International news - ব্যক্তিগত ই–মেইল ব্যবহার না করলেও পারতাম: হিলারি

হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে সমালোচিত হিলারি ক্লিনটন গত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘স্বাচ্ছন্দ্যের’ জন্যই তিনি এ কাজ করেছিলেন। তবে ব্যাপারটা যথেষ্ট সুচিন্তিত ছিল না। তিনি তা না করলেও পারতেন। খবর রয়টার্স ও এএফপির।

নিউইয়র্কে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে হিলারি ই-মেইল ঠিকানা নিয়ে কথা বলেন। দুই বছর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার পর এটাই তাঁর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। হিলারি এতে বলেন, ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে তিনি কোনো আইন অমান্য করেননি এবং রাষ্ট্রীয় কোনো গোপন তথ্যও ব্যক্তিগত ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাননি।
ব্যাখ্যা দিয়ে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজের জন্য একটিমাত্র ই-মেইল ব্যবহার করাটা সহজ হবে—এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। তবে এখন মনে হচ্ছে, তিনি সহজেই আরেকটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট এবং আরেকটি ফোন ব্যবহার করতে পারতেন।
সাবেক ফার্স্ট লেডি বলেন, তিনি দায়িত্ব-সংশ্লিষ্ট ই-মেইলগুলো সর্বসমক্ষে প্রকাশ করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়ে দিয়েছেন। তবে যোগব্যায়ামের সময়সূচি, মায়ের শেষকৃত্য এবং মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার মতো একান্ত ব্যক্তিগত ই-মেইলগুলো তিনি সংরক্ষণ করেননি। মোট ই-মেইলের মধ্যে প্রায় অর্ধেক তিনি এভাবে মুছে দিয়েছেন।
হিলারির কিছু মেইল এভাবে মুছে ফেলার বিষয়ে বিরোধী রিপাবলিকান পার্টি বলেছে, সংরক্ষণ না করা মেইলের মধ্যে স্পর্শকাতর তথ্য থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভের প্রতিযোগিতায় ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাদের মধ্যে হিলারিকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারি পদে থাকার সময় ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করতেন—সম্প্রতি এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন।
হিলারি ক্লিনটনের সমালোচকদের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির নেতা-কর্মীর সংখ্যাই বেশি। তাঁরা হিলারির নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ই-মেইল বিতর্ক নিয়ে তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেও সমালোচনা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, হিলারির ই-মেইলগুলো পর্যালোচনার পর একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে এতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts