Lifestyle news - মেদহীন থাকার খাবারদাবার

মিষ্টি, টক, লবণাক্ত, তেতো, ঝাঁঝালো সব ধরনের স্বাদের খাবারই খেতে হবে, একেক বেলায় একেকটা হলে আরও ভালো। ছবিটি প্রতীকী।মেদহীন ঝরঝরে শরীর ধরে রাখার জন্য প্রতিদিনই কিছু বিষয় মেনে চলা দরকার। এর মধ্যে খাবারদাবার সবচেয়ে বেশি মনোযোগের দাবিদার। সাধারণ দেশি খাবার খেয়েই আপনি মেদহীন শরীর ধরে রাখতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে তা যেন হয় ভালো জলে-তেলে রান্না করা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, মিষ্টি, টক, লবণাক্ত, তেতো, ঝাঁঝালো সব ধরনের স্বাদের খাবারই খেতে হবে, একেক বেলায় একেকটা হলে আরও ভালো। মেদহীন ও স্বাস্থ্যবান থাকতে সহায়ক কিছু খাবারদাবারের কথা তুলে ধরা হলো এখানে।

হলুদ

হলুদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারকিউমিন। ক্ষত সারানো এবং হৃৎপিণ্ড বড় হয়ে যাওয়া রোধে কারকিউমিন সহায়ক হতে পারে বলে উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। নিয়মিত হলুদ খেলে লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন ও খারাপ কোলেস্টেরল কমে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানো, রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো ও রক্ত পাতলা রেখে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক হতে পারে হলুদ।

এলাচ

এলাচের ভেষজ গুণাবলি পরিপাকে সহায়ক দেহের মেদ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য খাবারদাবারে এলাচের ব্যবহার বহু প্রাচীন। পরিপাক ক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে শরীরকে কার্যকরভাবে খাবারদাবার প্রক্রিয়াজাত করতে সাহায্য করে এলাচ।

মরিচ

মরিচযুক্ত খাবার খাওয়া মানে শরীরের মেদ পোড়ানোর জন্য কিছু করা। মরিচের ক্যাপসাইসিন পরিপাক ক্রিয়ার জন্য সহায়ক। মরিচ খাওয়ার মিনিট বিশেক পর থেকেই আপনার শরীরের ক্যালরি পোড়ানো শুরু হয়ে যাবে।

কারিপাতা

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কারিপাতা রাখার অর্থই ওজন কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া। কারিপাতা শরীর থেকে ফ্যাট ও টক্সিন দূর করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আপনার ওজন বেশি হলে প্রতিদিন ৮-১০টি কারিপাতা কুচি করে কোনো পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আর তরকারিতে ছড়িয়ে দিয়ে খাওয়া তো অনেকেরই পছন্দ।

রসুন

মেদ কমানোর জন্য রসুন খুবই ভালো। রসুনে থাকা এলিসিন নামের উপাদানটি ব্যাকটেরিয়ারোধক। এটা কোলেস্টেরল এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি কমাতে খুবই কার্যকর। মেদ কমানো, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃৎপিণ্ডের অসুখ মোকাবিলায় রসুনের গুণাগুণের কথা অনেকেই জানেন।

সরিষার তেল

অন্য রান্নার তেলের তুলনায় সরিষার তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। এতে ফ্যাটি অ্যাসিড, ওলেইক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড এবং লিনোলেইক অ্যাসিড থাকে। অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট ও প্রয়োজনীয় ভিটামিনসমৃদ্ধ সরিষার তেল হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো।

বাঁধাকপি

ওজন কমাতে বাঁধাকপি দারুণ উপকারী। কাঁচা কিংবা রান্না করে, দুভাবেই বাঁধাকপি খেতে পারেন। সুগার ও কার্বোহাইড্রেটকে ফ্যাটে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে বেশ খানিকটা কমিয়ে দিতে পারে বাঁধাকপি। মেদ ঝরানো ও ওজন কমানোর জন্য পুরো মৌসুমই বাঁধাকপি খান।

মুগ ডাল

মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ই আছে। খনিজ উপদানের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ মুগ ডাল। একদিকে ফ্যাট কম থাকা, অপরদিকে প্রোটিন ও আঁশযুক্ত হওয়ায় মেদ কমানোর ক্লিনিকগুলো নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা কম রাখা এবং হজমে সহায়ক হিসেবে মুগ ডাল খুবই ভালো।

মধু

বাড়তি মেদকে শক্তিতে পরিণত করে শারীরিক কাজকর্মের জন্য উপযোগী করে তুলতে পারে মধু। নিয়মিত সকালে কুসুম গরম পানির সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু পান করার অভ্যাস করতে পারেন। এটা ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করবে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts