সরকার
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক দাবি করলেও রেলপথ, সড়কপথ ও মাঠ প্রশাসন
থেকে জানমালের নিরাপত্তায় আনসার, বিজিবি ও পুলিশের নিরাপত্তা অব্যাহত রাখার
অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে সচিবালয়ের কর্মচারী বহনকারী বাসগুলোর
নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রেলপথ পাহারায় এর আগে ১ হাজার ৪১টি স্থানে ৮ হাজার ৩২৮ জন আনসার মোতায়েন করা হয়েছিল। চিঠি পাওয়ার পর এদের মেয়াদ আরও ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কের ৯৯৩টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ১১ হাজার ৯১৬ জন আনসার ও ভিডিপি মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সড়কপথে মোট কত দিনের জন্য আনসার নিয়োগ দিতে হবে, তা জানতে চেয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পেট্রলবোমা তৈরি ও নিক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালাতে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পাঠানো চিঠিতে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মনে করছে মাঠ প্রশাসন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলা হলেও মাঠ প্রশাসন তা মনে করে না।
তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির শুরুতে যে উৎকণ্ঠা ছিল, তা এখন অনেকটাই কমেছে। মানুষের চলাচল বেড়েছে, হরতাল-অবরোধের কোনো ছাপ দেশের কোথাও নেই। শুধু চোরাগোপ্তা পেট্রলবোমা হামলার কারণে জনমণে আতঙ্ক রয়ে গেছে। ইদানীং বেছে বেছে বিভিন্ন অফিসে বিশেষ করে ভূমি অফিসে হামলার ঘটনা ঘটছে। এখন ভূমি অফিসগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রেলপথ এবং সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ও নিরাপদ রাখতে গত ১২ জানুয়ারি আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রেললাইন নিরাপত্তার মেয়াদ ৪৮ দিন বাড়ানো হয়।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কর্মচারী বহনকারী ৬১টি বাসের নিরাপত্তা চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে। এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তর, পরিদপ্তরে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের সময়মতো আনা-নেওয়ার জন্য এই বাসগুলো ব্যবহার করা হয়।
১০ মার্চ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি আরও ৪৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ। কুড়িগ্রাম সদরসহ সাতটি থানার জন্য এ নিরাপত্তা চাওয়া হয়। একই দিনে নয়টি উপজেলায় দুই প্লাটুন করে বিজিবি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। কুষ্টিয়ায় তিন প্লাটুন ও খুলনায় চার প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে।
৮ মার্চ খুলনায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং রেললাইন ও কেপিআইয়ের নিরাপত্তায় ৫ হাজার ৭৮০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোরদারে আনসার মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়ে রাজশাহী থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তায় ৫০ জন ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার তাঁর জেলায় অঙ্গীভূত সশস্ত্র আনসার মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন। একইভাবে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা থেকে বিজিবি, আনসার ও পুলিশ চেয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সব চিঠিতে প্রায় একইভাবে বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির কারণে যেকোনো সময় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফোর্স নিয়োগের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনগণের জানমাল নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা অনুযায়ী যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানেই বিজিবি, আনসারসহ প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনই জেলা প্রশাসকদের চাহিদাপত্র তদারকি করা হচ্ছে। এসব নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
রেলপথ পাহারায় এর আগে ১ হাজার ৪১টি স্থানে ৮ হাজার ৩২৮ জন আনসার মোতায়েন করা হয়েছিল। চিঠি পাওয়ার পর এদের মেয়াদ আরও ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কের ৯৯৩টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ১১ হাজার ৯১৬ জন আনসার ও ভিডিপি মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সড়কপথে মোট কত দিনের জন্য আনসার নিয়োগ দিতে হবে, তা জানতে চেয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পেট্রলবোমা তৈরি ও নিক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালাতে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পাঠানো চিঠিতে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মনে করছে মাঠ প্রশাসন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলা হলেও মাঠ প্রশাসন তা মনে করে না।
তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির শুরুতে যে উৎকণ্ঠা ছিল, তা এখন অনেকটাই কমেছে। মানুষের চলাচল বেড়েছে, হরতাল-অবরোধের কোনো ছাপ দেশের কোথাও নেই। শুধু চোরাগোপ্তা পেট্রলবোমা হামলার কারণে জনমণে আতঙ্ক রয়ে গেছে। ইদানীং বেছে বেছে বিভিন্ন অফিসে বিশেষ করে ভূমি অফিসে হামলার ঘটনা ঘটছে। এখন ভূমি অফিসগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রেলপথ এবং সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ও নিরাপদ রাখতে গত ১২ জানুয়ারি আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রেললাইন নিরাপত্তার মেয়াদ ৪৮ দিন বাড়ানো হয়।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কর্মচারী বহনকারী ৬১টি বাসের নিরাপত্তা চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে। এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তর, পরিদপ্তরে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের সময়মতো আনা-নেওয়ার জন্য এই বাসগুলো ব্যবহার করা হয়।
১০ মার্চ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি আরও ৪৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ। কুড়িগ্রাম সদরসহ সাতটি থানার জন্য এ নিরাপত্তা চাওয়া হয়। একই দিনে নয়টি উপজেলায় দুই প্লাটুন করে বিজিবি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। কুষ্টিয়ায় তিন প্লাটুন ও খুলনায় চার প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে।
৮ মার্চ খুলনায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং রেললাইন ও কেপিআইয়ের নিরাপত্তায় ৫ হাজার ৭৮০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোরদারে আনসার মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়ে রাজশাহী থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তায় ৫০ জন ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার তাঁর জেলায় অঙ্গীভূত সশস্ত্র আনসার মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন। একইভাবে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা থেকে বিজিবি, আনসার ও পুলিশ চেয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সব চিঠিতে প্রায় একইভাবে বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির কারণে যেকোনো সময় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফোর্স নিয়োগের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনগণের জানমাল নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকদের চাহিদা অনুযায়ী যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানেই বিজিবি, আনসারসহ প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনই জেলা প্রশাসকদের চাহিদাপত্র তদারকি করা হচ্ছে। এসব নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।