দরসজ্জা প্রতিষ্ঠান ইন-এক্স সিটি ডিজাইনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ওমর সোহেল বলেন, আজকাল ঘরের ভেতরের সাজসজ্জার পাশাপাশি সবাই ঘরে প্রবেশের মূল দরজার সজ্জাতেও মনোযোগ দিচ্ছেন। বাইরে থেকে তো ঘরের সাজ দেখা যায় না। তাই প্রধান দরজা এবং এর আশপাশের সাজসজ্জা দেখে ভেতরটা অনুমান করা যায় সহজে। তা ছাড়া সারা দিন বাইরের ক্লান্তি কাটিয়ে ঘরে প্রবেশের আগে এই জায়গাটাই অনেকটা প্রশান্তি এনে দিতে পারে।
যে বাড়িতে যেমন জায়গা, সেখানে সেভাবেই দরজার সাজসজ্জা ঠিক করা উচিত বলে জানান ওমর সোহেল। ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের দরজার বাইরে সাধারণত দেড় থেকে দুই ফুট জায়গা পাওয়া যায়। আর তাই বাসায় বসবাসকারীদের রুচির সঙ্গে মিলিয়েই সাজানো উচিত প্রবেশমুখের সে জায়গাটুকু।
ইকো ইনভেটরসের চিফ অপারেটিং অফিসার ফারাজানা গাজী বলেন, বাসার লোকজনের মতামত নিয়েই সাধারণত বাড়ির সদর দরজা সাজানো হয়। অনেকে প্রকৃতি ভালোবাসে, কেউ পছন্দ করেন চিত্রকর্ম, কেউ বা হয়তো নানা ধরনের আসবাব বা কাচের জিনিসের প্রতি দুর্বল। এমন নানা ধরনের জিনিসই দরজার বাইরের সাজসজ্জাতে ব্যবহার করা যায়।
সদরে যেমন দরজাডিজাইনারদের মতে, বাসায় প্রবেশের মূল দরজাটা সব সময় মজবুত হওয়া জরুরি। কারণ, পুরো ঘর বা ফ্ল্যাটের সুরক্ষা দেয় এই দরজা। যে কারণে সেগুন বা মেহগনি কাঠের দরজা ব্যবহার করছেন অনেকে। সাধারণত এক পাল্লার দরজা বেশি চোখে পড়লেও আজকাল দুই পাল্লার দরজাও দেখা যাচ্ছে। অনেক অ্যাপার্টমেন্টে আবার দুই দিক দিয়ে প্রবেশপথ থাকে। যেখানে একটা দরজা দিয়ে সরাসরি ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করা যায় আর অন্যটা দিয়ে লিভিং রুমে। এসব অ্যাপার্টমেন্টের দুটি দরজার কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয় বাইরের দিক। ফারজানা গাজী বলেন, যেহেতু প্রধান দরজা, তাই দরজার লকটাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নানা ধরনের দেশি-বিদেশি লক আছে, যেগুলো বাসার নিরাপত্তার পাশাপাশি দরজার সৌন্দর্য অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। দরজার ফ্রেমটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নানা আকৃতির দরজার ফ্রেম আছে। যেটা অ্যাপার্টমেন্টের ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে।
সাজসজ্জাদরজার বাইরের জায়গাটা ছোট হলে সেটাকে বড় দেখানো যায় নানা ধরনের সাজসজ্জা দিয়ে। দরজার পাশের দেয়ালে আয়না বসালে জায়গাটা বড় দেখাবে। এ ছাড়া নানা ধরনের কাঠের ওপরে খোদাই করা ডিজাইন বা টাইলস স্টোন ব্যবহার করে জায়গাটা বড় দেখানো যায়। দরজার পাশে কাঠের বড় আকারের টেরাকোটা ছাড়াও ছোট ছোট একাধিক পেইন্টিং ঝুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। স্ট্রাটা ইন্টেরিয়রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম জানান, একটা সময় সদর দরজার পাশে ট্রাডিশনাল সাজসজ্জা দেখা গেলেও এখন চোখে পড়ছে আধুনিক ডিজাইনের সাজ। আগে অনেক বেশি করুকাজ করা দরজা ব্যবহার হলেও হালের ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টে দরজার পাশের সজ্জাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এখন কেরোসিন কাঠের ওপর মেটাল, অ্যাফেস, তামা ইত্যাদি ব্যবহার করে ডিজাইন হচ্ছে। দরজার বাইরে ব্যবহার করা হচ্ছে সিরামিক বা র্যাপটিক টাইলস।
দেয়ালের পাশে রাখা যায় নানা ধরনের ছোট গাছের টব। টব রাখতে চাইলে এমন গাছ বেছে নেওয়া উচিত, যাদের সপ্তাহে একবার আলো-বাতাস হলেই চলবে। এ ছাড়া আশপাশের ফাঁকা স্থানে আঁকা চিত্রকর্ম ঝুলিয়ে দিলেও জায়গাটা ভালো দেখাবে। এ ছাড়া বাড়তি জায়গা থাকলে একটা শ্ু র্যাক (জুতা রাখার বাক্স) বসিয়ে দিতে পারেন একপাশে। দরজা খুললেই সামনে যে জায়গাটা চোখে পড়বে, সেই জায়গাটাতেও বাইরের আবহের সঙ্গে মিল রাখা যেতে পারে। ওয়াল ব্রাকেট লাইট বা লুকানো বাতি দিয়েও জায়গাটা ঝলমলে করে তুলতে পারেন।
বাজারে নানা ধরনের দরজা পাওয়া যাচ্ছে আজকাল। এক ও দুই পাল্লার দরজা তো আছেই, আবার বাঁকানো দরজাও পাওয়া যায়। এগুলো সাধারণত ফ্ল্যাটের নকশার ওপর নির্ভর করে। প্রধান দরজায় সব সময় মজবুত কাঠ ব্যবহার করার পরমর্শ দিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পুরোনো ঢঙের দরজার বাইরে এসে আজকাল অনেকটা সাধারণ দরজাও হচ্ছে। দরজার কাঠে সবেচেয়ে বেশি চলছে সেগুন। বার্মাটিক সেগুন কাঠের ওপর সহজেই কারুকাজ করা যায়। সেগুন ছাড়াও মেহগনি ও সুন্দরী কাঠের দরজার চাহিদা বেড়েছে। দামে কিছুটা সাশ্রয়ের কথা ভাবলে কেরোসিন কাঠের দরজা তৈরির পরামর্শ দিলেন ডিজাইনাররা। দরজার সৌন্দর্য বাড়াতে কাঠের সঙ্গে আজকাল কাচের চলটাও বেড়েছে। নানা ধরনের ডিজাইন করা ডেকোর গ্লাস ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠের পাশাপাশি।