একটা
সময় ছিল যখন বাঙালি পরিবারগুলোর বৈঠকখানার দেয়ালজুড়ে শোভা পেত বইয়ের
তাক। কাঠের আলমারিজুড়ে সারি সারিভাবে সাজিয়ে রাখা বইগুলো তুলে ধরত বাড়ির
মানুষগুলোর পারিবারিক ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের
জীবনযাত্রায় এসেছে পরিবর্তন। বাড়িতে আলাদা পাঠাগারের ব্যবস্থা করা হয়ে
ওঠে না এ সময়ে। তবে ঘরের এক কোনায় ছোট্ট জায়গা নিয়েই করা যেতে পারে বই
রাখার আয়োজন।
এখন বিশাল আকৃতির বইয়ের আলমারি নয়, বরং পাশ্চাত্য ঘরানায় ছোট ছোট নকশার বইয়ের তাক অন্দরসজ্জায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে জানালেন অ্যাসথেটিক ইন্টেরিয়রের অন্দরসজ্জাবিদ সাবিহা কুমু। বই একটু কাত করে রাখার যে নিয়ম, তা অনুসরণ করেই একটু আঁকাবাঁকা আর জ্যামিতিক নকশায় বানানো হয় তাকগুলো। যেমন তাকের প্রথম অংশটা একটু বৃত্তাকার নকশায় রেখে তার সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন জিগজ্যাগ বা আঁকাবাঁকা রেখার তাক। তাকগুলোর নকশাটা এমনভাবে করা হয় যাতে কাজের ব্যস্ততার মাঝে একবার হলেও ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হবে বইগুলোকে। আলাদা কোনো দেয়ালজুড়ে নয়, বিভিন্ন ঘরের ফাঁকা দেয়ালগুলোতেই বানাতে পারেন এমন নান্দনিক নকশায় বইয়ের তাক। ঘুমানোর আগে একটু আয়েশ করে যাঁদের বই পড়ার অভ্যাস তাঁরা ছোট ছোট কতগুলো বর্গক্ষেত্র নকশার তাক বসিয়ে দিতে পারেন শোয়ার ঘরের বিছানার ওপরের দেয়ালটিতে। এ ছাড়া বসার ঘরে নান্দনিকতা যোগ করতে বড় আকৃতির গোলাকার নকশার তাক বসিয়ে দিতে পারেন।
এই তাক বানানোর সময় আরও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিলেন সাবিহা কুমু। যেমন, ঘরের দেয়ালটি যদি সাদা হয় সে ক্ষেত্রে বইয়ের তাকে বাদামি বা কালো রং করতে পারেন। আবার ঘরের দেয়ালে যদি অন্য কোনো রঙের ব্যবহার করা হয় তাহলে বইয়ের তাকে সাদা রঙের প্রলেপ ভালো দেখায়। বইগুলোকে ভালো রাখতে প্রয়োজন আলো-বাতাসের। তাই বইয়ের তাকটি যে নকশাই বানান না কেন তা খোলা রাখার পরামর্শ দিলেন এই অন্দরসজ্জাবিদ। এ ছাড়া বইয়ের তাকগুলোর মাঝে মাঝে রাখতে পারেন রঙিন মোম, গাছ বা শোপিস।
শুধু বই দিয়েই বাড়ির বসার ঘরটা সাজিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মোস্তফা। বইগুলো যাতে একবারের জন্য হলেও সবাই ছুঁয়ে দেখতে পারেন এ জন্য বইয়ের তাকে কাচ বা অন্য কিছু দিয়ে প্রতিবন্ধকতার ব্যবস্থা করা হয়নি সেখানে। ঘরের কোণে হাতের নাগালে বইয়ের তাক রাখলে তা একবারের জন্য হলেও বাড়ির প্রতিটি সদস্যকে বই পড়তে আগ্রহী করে তুলবে বলে মনে করেন তিনি।
অন্দরে বই সাজানোর আরও কিছু দিকনির্দেশনা দিলেন পাঠক সমাবেশের স্বত্বাধিকারী সাহিদুল ইসলাম। যেমন লেখকের নামের আদ্যাক্ষর, বিষয় আর প্রয়োজনীয়তা এই তিনটির যেকোনো একটি নিয়মে সাজাতে পারেন বই। সাধারণত একটু প্রয়োজনীয় বইগুলো হাতের কাছে রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি। এ ছাড়া দুষ্প্রাপ্য বইগুলো চামড়া অথবা রেক্সিন দিয়ে বাঁধাই করে নিতে পারেন। অনেকেই সংগ্রহের বইগুলোকে কাগজ দিয়ে বাঁধাই করে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাতের নাড়াচাড়ায় বইগুলো আবারও নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কেনার এক বছর পরপরই প্রতিটি বই কাপড় দিয়ে বাঁধাই করে নিন। এ ছাড়া সপ্তাহে একদিন বইগুলোর ধুলাবালু পরিষ্কার করে নিন। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে বইয়ের তাকের কোনায় কোনায় ন্যাপথালিন অথবা শুকনো মরিচ পোড়াও রাখতে পারেন।
এখন বিশাল আকৃতির বইয়ের আলমারি নয়, বরং পাশ্চাত্য ঘরানায় ছোট ছোট নকশার বইয়ের তাক অন্দরসজ্জায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে জানালেন অ্যাসথেটিক ইন্টেরিয়রের অন্দরসজ্জাবিদ সাবিহা কুমু। বই একটু কাত করে রাখার যে নিয়ম, তা অনুসরণ করেই একটু আঁকাবাঁকা আর জ্যামিতিক নকশায় বানানো হয় তাকগুলো। যেমন তাকের প্রথম অংশটা একটু বৃত্তাকার নকশায় রেখে তার সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন জিগজ্যাগ বা আঁকাবাঁকা রেখার তাক। তাকগুলোর নকশাটা এমনভাবে করা হয় যাতে কাজের ব্যস্ততার মাঝে একবার হলেও ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হবে বইগুলোকে। আলাদা কোনো দেয়ালজুড়ে নয়, বিভিন্ন ঘরের ফাঁকা দেয়ালগুলোতেই বানাতে পারেন এমন নান্দনিক নকশায় বইয়ের তাক। ঘুমানোর আগে একটু আয়েশ করে যাঁদের বই পড়ার অভ্যাস তাঁরা ছোট ছোট কতগুলো বর্গক্ষেত্র নকশার তাক বসিয়ে দিতে পারেন শোয়ার ঘরের বিছানার ওপরের দেয়ালটিতে। এ ছাড়া বসার ঘরে নান্দনিকতা যোগ করতে বড় আকৃতির গোলাকার নকশার তাক বসিয়ে দিতে পারেন।
এই তাক বানানোর সময় আরও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিলেন সাবিহা কুমু। যেমন, ঘরের দেয়ালটি যদি সাদা হয় সে ক্ষেত্রে বইয়ের তাকে বাদামি বা কালো রং করতে পারেন। আবার ঘরের দেয়ালে যদি অন্য কোনো রঙের ব্যবহার করা হয় তাহলে বইয়ের তাকে সাদা রঙের প্রলেপ ভালো দেখায়। বইগুলোকে ভালো রাখতে প্রয়োজন আলো-বাতাসের। তাই বইয়ের তাকটি যে নকশাই বানান না কেন তা খোলা রাখার পরামর্শ দিলেন এই অন্দরসজ্জাবিদ। এ ছাড়া বইয়ের তাকগুলোর মাঝে মাঝে রাখতে পারেন রঙিন মোম, গাছ বা শোপিস।
শুধু বই দিয়েই বাড়ির বসার ঘরটা সাজিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মোস্তফা। বইগুলো যাতে একবারের জন্য হলেও সবাই ছুঁয়ে দেখতে পারেন এ জন্য বইয়ের তাকে কাচ বা অন্য কিছু দিয়ে প্রতিবন্ধকতার ব্যবস্থা করা হয়নি সেখানে। ঘরের কোণে হাতের নাগালে বইয়ের তাক রাখলে তা একবারের জন্য হলেও বাড়ির প্রতিটি সদস্যকে বই পড়তে আগ্রহী করে তুলবে বলে মনে করেন তিনি।
অন্দরে বই সাজানোর আরও কিছু দিকনির্দেশনা দিলেন পাঠক সমাবেশের স্বত্বাধিকারী সাহিদুল ইসলাম। যেমন লেখকের নামের আদ্যাক্ষর, বিষয় আর প্রয়োজনীয়তা এই তিনটির যেকোনো একটি নিয়মে সাজাতে পারেন বই। সাধারণত একটু প্রয়োজনীয় বইগুলো হাতের কাছে রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি। এ ছাড়া দুষ্প্রাপ্য বইগুলো চামড়া অথবা রেক্সিন দিয়ে বাঁধাই করে নিতে পারেন। অনেকেই সংগ্রহের বইগুলোকে কাগজ দিয়ে বাঁধাই করে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাতের নাড়াচাড়ায় বইগুলো আবারও নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কেনার এক বছর পরপরই প্রতিটি বই কাপড় দিয়ে বাঁধাই করে নিন। এ ছাড়া সপ্তাহে একদিন বইগুলোর ধুলাবালু পরিষ্কার করে নিন। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে বইয়ের তাকের কোনায় কোনায় ন্যাপথালিন অথবা শুকনো মরিচ পোড়াও রাখতে পারেন।