সালোয়ার-কামিজের
দৈর্ঘ্যটা কি এবার মেঝে ছোঁবে, নাকি হাঁটুর নিচ পর্যন্ত থাকবে। পালাজ্জোর
সঙ্গে কি কুর্তা পরার ট্রেন্ডটা বহাল থাকবে এবারও—এমনই নানা চিন্তাভাবনা
কাজ করে ফ্যাশন-সচেতনদের মনে। নানা বৈচিত্র্যময় নকশার পোশাক নিয়ে
নিরীক্ষা করতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এ বছরের সুখবরটা হলো, শুধু কাট
আর প্যাটার্নের বৈচিত্র্যে নয়, পোশাকের ধরনেও এবার থাকছে নতুনত্বের
ছোঁয়া। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বা জিনস কিংবা টি-শার্ট পরে যাঁরা একঘেয়ে
বোধ করছেন, তাঁরা এ বছর দেখা পাবেন নানা ধরনের নতুন সব পোশাক। জাম্পস্যুট,
ম্যাক্সি ড্রেস, গাউন—এ ধরনের পোশাকগুলো পশ্চিমা ফ্যাশনে অনেক আগে থেকে
প্রচলিত থাকলেও এখন আমাদের দেশের ডিজাইনাররাও এ দেশের মানুষের পরার উপযোগী
করে বানাচ্ছেন এ ধরনের পোশাক।
কয়েক বছর ধরেই চলছিল খাটো আর ফিটেড পোশাকের ধারা। গত বছর একটু লম্বা আর ঢোলা পোশাকের চল দেখা গেলেও এ বছর ঢিলেঢালা পোশাকের স্টাইল চলবে পুরোদমেই। আর এ ক্ষেত্রে চল্লিশের দশকের ফ্যাশনটাকে এবার অনুসরণ করা হবে বলে জানালেন ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরুখ আমীন। ঢিলেঢালা পোশাক বলতে সেই সময় জাম্পস্যুট, ম্যাক্সি ড্রেস আর গাউন জনপ্রিয় ছিল। কারণ, ঢোলা হবার পরেও এ ধরনের পোশাকে ফুটে উঠত স্টাইলিশ লুক। তবে পোশাকটা যেমনই হোক না কেন, তাতে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে ফুলেল মোটিফ, বেবি কলার, বেলুন হাতার নকশাই এই বছর বেশি চলবে বলে জানালেন শাহরুখ আমীন।
পাশ্চাত্য ঘরানার এসব পোশাকে এখন প্রাচ্যের সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতির মিশেলে আনা হচ্ছে ফিউশন। ভায়োলা বাই ফারিহার ডিজাইনার ফারিহা তাশমীন জানালেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বলরুম বা ইভনিং গাউনগুলোয় সাধারণত কোমর পর্যন্ত ফিটিং রেখে তার নিচ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ঘের।
এদিকে আমাদের দেশে মেয়েদের গড়ন একটু ভারী হওয়ায় কাটিংয়ে পরিবর্তন আনছেন ডিজাইনাররা। যেমন গাউনে ঘেরটা এখন শুরু হচ্ছে বুকের নিচ থেকে। একটু মোটা বলে যাঁরা এত দিন এই ধরনের পোশাক এড়িয়ে চলতেন, তাঁদের জন্যও গাউনে থাকছে বিশেষ নকশা। যেমন লং গাউনের মাঝখানে আলাদা কাপড় জোড়া দিয়ে তাতে দেওয়া হচ্ছে শরীরের সঙ্গে মানানসই আকার। এ ধরনের গাউনের দুই দিকটা একটু ফিটেড দেখানোর জন্য করা হচ্ছে গাঢ় রঙের কাপড়ের ব্যবহার। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের গড়নেই মানিয়ে যাওয়ার জন্য থাকছে মারমেইড বা ফিশ শেপের গাউন। এ ধরনের নকশায় হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত থাকছে নেটের ঝুল। গতানুগতিক নকশার বাইরে গাউনে নতুনত্ব আনতে সামনের দিকে ওড়নার স্টাইলে কুঁচি দিয়ে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে কাপড়। কোনো কোনো গাউনে আবার শাড়ির আঁচল স্টাইলে এক পাশেও থাকছে বাড়তি কাপড়।
এদিকে ক্যাজুয়াল ব্যবহারের জন্য জাম্পস্যুট এ বছর বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে জানান ফ্যাশন হাউস আরবান ট্রুথের ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা। লাল, নীল, কালো, সাদা—এ রকম একরঙা গেঞ্জির কাপড়ে তৈরি জাম্পস্যুটগুলো বছরের যেকোনো সময় পরার জন্য বেশ আরামদায়ক। জাম্পস্যুটের নকশায় তেমন বৈচিত্র্য না এলেও তার ওপরে নানা রকম জ্যাকেট, কোট বা স্কার্ফ জড়িয়ে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।
এদিকে শপিং মলগুলো ঘুরে দেখা গেল, গাউন আর জাম্পস্যুটের পাশাপাশি হাটুঁ পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের পার্টি বা ককটেল ড্রেসগুলোও এখন বেশ জনপ্রিয় তরুণীদের মাঝে। একস্ট্যাসির মেয়েদের পোশাক বিভাগের বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অনেকটা টপ প্যাটার্নের এই ড্রেসগুলো শুধু জর্জেট আর গেঞ্জির কাপড়েই নয়, এখন তৈরি হচ্ছে সিল্কের কাপড়েও। নীল, গোলাপি বা বাঙ্গি রঙের টপের সামনে কালো নেটের ওপর বসানো হয়েছে ফুলেল নকশার লেস। একটু জমকালো পার্টিতে পরার জন্য কালো রঙের মখমল বা ভেলভেটের ড্রেসগুলোতে থাকছে চুমকির কাজ। এ ছাড়া ককটেল ড্রেস নামে পরিচিত এই পোশাকগুলোয় নিচের পিকো এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে করে পোশাক ছড়িয়ে থাকছে ফুলের মতো।
কয়েক বছর ধরেই চলছিল খাটো আর ফিটেড পোশাকের ধারা। গত বছর একটু লম্বা আর ঢোলা পোশাকের চল দেখা গেলেও এ বছর ঢিলেঢালা পোশাকের স্টাইল চলবে পুরোদমেই। আর এ ক্ষেত্রে চল্লিশের দশকের ফ্যাশনটাকে এবার অনুসরণ করা হবে বলে জানালেন ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরুখ আমীন। ঢিলেঢালা পোশাক বলতে সেই সময় জাম্পস্যুট, ম্যাক্সি ড্রেস আর গাউন জনপ্রিয় ছিল। কারণ, ঢোলা হবার পরেও এ ধরনের পোশাকে ফুটে উঠত স্টাইলিশ লুক। তবে পোশাকটা যেমনই হোক না কেন, তাতে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে ফুলেল মোটিফ, বেবি কলার, বেলুন হাতার নকশাই এই বছর বেশি চলবে বলে জানালেন শাহরুখ আমীন।
পাশ্চাত্য ঘরানার এসব পোশাকে এখন প্রাচ্যের সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতির মিশেলে আনা হচ্ছে ফিউশন। ভায়োলা বাই ফারিহার ডিজাইনার ফারিহা তাশমীন জানালেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বলরুম বা ইভনিং গাউনগুলোয় সাধারণত কোমর পর্যন্ত ফিটিং রেখে তার নিচ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ঘের।
এদিকে আমাদের দেশে মেয়েদের গড়ন একটু ভারী হওয়ায় কাটিংয়ে পরিবর্তন আনছেন ডিজাইনাররা। যেমন গাউনে ঘেরটা এখন শুরু হচ্ছে বুকের নিচ থেকে। একটু মোটা বলে যাঁরা এত দিন এই ধরনের পোশাক এড়িয়ে চলতেন, তাঁদের জন্যও গাউনে থাকছে বিশেষ নকশা। যেমন লং গাউনের মাঝখানে আলাদা কাপড় জোড়া দিয়ে তাতে দেওয়া হচ্ছে শরীরের সঙ্গে মানানসই আকার। এ ধরনের গাউনের দুই দিকটা একটু ফিটেড দেখানোর জন্য করা হচ্ছে গাঢ় রঙের কাপড়ের ব্যবহার। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের গড়নেই মানিয়ে যাওয়ার জন্য থাকছে মারমেইড বা ফিশ শেপের গাউন। এ ধরনের নকশায় হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত থাকছে নেটের ঝুল। গতানুগতিক নকশার বাইরে গাউনে নতুনত্ব আনতে সামনের দিকে ওড়নার স্টাইলে কুঁচি দিয়ে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে কাপড়। কোনো কোনো গাউনে আবার শাড়ির আঁচল স্টাইলে এক পাশেও থাকছে বাড়তি কাপড়।
এদিকে ক্যাজুয়াল ব্যবহারের জন্য জাম্পস্যুট এ বছর বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে জানান ফ্যাশন হাউস আরবান ট্রুথের ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা। লাল, নীল, কালো, সাদা—এ রকম একরঙা গেঞ্জির কাপড়ে তৈরি জাম্পস্যুটগুলো বছরের যেকোনো সময় পরার জন্য বেশ আরামদায়ক। জাম্পস্যুটের নকশায় তেমন বৈচিত্র্য না এলেও তার ওপরে নানা রকম জ্যাকেট, কোট বা স্কার্ফ জড়িয়ে বৈচিত্র্য আনতে পারেন।
এদিকে শপিং মলগুলো ঘুরে দেখা গেল, গাউন আর জাম্পস্যুটের পাশাপাশি হাটুঁ পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের পার্টি বা ককটেল ড্রেসগুলোও এখন বেশ জনপ্রিয় তরুণীদের মাঝে। একস্ট্যাসির মেয়েদের পোশাক বিভাগের বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অনেকটা টপ প্যাটার্নের এই ড্রেসগুলো শুধু জর্জেট আর গেঞ্জির কাপড়েই নয়, এখন তৈরি হচ্ছে সিল্কের কাপড়েও। নীল, গোলাপি বা বাঙ্গি রঙের টপের সামনে কালো নেটের ওপর বসানো হয়েছে ফুলেল নকশার লেস। একটু জমকালো পার্টিতে পরার জন্য কালো রঙের মখমল বা ভেলভেটের ড্রেসগুলোতে থাকছে চুমকির কাজ। এ ছাড়া ককটেল ড্রেস নামে পরিচিত এই পোশাকগুলোয় নিচের পিকো এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে করে পোশাক ছড়িয়ে থাকছে ফুলের মতো।
কোথায় পাবেন
ঢাকার বনানীর ফ্যাশন হাউস ভায়োলা বাই ফারিহাতে পাবেন
বৈচিত্র্যময় নকশার গাউন। দামটা শুরু ৩৫০০ টাকা থেকে। ককটেল ড্রেসের দাম
পড়বে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা। জ্যাকেটসহ জাম্পস্যুটের দাম ২৫০০ টাকা। এদিকে
একস্ট্যাসি, ওটু, ইনফিনিটিতে ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যেই মিলবে পার্টি
ড্রেসগুলো। আর ফেসবুকে পোশাক কেনাবেচার পেজগুলোতে নজর রাখলেও পেয়ে যাবেন
নানা নকশার পোশাক