ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর
ওয়ার্ডের ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র। গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটা। ওই
কেন্দ্রের একটি ভোটকক্ষে গিয়ে দেখা গেল, প্রকাশ্যে লোকজন একের পর এক
ব্যালটে সিল মারছেন। তবে কয়েকটি কক্ষে ভোট গ্রহণ বন্ধ। কারণ জানতে ওই
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, অসহায়ভাবে তিনি
মুঠোফোন থেকে বিভিন্ন নম্বরে ফোন করছেন।
ওই প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নাম এ জি এম সফিকুর রহমান। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর মুঠোফোনে কোনো এক কর্মকর্তাকে পেয়ে বললেন, ‘শহিদুল সাহেব, আমি ২৬৪ নম্বর কেন্দ্র থেকে বলছি। উচ্ছৃঙ্খল ছেলেপেলেরা এসে ব্যালট পেপার নিয়ে যেতে চাইছে। পুলিশ দায়িত্ব পালন না করে এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করে। কিছু একটা করেন।’
এর কিছুক্ষণ পর দেখা গেল, ব্যাজে নূর নাম লেখা এক পুলিশ কর্মকর্তা মুঠোফোন নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষের সামনে থাকা এক লোককে দিলেন। এ সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাও তাঁর পাশে ছিলেন। সঙ্গে কোনো ধরনের পরিচয়পত্র না থাকা ওই লোকটি ফোন নিয়ে বললেন, ‘ওসি সাহেব, সব ঠিক আছে।’
ওসিকে আশ্বস্ত করা লোকটি এগিয়ে এলেন। নিজের নাম জানালেন এ এম কামাল। বললেন, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এজেন্টদের সমন্বয়ক তিনি। সাংবাদিক পরিচয় শুনে বললেন, ‘আপনারা আর কী লিখবেন। বিএনপি তো নির্বাচন বর্জন করে চলে গেল। তাও ঠিকমতো লেইখেন। নেতিবাচক কথা আর কত লিখবেন?’ তিনি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাঁধে হাত রেখে বললেন, ‘তিনি (প্রিসাইডিং কর্মকর্তা) খালেদা জিয়ার চেয়েও বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন। কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন।’ এ সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পাশের একজনকে জানালেন তিনি নামাজ পড়তে যাচ্ছেন। নির্বাচনের পরিবেশ জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনারাই তো সব দেখছেন।’
সকাল আটটার দিকে সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভোট দিয়ে যাওয়ার পর প্রায় দুই ঘণ্টা পরিস্থিতি ঠিক ছিল।
সিটি কলেজের কাছেই সেন্ট্রাল রোডে ঢাকা দক্ষিণের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্র। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওই কেন্দ্রের একজন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের দিকে ইঙ্গিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের লোকজন এই কেন্দ্র দখল করেছে। সকাল থেকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, র্যাব, পুলিশ—সবার সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু কেউ কোনো সাহায্য করতে পারেননি।’
ওই প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নাম এ জি এম সফিকুর রহমান। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর মুঠোফোনে কোনো এক কর্মকর্তাকে পেয়ে বললেন, ‘শহিদুল সাহেব, আমি ২৬৪ নম্বর কেন্দ্র থেকে বলছি। উচ্ছৃঙ্খল ছেলেপেলেরা এসে ব্যালট পেপার নিয়ে যেতে চাইছে। পুলিশ দায়িত্ব পালন না করে এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করে। কিছু একটা করেন।’
এর কিছুক্ষণ পর দেখা গেল, ব্যাজে নূর নাম লেখা এক পুলিশ কর্মকর্তা মুঠোফোন নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষের সামনে থাকা এক লোককে দিলেন। এ সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাও তাঁর পাশে ছিলেন। সঙ্গে কোনো ধরনের পরিচয়পত্র না থাকা ওই লোকটি ফোন নিয়ে বললেন, ‘ওসি সাহেব, সব ঠিক আছে।’
ওসিকে আশ্বস্ত করা লোকটি এগিয়ে এলেন। নিজের নাম জানালেন এ এম কামাল। বললেন, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। এজেন্টদের সমন্বয়ক তিনি। সাংবাদিক পরিচয় শুনে বললেন, ‘আপনারা আর কী লিখবেন। বিএনপি তো নির্বাচন বর্জন করে চলে গেল। তাও ঠিকমতো লেইখেন। নেতিবাচক কথা আর কত লিখবেন?’ তিনি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাঁধে হাত রেখে বললেন, ‘তিনি (প্রিসাইডিং কর্মকর্তা) খালেদা জিয়ার চেয়েও বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন। কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন।’ এ সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পাশের একজনকে জানালেন তিনি নামাজ পড়তে যাচ্ছেন। নির্বাচনের পরিবেশ জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনারাই তো সব দেখছেন।’
সকাল আটটার দিকে সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভোট দিয়ে যাওয়ার পর প্রায় দুই ঘণ্টা পরিস্থিতি ঠিক ছিল।
সিটি কলেজের কাছেই সেন্ট্রাল রোডে ঢাকা দক্ষিণের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্র। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওই কেন্দ্রের একজন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের দিকে ইঙ্গিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের লোকজন এই কেন্দ্র দখল করেছে। সকাল থেকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, র্যাব, পুলিশ—সবার সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু কেউ কোনো সাহায্য করতে পারেননি।’