দিন
দিন বাংলাদেশে নগরায়ণ বাড়ছে। শহর-বন্দর সব স্থানেই লেগেছে পরিবর্তনের
ছোঁয়া। নির্মিত হচ্ছে বড় বড় দালানকোঠা, সেতু, কালভার্ট ও স্থাপনা। আর
এই কাজের অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে সিমেন্ট। তাই বিপুল চাহিদার কারণে দেশে
বড় হচ্ছে সিমেন্টশিল্প। বর্তমানে ৩৫টির বেশি নিবন্ধিত দেশি সিমেন্ট
কোম্পানি আর পাঁচটি বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে।
এর ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং হচ্ছে। এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এর সংখ্যা কয়েক লাখ। সিমেন্টের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের জনবল বৃদ্ধি করে নতুন নতুন কার্যক্রম শুরু করছে। এই শিল্পে আপনিও খুঁজে নিতে পারেন নিজের জন্য মানানসই চাকরি।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সিমেন্ট কোম্পানি হোলসিম বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। বাংলাদেশে তারা কাজ শুরু করে ২০০০ সালে। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগ) সৈয়দ মাসউদুল হাসান বলছিলেন এই শিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা। তিনি বলেন, দিন দিন সিমেন্টশিল্প বড় হচ্ছে, তাই কর্মসংস্থানও বাড়ছে। এখানে কারিগরি কাজের জন্য ‘টেকনিক্যাল’ এবং সরাসরি কারিগরি নয়, এমন কাজের জন্য দরকার ‘নন-টেকনিক্যাল’ লোকবল। কারিগরি কাজের জন্য মেকানিক্যাল, সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দরকার হয়। তাঁদের কাজ হয় মূলত কারখানাকেন্দ্রিক। সরাসরি সিমেন্ট উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত থাকেন তাঁরা। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের মূল কাজ হচ্ছে অপারেশনের। কারখানায় সিমেন্ট তৈরির যন্ত্রের দেখাশোনা, সমস্যা সমাধান ও রক্ষণাবেক্ষণ। আর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রিক। সিমেন্ট উৎপাদনে এর সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আছেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সিমেন্টের গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নিয়মিত তদারকির কাজে যুক্ত থাকেন তাঁরা।
এ ছাড়া সিমেন্টশিল্পের নানা রকম কাজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কদর আছে। সৈয়দ মাসউদুল হাসান বলেন, অনেক সময় ক্রেতাদের নানা ধরনের টেকনিক্যাল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য দরকার হয়। তাঁরা যেহেতু এই বিষয়ে অভিজ্ঞ, তাই সিমেন্ট কোম্পানিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব স্থাপনার কাজেও তাঁদের লাগে।
এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) দেশের সব সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। তবে এখন মানসম্পন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা চৌকস তরুণদেরও এসব পদে নেওয়া হচ্ছে। আর অপারেটর বা টেকনিশিয়ান নেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা বা ট্রেড কোর্স সম্পন্নকারীদের নেওয়া হয়। বাংলাদেশের দেশি সিমেন্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান শাহ সিমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (অপারেশনস) হাফিজ সিকান্দার বলেন, ‘ছয়-সাত বছর আগেও সিমেন্ট কোম্পানিতে কারিগরি কাজের জন্য বিদেশিদের নিয়োগ করা হতো। এখন আমরা নিজেদের তরুণদের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখতে পারছি। এই কাজে শতভাগ দেশের তরুণদের নিয়োগ দিতে পারছি।’ তিনি আরও বলেন, দেশের সিমেন্টশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোয় টেকনিক্যাল লোকের পাশাপাশি দরকার হয় নন-টেকনিক্যাল পর্যায়ের লোকবলের। এই পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া হয় বিক্রি ও বিপণনের কাজে। বিক্রয়, বিপণন, পরিকল্পনা—এসব কাজের দায়িত্ব তাঁদের। নতুনদের নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবিএ বা এমবিএ পর্যায় শেষ করেছেন, এমন শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সিমেন্টশিল্পের আরেকটি লোকবল নেওয়ার খাত হচ্ছে হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। আনোয়ার সিমেন্টের সিওও মোহাম্মাদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, এই দুটি শাখায় অত্যন্ত যোগ্য লোক নেওয়া হয়। বিশেষ করে হিসাব দেখার জন্য কস্ট বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও ফিন্যান্স বা হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করা গ্র্যাজুয়েটদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ ছাড়া মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার জন্য এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন—এমন গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ দেওয়া হয়।
তবে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে সিমেন্টশিল্পে। ক্রাউন সিমেন্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, গ্রাহকদের চাহিদা ও বাজার বোঝার জন্য সিমেন্ট কোম্পানিগুলো গবেষণা ও পরিকল্পনা বিভাগ চালু করছে। এখানে পরিসংখ্যান ও মার্কেটিং থেকে পাস করা তরুণদের নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কেনাকাটা বিভাগে উল্লেখযোগ্য হারে লোক নেওয়া হয়। তাঁদের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সব দরকারি পণ্য ক্রয় করা। এ ক্ষেত্রে বিজনেস গ্র্যাজুয়েটদের নেওয়া হয়। আবার বর্তমানে ব্র্যান্ডিং বাড়ানো একটি জনপ্রিয় বিষয়। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই এ বিষয়ে নজর দিচ্ছে। মার্কেটিং বা গণমাধ্যম বিষয়ে পড়েছেন—এমন তরুণেরা এখানে সুযোগ পান কাজের।
এর ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং হচ্ছে। এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এর সংখ্যা কয়েক লাখ। সিমেন্টের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের জনবল বৃদ্ধি করে নতুন নতুন কার্যক্রম শুরু করছে। এই শিল্পে আপনিও খুঁজে নিতে পারেন নিজের জন্য মানানসই চাকরি।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সিমেন্ট কোম্পানি হোলসিম বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। বাংলাদেশে তারা কাজ শুরু করে ২০০০ সালে। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগ) সৈয়দ মাসউদুল হাসান বলছিলেন এই শিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা। তিনি বলেন, দিন দিন সিমেন্টশিল্প বড় হচ্ছে, তাই কর্মসংস্থানও বাড়ছে। এখানে কারিগরি কাজের জন্য ‘টেকনিক্যাল’ এবং সরাসরি কারিগরি নয়, এমন কাজের জন্য দরকার ‘নন-টেকনিক্যাল’ লোকবল। কারিগরি কাজের জন্য মেকানিক্যাল, সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দরকার হয়। তাঁদের কাজ হয় মূলত কারখানাকেন্দ্রিক। সরাসরি সিমেন্ট উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত থাকেন তাঁরা। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের মূল কাজ হচ্ছে অপারেশনের। কারখানায় সিমেন্ট তৈরির যন্ত্রের দেখাশোনা, সমস্যা সমাধান ও রক্ষণাবেক্ষণ। আর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রিক। সিমেন্ট উৎপাদনে এর সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আছেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সিমেন্টের গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নিয়মিত তদারকির কাজে যুক্ত থাকেন তাঁরা।
এ ছাড়া সিমেন্টশিল্পের নানা রকম কাজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কদর আছে। সৈয়দ মাসউদুল হাসান বলেন, অনেক সময় ক্রেতাদের নানা ধরনের টেকনিক্যাল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য দরকার হয়। তাঁরা যেহেতু এই বিষয়ে অভিজ্ঞ, তাই সিমেন্ট কোম্পানিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব স্থাপনার কাজেও তাঁদের লাগে।
এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) দেশের সব সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। তবে এখন মানসম্পন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা চৌকস তরুণদেরও এসব পদে নেওয়া হচ্ছে। আর অপারেটর বা টেকনিশিয়ান নেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা বা ট্রেড কোর্স সম্পন্নকারীদের নেওয়া হয়। বাংলাদেশের দেশি সিমেন্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান শাহ সিমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (অপারেশনস) হাফিজ সিকান্দার বলেন, ‘ছয়-সাত বছর আগেও সিমেন্ট কোম্পানিতে কারিগরি কাজের জন্য বিদেশিদের নিয়োগ করা হতো। এখন আমরা নিজেদের তরুণদের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখতে পারছি। এই কাজে শতভাগ দেশের তরুণদের নিয়োগ দিতে পারছি।’ তিনি আরও বলেন, দেশের সিমেন্টশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোয় টেকনিক্যাল লোকের পাশাপাশি দরকার হয় নন-টেকনিক্যাল পর্যায়ের লোকবলের। এই পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া হয় বিক্রি ও বিপণনের কাজে। বিক্রয়, বিপণন, পরিকল্পনা—এসব কাজের দায়িত্ব তাঁদের। নতুনদের নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবিএ বা এমবিএ পর্যায় শেষ করেছেন, এমন শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সিমেন্টশিল্পের আরেকটি লোকবল নেওয়ার খাত হচ্ছে হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। আনোয়ার সিমেন্টের সিওও মোহাম্মাদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, এই দুটি শাখায় অত্যন্ত যোগ্য লোক নেওয়া হয়। বিশেষ করে হিসাব দেখার জন্য কস্ট বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও ফিন্যান্স বা হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করা গ্র্যাজুয়েটদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ ছাড়া মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার জন্য এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন—এমন গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ দেওয়া হয়।
তবে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে সিমেন্টশিল্পে। ক্রাউন সিমেন্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, গ্রাহকদের চাহিদা ও বাজার বোঝার জন্য সিমেন্ট কোম্পানিগুলো গবেষণা ও পরিকল্পনা বিভাগ চালু করছে। এখানে পরিসংখ্যান ও মার্কেটিং থেকে পাস করা তরুণদের নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কেনাকাটা বিভাগে উল্লেখযোগ্য হারে লোক নেওয়া হয়। তাঁদের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সব দরকারি পণ্য ক্রয় করা। এ ক্ষেত্রে বিজনেস গ্র্যাজুয়েটদের নেওয়া হয়। আবার বর্তমানে ব্র্যান্ডিং বাড়ানো একটি জনপ্রিয় বিষয়। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই এ বিষয়ে নজর দিচ্ছে। মার্কেটিং বা গণমাধ্যম বিষয়ে পড়েছেন—এমন তরুণেরা এখানে সুযোগ পান কাজের।