Beauty care news - ঢেউ খেলানো চুলের যত্নে...

এ সময়ে ঢেউ খেলানো চুলেরই চল, তবে তার পরিচর্যাও চাই। মডেল: নীলা, ছবি: নকশা

     
সবার চুলের ধরন এক নয়। চুলের যত্নের পদ্ধতিও তাই ভিন্ন ভিন্ন হওয়া উচিত। মেঘবরণ কুঞ্চিত কালো কেশ বা ঢেউ খেলানো চুল—কোঁকড়া চুলের এসব উপমা যত সুন্দরই হোক না কেন, এ ধরনের চুলের যত্ন নেওয়া একটু কঠিনই। সঠিক পরিচর্যা না পেলেই চুল হয়ে পড়বে রুক্ষ, প্রাণহীন। তবে সুবিধা হলো, ঢেউ খেলানো চুলের স্টাইলে আনা যায় অনেক বৈচিত্র্য। জেনে নিন এর যত্নআত্তি সম্পর্কে।
রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা শাকিল বলেন, সৌন্দর্যের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে চুল। মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের ক্ষেত্রেও চুল বড় ভূমিকা রাখে। প্রাণবন্ত এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল সকলেরই নজর কাড়ে। যাঁদের কোঁকড়া চুল তাঁদের একটু বেশি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
সপ্তাহ দু-তিন দিন মাথায় তেল লাগানো উচিত। অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল চুলে লাগিয়ে একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
কোঁকড়া চুলকে কোমল ও জটহীন রাখতে সপ্তাহে দু-তিন চুলে শ্যাম্পু করা উচিত। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পুও বিভিন্ন হয়ে থাকে। কোঁকড়া চুলের জন্য প্রোটিনযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। চুলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি। এতে কোঁকড়া চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে, চুল রুক্ষ হবে না।
ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে জোরে জোরে ঘষা উচিত নয়। এতে কোঁকড়া চুল আরও ফুলে থাকবে। তাই তোয়ালে দিয়ে হালকা চেপে পানি শুকিয়ে নিতে হবে।
চুল শুকিয়ে আসার আগেই বড় ও মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিতে হবে। আবার একেবারে ভেজা অবস্থায়ও চুল আঁচড়ানো উচিত নয়।
সপ্তাহে অন্তত এক দিন প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। অথবা পারলারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট, ডিপ কন্ডিশনিং, হেয়ার স্পা করাতে পারেন। তাহলে কোঁকড়া চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হবে না।
নারকেল দুধ কোঁকড়া চুলে লাগালে এটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিরাম, মুজ, লিভ অন কন্ডিশনার, জেল পাওয়া যায়। এগুলো কোঁকড়া চুলের স্টাইল করানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে দিন শেষে তা ভালোভাবে তুলে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts