বয়স
বিশ বা তিরিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই মাথার চুল পাকতে শুরু করে অনেকেরই।
অনেক ছেলেই কাঁচা-পাকা চুল নিয়ে বয়সের তুলনায় ভারিক্কি একটা ভাব নিয়ে
ঘুরে বেড়ালেও মেয়েরা যেন এ নিয়ে একটু বেশিই বিপদে পড়ে। দুই-একগাছি চুলে
পাক ধরলেও সেটা সামলানো হয়তো অত কঠিন না। কিন্তু মাথা ভর্তি যত্রতত্র
পাকা চুল ঢেকে রাখাটা কী আসলেই মুশকিল? জেনে নিন কলপ না লাগিয়ে কিংবা
বাজারের প্রসাধনী ব্যবহার না করেও পাকা চুল ঢেকে রাখার সহজ কিছু কলা-কৌশল।
কম বয়সে চুল কেন পাকে
কার চুল কী রঙের হবে তা নির্ভর করে জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং বিশেষ হরমোন মেলানিনের ওপর। এই মেলানিনের অভাবের কারণেই চুল পাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেলানিন তৈরির ক্ষমতা কমে আসে বলেই বুড়ো বয়সে চুল পাকে। কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার একটা অন্যতম কারণ হতে পারে আমাদের শরীরে জিন বা বংশগতির প্রভাব। কিন্তু খাবারদাবারের ভেজাল ও পরিবেশগত দূষণসহ অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ধূমপান বা জীবনযাপনের নানা সমস্যার কারণেও কম বয়সে চুল পাকতে পারে।
ঘরে বসেই পাকা চুল ঢাকুন
কিন্তু এই অকালে চুল পাকা ঠেকাতে বাজারি কলপসহ নানা ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগান দিতে পারে এমন খাবারদাবার খাওয়ার অভ্যাস করা এবং যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে পাকা চুল ঢাকার চেষ্টা করাই ভালো। ঘরে বসে নিজেই নিজের পাকা চুলের সমস্যা দূর করার এমন কিছু সহজ উপায় তুলে ধরা হলো এখানে।
আমলকী
ঘরে বসে পাকা চুলের সমস্যা সমাধানে আমলকীর জুড়ি নেই। ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ আমলকী তারুণ্য ধরে রাখতে খুবই কার্যকর। নিয়মিত আমলকী খেলে চুলের স্বাস্থ্য তো ভালো থাকেই সঙ্গে চুল পাকা রোধ করতেও তা সাহায্য করে। আমলকী থেঁতলে নিয়ে হালকা করে বেটে নিন, একটু পানি মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। আমলকীর মণ্ড চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে দিয়ে বেশি করে পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু-একদিন আমলকীর মণ্ড মাখলে চুল পাকা রোধ করতে উপকার পাবেন।
কারি পাতা আর নারকেল তেল
খাবারদাবারের মেনুতে নিয়মিত কারি পাতা রাখুন। কারি পাতার পুষ্টি উপাদান আপনার পেকে যাওয়া চুলগুলোকে হারিয়ে যাওয়া রঙে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নারকেল তেলে কারিপাতা মিশিয়ে চুলে মাখুন। নারকেল তেলে কিছু তাজা কারিপাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছেড়ে দিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট ধরে গরম করুন। চুলা থেকে নামিয়ে তেলটা জুড়াতে দিন। তেল জুড়ালে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে সারা মাথায় মাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এমনকি রাতের বেলায় এই কারিপাতা-নারকেল তেল চাইলে সারা রাতও রেখে দিতে পারেন। পরদিন সকালে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
মেহেদি পাতার রসে রঙিন
মাথার পেকে যাওয়া চুলগুলো মেহেদি পাতার রসে রাঙিয়ে নিতে পারেন। কালো চুলের পাশাপাশি মেহেদিরঙা কিছু চুল অনেককেই খুব ভালো মানিয়ে যায়। মেহেদি পাতার গুঁড়ো বা প্যাকেটজাত মেহেদি পাউডারের সঙ্গে একটু কফির গুঁড়ো অল্প পানিতে মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। আরও ভালো ফল পেতে এই মণ্ডে অল্প টকদই ও লেবুর রসও মেশাতে পারেন। মেহেদির গুঁড়ো, কফি, দই ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে দুই-তিন ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। তারপর এই মণ্ড চুলের গোড়া থেকে ভালো করে চুলে মাখুন এবং দুই-তিন ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর প্রথমে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। পরে চুলে শ্যাম্পু করে নিন।
লেবুর রস ও বাদামের তেল
অ্যালমন্ড বা বাদামের তেলের সঙ্গে অল্প একটু লেবুর রস মেশান। আঙুলের ডগায় তেল নিয়ে ঘষে ঘষে চুলের গোড়ায় মাখুন। মাঝে মাঝে এই বাদামের তেল ও লেবুর রস চুলে মাখলে চুল পেকে যাওয়া কমতে পারে।
চুলে চা-পাতা মাখুন
চুল পাকার দাওয়াই হিসেবে হাতের কাছের চা-পাতা খুবই কার্যকর। কিছু চা-পাতা নিয়ে অল্প পানিতে ঘন করে সেদ্ধ করে নিন। পানি ঠান্ডা হলে চুলে মাখুন। চুলসহ মাথার তালুতে এই চায়ের পানি মেখে ঘণ্টা খানেকের জন্য রেখে দিন। শ্যাম্পু ছাড়া কেবল ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
এসবের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে চুলে হালকা গরম সরিষা বা নারকেল তেল মাখুন। তেল মাখার সময় মাথার তালুটা মালিশ করার মতো করে ঘষে ঘষে মাখবেন। অকালে চুল পেকে যাওয়া ঠেকাতে এটা উপকারী। এ ছাড়া খাবারদাবারে যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনই প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। শরীরে পানির চাহিদা মিটিয়ে ঠিকঠাক পানি খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। অকালে চুল পাকার জন্য পরিবেশগত দূষণের সঙ্গে শরীরে জমা হওয়া নানা দূষিত উপাদান দায়ী।
কম বয়সে চুল কেন পাকে
কার চুল কী রঙের হবে তা নির্ভর করে জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং বিশেষ হরমোন মেলানিনের ওপর। এই মেলানিনের অভাবের কারণেই চুল পাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেলানিন তৈরির ক্ষমতা কমে আসে বলেই বুড়ো বয়সে চুল পাকে। কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার একটা অন্যতম কারণ হতে পারে আমাদের শরীরে জিন বা বংশগতির প্রভাব। কিন্তু খাবারদাবারের ভেজাল ও পরিবেশগত দূষণসহ অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ধূমপান বা জীবনযাপনের নানা সমস্যার কারণেও কম বয়সে চুল পাকতে পারে।
ঘরে বসেই পাকা চুল ঢাকুন
কিন্তু এই অকালে চুল পাকা ঠেকাতে বাজারি কলপসহ নানা ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগান দিতে পারে এমন খাবারদাবার খাওয়ার অভ্যাস করা এবং যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে পাকা চুল ঢাকার চেষ্টা করাই ভালো। ঘরে বসে নিজেই নিজের পাকা চুলের সমস্যা দূর করার এমন কিছু সহজ উপায় তুলে ধরা হলো এখানে।
আমলকী
ঘরে বসে পাকা চুলের সমস্যা সমাধানে আমলকীর জুড়ি নেই। ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ আমলকী তারুণ্য ধরে রাখতে খুবই কার্যকর। নিয়মিত আমলকী খেলে চুলের স্বাস্থ্য তো ভালো থাকেই সঙ্গে চুল পাকা রোধ করতেও তা সাহায্য করে। আমলকী থেঁতলে নিয়ে হালকা করে বেটে নিন, একটু পানি মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। আমলকীর মণ্ড চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে দিয়ে বেশি করে পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু-একদিন আমলকীর মণ্ড মাখলে চুল পাকা রোধ করতে উপকার পাবেন।
কারি পাতা আর নারকেল তেল
খাবারদাবারের মেনুতে নিয়মিত কারি পাতা রাখুন। কারি পাতার পুষ্টি উপাদান আপনার পেকে যাওয়া চুলগুলোকে হারিয়ে যাওয়া রঙে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নারকেল তেলে কারিপাতা মিশিয়ে চুলে মাখুন। নারকেল তেলে কিছু তাজা কারিপাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছেড়ে দিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট ধরে গরম করুন। চুলা থেকে নামিয়ে তেলটা জুড়াতে দিন। তেল জুড়ালে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে সারা মাথায় মাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এমনকি রাতের বেলায় এই কারিপাতা-নারকেল তেল চাইলে সারা রাতও রেখে দিতে পারেন। পরদিন সকালে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
মেহেদি পাতার রসে রঙিন
মাথার পেকে যাওয়া চুলগুলো মেহেদি পাতার রসে রাঙিয়ে নিতে পারেন। কালো চুলের পাশাপাশি মেহেদিরঙা কিছু চুল অনেককেই খুব ভালো মানিয়ে যায়। মেহেদি পাতার গুঁড়ো বা প্যাকেটজাত মেহেদি পাউডারের সঙ্গে একটু কফির গুঁড়ো অল্প পানিতে মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। আরও ভালো ফল পেতে এই মণ্ডে অল্প টকদই ও লেবুর রসও মেশাতে পারেন। মেহেদির গুঁড়ো, কফি, দই ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে দুই-তিন ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। তারপর এই মণ্ড চুলের গোড়া থেকে ভালো করে চুলে মাখুন এবং দুই-তিন ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর প্রথমে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। পরে চুলে শ্যাম্পু করে নিন।
লেবুর রস ও বাদামের তেল
অ্যালমন্ড বা বাদামের তেলের সঙ্গে অল্প একটু লেবুর রস মেশান। আঙুলের ডগায় তেল নিয়ে ঘষে ঘষে চুলের গোড়ায় মাখুন। মাঝে মাঝে এই বাদামের তেল ও লেবুর রস চুলে মাখলে চুল পেকে যাওয়া কমতে পারে।
চুলে চা-পাতা মাখুন
চুল পাকার দাওয়াই হিসেবে হাতের কাছের চা-পাতা খুবই কার্যকর। কিছু চা-পাতা নিয়ে অল্প পানিতে ঘন করে সেদ্ধ করে নিন। পানি ঠান্ডা হলে চুলে মাখুন। চুলসহ মাথার তালুতে এই চায়ের পানি মেখে ঘণ্টা খানেকের জন্য রেখে দিন। শ্যাম্পু ছাড়া কেবল ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
এসবের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে চুলে হালকা গরম সরিষা বা নারকেল তেল মাখুন। তেল মাখার সময় মাথার তালুটা মালিশ করার মতো করে ঘষে ঘষে মাখবেন। অকালে চুল পেকে যাওয়া ঠেকাতে এটা উপকারী। এ ছাড়া খাবারদাবারে যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনই প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। শরীরে পানির চাহিদা মিটিয়ে ঠিকঠাক পানি খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। অকালে চুল পাকার জন্য পরিবেশগত দূষণের সঙ্গে শরীরে জমা হওয়া নানা দূষিত উপাদান দায়ী।