উৎসবের নিমন্ত্রণটা যদি থাকে দিনের বেলায়, তাহলে সাজপোশাকটা নিয়ে ভাবনায় পড়ে যান অনেকেই। দিনের বেলায় সাজটা কি স্নিগ্ধই হবে, নাকি রাতের বেলার জমকালো ভাবটাও ধরে রাখা যাবে—এই নিয়ে চলতে থাকে নানা জল্পনা-কল্পনা। দিনের বেলার সাজে স্নিগ্ধতা বজায় রেখে কীভাবে আনবেন উৎসবের আমেজ, সেই উপায়ই বাতলে দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
সাজপোশাকে এমন সময় হালকা রঙের পরশটাই বেশ মানিয়ে যাবে বলে জানালেন ডিজাইনার মাহিন খান। তবে হালকা রং মানেই পোশাকে থাকবে না উৎসবের আমেজ, তেমনটা কিন্তু নয়। তাই দুপুরের দাওয়াতে সূক্ষ্ম কাজের সিল্ক বা মসলিন শাড়িই ভালো মানাবে বলে জানালেন তিনি। সে ক্ষেত্রে শাড়ির রংটা লেবু, মিষ্টি গোলাপি, জলপাই, আকাশি বা সাদা হলে ভালো দেখাবে। মসলিনের শাড়িতে উৎসবের আমেজ আনতে পাড়ে থাকতে পারে সুতার ভরাট কাজ। আবার একরঙা শাড়িতে কনট্রাস্ট পাড়টাও বেশ মানিয়ে যাবে দুপুরের সাজে। পুরো শাড়িটা হয়তো সিল্কের আবার আঁচলটা মসলিনের; বেছে নিতে পারেন এমন বুনটের শাড়ি।
দিনের বেলার সাজে খুব বেশি মেকআপ না করার পরামর্শ দিলেন রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান। মেকআপের বেইসটা হালকা হলে ভালো দেখাবে। সে ক্ষেত্রে ঘন আইলাইনার আর মাশকারার ব্যবহারে চোখের সাজে আনতে পারেন উৎসবের ছোঁয়া। এ ক্ষেত্রে আইশ্যাডোর রংটা হালকা হলে ভালো দেখাবে। চাইলে দুই রঙের কাজলও টেনে দিতে পারেন চোখের সাজে। এ ক্ষেত্রে কাজলটাকে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে চোখের ওপরে। অনেকেই দিনের বেলায় ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন। তবে দিনের বেলায় ঠোঁটে গ্লসি লিপস্টিকটাই ভালো দেখাবে বলে মনে করেন এই রূপবিশেষজ্ঞ।
সোনার গয়না যাঁদের পছন্দ, তাঁদের গলায় হালকা এবং কানে ভারী গয়না পরার পরামর্শ দিলেন আড়ংয়ের ডিজাইনার শাহিদা আখতার। জানালেন, সাজপোশাকটা হালকা বলে ভারী গয়না যে পরতে পারবেন না, তা কিন্তু নয়। সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন রুপা, অক্সিডাইজড বা মুক্তার গয়না। আবার এমনটাও হতে পারে যে কানে পরলেন জমকালো মুক্তার দুল আবার গলায় থাকতে পারে রুপার ওপর মিনার নকশা করা হার। গলায় মুক্তার মালা পরলে রুপার ওপর রঙিন পাথরের কাজ করা নকশার কোনো দুল ঝুলিয়ে দিতে পারেন কানে।
সাজপোশাক সবই তো হলো, এবার খোলা চুলেই পূর্ণ হতে পারে দিনের বেলায় নিমন্ত্রণে যাওয়ার প্রস্তুতি, এমনটাই জানালেন হেয়ারোবিক্সের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমীন। সে ক্ষেত্রে শাড়িটা যদি ভারী কাজের হয়, তাহলে চুলগুলোকে ব্লো ড্রাই করে ছেড়ে দিতে পারেন। আর শাড়িতে যদি থাকে হালকা নকশার ছটা, তাহলে ক্রিম্প করাতে পারেন চুল। আবার রোলার দিয়ে চুলে হালকা কোঁকড়ানো ভাবও রাখতে পারেন।