ঘরের
ভেতরেই যদি গড়ে তোলা যায় শিশুর কল্পনার মতো একটা জগৎ! সেই ঘরে সে খেলবে,
পড়বে, নিজের মতো সময় কাটাবে। মোট কথা, ঘরটা যে তার নিজস্ব, সেই
অনুভূতিটাও পাবে। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে শিশুদের জন্য বাড়ির ভেতরে খেলার
ঘরের ধারণাটা বেশ জনপ্রিয়। তবে আমাদের দেশে এখনো অনেকেই এটাকে বিলাসিতা
বলে মনে করেন।
শিশুদের
খেলার জন্য এই ধরনের আয়োজন করতে চাইলে আলাদা ঘর হলে তো ভালোই হয়, তবে তা
যদি সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে বাসার যে ঘরে জায়গা একটু বেশি, সেই ঘরের
ভেতরেই এমন আয়োজন করা সম্ভব—এমনটাই জানালেন অ্যাসথেটিক ইন্টেরিয়রের
অন্দরসজ্জাবিদ সাবিহা কুমু। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ঘরের দেয়ালের রঙের
বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। ছেলে শিশু হলে সবুজ, হলুদ রং বেছে নিতে
পারেন। আর মেয়েদের ঘরের দেয়ালে গোলাপি রংই মানায়। তবে যেহেতু বাচ্চাদের
ঘর, সে ক্ষেত্রে একদিকের দেয়ালে করতে পারেন ওয়াল পেইন্টিং। যাঁরা কম
বাজেটের মধ্যেই শিশুর জন্য এ ধরনের আয়োজন করতে চান, তাঁরা দেয়ালজুড়ে
লাগাতে পারেন বিভিন্ন কার্টুন আঁকা ওয়ালপেপার।
বাচ্চাদের ঘরে খুব বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। চাইলে ঘরের ভেতর একটু নিচু বিছানা আর দেয়ালজুড়ে বাচ্চাদের খেলনা গুছিয়ে রাখার জন্য রাখতে পারেন ওয়াল কেবিনেট। বিছানার ওপরের দিকে দেয়ালে লাগিয়ে রাখতে পারেন বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তোলা আনন্দঘন কিছু মুহুর্তের ছবি। নিজের দুই শিশুর জন্য আলাদা ঘর সাজিয়ে দিয়েছেন সানিডেল স্কুলের শিক্ষিকা নায়লা তাবাসসুম। তিনি জানালেন, খাওয়া বা ঘুম পাড়ানোর সময় পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখিয়ে গল্প করলে তা বাচ্চাদের মনে পারিবারিক বন্ধনটাকে দৃঢ় করে তুলবে। শহুরে শিশুরা যেহেতু প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সুযোগ কম পায়, তাই ঘরের ভেতরেও এই আয়োজন করে দেওয়া যেতে পারে। এ জন্য দেয়ালজুড়ে লাগাতে পারেন সূর্য, ফুল, মাছ, পোকা, প্রজাপতির আকারে তৈরি আলোর শেড। সম্ভব হলে ঘরের ছাদে ফলস সিলিংয়ে কাঠের কাঠামো বসিয়ে সেখান থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন শিশুর পছন্দমতো পশুপাখির খেলনা। এ ছাড়া ঘরের চাদর ও পর্দায় ব্যবহার করতে পারেন ফুলেল মোটিফ। রূপকথার আবহ তৈরির জন্য ঘরের ভেতরে ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন সাদা রঙের মশারি। পছন্দমতো কাপড়ের ফ্রেমে বৃত্তাকারভাবে মশারির নেট জোড়া লাগিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই নান্দনিক মশারি। একইভাবে শিশুর খেলনা গুছিয়ে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন নাইলনের জাল দিয়ে তৈরি টয় নেট। আর এভাবেই অল্প কিছু জিনিসেই সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার ছোট শিশুর ঘরটিকে
বাচ্চাদের ঘরে খুব বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। চাইলে ঘরের ভেতর একটু নিচু বিছানা আর দেয়ালজুড়ে বাচ্চাদের খেলনা গুছিয়ে রাখার জন্য রাখতে পারেন ওয়াল কেবিনেট। বিছানার ওপরের দিকে দেয়ালে লাগিয়ে রাখতে পারেন বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তোলা আনন্দঘন কিছু মুহুর্তের ছবি। নিজের দুই শিশুর জন্য আলাদা ঘর সাজিয়ে দিয়েছেন সানিডেল স্কুলের শিক্ষিকা নায়লা তাবাসসুম। তিনি জানালেন, খাওয়া বা ঘুম পাড়ানোর সময় পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখিয়ে গল্প করলে তা বাচ্চাদের মনে পারিবারিক বন্ধনটাকে দৃঢ় করে তুলবে। শহুরে শিশুরা যেহেতু প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সুযোগ কম পায়, তাই ঘরের ভেতরেও এই আয়োজন করে দেওয়া যেতে পারে। এ জন্য দেয়ালজুড়ে লাগাতে পারেন সূর্য, ফুল, মাছ, পোকা, প্রজাপতির আকারে তৈরি আলোর শেড। সম্ভব হলে ঘরের ছাদে ফলস সিলিংয়ে কাঠের কাঠামো বসিয়ে সেখান থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন শিশুর পছন্দমতো পশুপাখির খেলনা। এ ছাড়া ঘরের চাদর ও পর্দায় ব্যবহার করতে পারেন ফুলেল মোটিফ। রূপকথার আবহ তৈরির জন্য ঘরের ভেতরে ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন সাদা রঙের মশারি। পছন্দমতো কাপড়ের ফ্রেমে বৃত্তাকারভাবে মশারির নেট জোড়া লাগিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই নান্দনিক মশারি। একইভাবে শিশুর খেলনা গুছিয়ে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন নাইলনের জাল দিয়ে তৈরি টয় নেট। আর এভাবেই অল্প কিছু জিনিসেই সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার ছোট শিশুর ঘরটিকে