তিস্তা নদীর পানির অধিকার ফিরে পেতে
বাংলাদেশকে জাতিসংঘে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মতে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান
তিস্তার পানি সমস্যার সমাধান হবে না। আজ শনিবার রাজধানীতে গোলটেবিল বৈঠকে
কয়েকজন পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এ কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে তিস্তা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এ কথা
বলেন। সাউথ এশিয়া ইয়ুথ ফর পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি সোসাইটি গোলটেবিলের
আয়োজন করে।
গোলটেবিলে জাতিসংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ এস আই খান বলেন, ভারতের সঙ্গে
গঙ্গা নদীর সমস্যার সমাধান হয়নি। তিস্তা নদীর সমস্যারও সমাধান হবে না। এ
জন্য তিনি জাতিসংঘে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সমুদ্রের ওপর যেমন
বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে জাতিসংঘে গেলে পানিরও সুষম বণ্টন
পাওয়া যেতে পারে। কারণ বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের পক্ষে। তাই জাতিসংঘে গেলে
সম্মান পাওয়া যাবে।
পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী এনামুল হক বাংলাদেশের অধিকারের বিষয়টি তুলে
ধরতে না পারাকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে চিহ্নিত করেন। একই সঙ্গে তিনি
বিশেষজ্ঞদেরও ব্যর্থতা আছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ব্যাপারটি
সরকারকেই জাতিসংঘে তুলে ধরতে হবে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে
যাওয়া যেতে পারে বলে এনামুল হক মত দেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও আন্তর্জাতিক ফারাক্কা
কমিটির সভাপতি জসীমউদ্দিন আহম্মদ বলেন, পানির এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে
বাংলাদেশ ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বিরাট মরুভূমিতে পরিণত হবে। তবে তাঁর এই
বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এনামুল হক।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দিলারা চৌধুরী বলেন, নদী মরে যাওয়া
মানে বাংলাদেশ মরে যাওয়া। তাই এ বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে জোরাল ভূমিকা
রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ওয়াটার পার্টনারশিপের সভাপতি শহীদুল হাসান বলেন, দ্বিপাক্ষিকভাবে এই
সমস্যার সমাধান হবে না। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে জাতিসংঘের মাধ্যমে এই সমস্যার
সমাধান হতে পারে।