আলোচিত
কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা মনমোহন
সিংকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) বিশেষ আদালতে তলব করা হয়েছে।
একটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকে ৮
এপ্রিলের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারপতি ভরত পরাশরের এ নির্দেশ ভারতের চলমান রাজনীতিতে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। হতবাক মনমোহন সিং বলেছেন, তিনি ব্যথিত, তবে নিজেকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করতে পারবেন। এর আগে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওকেও সিবিআইয়ের মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছিল।
ওডিশার তালাবিড়া-২ কয়লা ব্লক আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠান হিন্ডালকোকে দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। অভিযোগ, এই কাজটি অনিয়মের মাধ্যমে করা হয়। তখন কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল মনমোহন সিংয়ের নিজের হাতে। টেন্ডার ছাড়া খনি বরাদ্দে সরকারের প্রভূত আর্থিক ক্ষতি হয় বলে মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয় (সিএজি) প্রতিবেদন দেয়। বিষয়টি বিচারাধীন হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত বণ্টন বাতিল করে দেন। বিশেষ বিচারক গতকাল মনমোহন সিংকে এ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তলব করেছেন। তাঁর সঙ্গে ডাকা হয়েছে শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়লা ও সাবেক কয়লাসচিব পিসি পারেখকে। আরও ডাকা হয়েছে হিন্ডালকোর তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে।
হিন্ডালকোর পক্ষ থেকে গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই কয়লা ব্লকটি পেতে এই কোম্পানি কিংবা তাদের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা কোনো অসৎ উপায় অবলম্বন করেননি।
অভিযুক্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দুর্নীতি দমন আইনের ১২০বি (ষড়যন্ত্র) ও ৪০৯ ধারায় (বিশ্বাসভঙ্গ) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে মনমোহন সিং দৃশ্যত হতাশ। তিনি তাঁর হতাশা গোপনও করেননি। তবে বলেছেন, ‘আমি জানি, সত্য প্রকাশ পাবেই এবং তথ্য দিয়ে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণের সুযোগ আমি পাব। ন্যায়বিচারে আমি নিজেকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করব। এ দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।’ মনমোহন সিং আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই আমি এক বিবৃতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। আবার তা প্রমাণ করব।’
সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারকের এই নির্দেশে ভারতের রাজনীতি চনমনে হয়ে ওঠে। তবে শাসক দলের নেতারা প্রতিক্রিয়ায় সংযত থেকেছেন। কারণ, মনমোহন সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অসততার অভিযোগ আজ পর্যন্ত কেউ আনেননি। বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর এর দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে বলেছেন, তাদের জন্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই হাল। অন্যদিকে দল মনমোহনের পাশে থাকছে জানিয়ে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল বলেছেন, দেশের কেউ এ কথা বিশ্বাস করবেন না যে মনমোহন সিং কোনো অসৎ বা ভুল কাজ করতে পারেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওকে তিনটি পৃথক মামলায় সিবিআইয়ের মোকাবিলা করতে হয়েছিল। ঝাড়খন্ড ঘুষ মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁকে তিন বছরের জেল ও এক লাখ রুপি জরিমানা করেছিল। হাইকোর্টে অবশ্য তিনি নির্দোষ প্রতিপন্ন হন।
গতকাল বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারপতি ভরত পরাশরের এ নির্দেশ ভারতের চলমান রাজনীতিতে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। হতবাক মনমোহন সিং বলেছেন, তিনি ব্যথিত, তবে নিজেকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করতে পারবেন। এর আগে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওকেও সিবিআইয়ের মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছিল।
ওডিশার তালাবিড়া-২ কয়লা ব্লক আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠান হিন্ডালকোকে দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। অভিযোগ, এই কাজটি অনিয়মের মাধ্যমে করা হয়। তখন কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল মনমোহন সিংয়ের নিজের হাতে। টেন্ডার ছাড়া খনি বরাদ্দে সরকারের প্রভূত আর্থিক ক্ষতি হয় বলে মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয় (সিএজি) প্রতিবেদন দেয়। বিষয়টি বিচারাধীন হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত বণ্টন বাতিল করে দেন। বিশেষ বিচারক গতকাল মনমোহন সিংকে এ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তলব করেছেন। তাঁর সঙ্গে ডাকা হয়েছে শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়লা ও সাবেক কয়লাসচিব পিসি পারেখকে। আরও ডাকা হয়েছে হিন্ডালকোর তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে।
হিন্ডালকোর পক্ষ থেকে গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই কয়লা ব্লকটি পেতে এই কোম্পানি কিংবা তাদের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা কোনো অসৎ উপায় অবলম্বন করেননি।
অভিযুক্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দুর্নীতি দমন আইনের ১২০বি (ষড়যন্ত্র) ও ৪০৯ ধারায় (বিশ্বাসভঙ্গ) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে মনমোহন সিং দৃশ্যত হতাশ। তিনি তাঁর হতাশা গোপনও করেননি। তবে বলেছেন, ‘আমি জানি, সত্য প্রকাশ পাবেই এবং তথ্য দিয়ে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণের সুযোগ আমি পাব। ন্যায়বিচারে আমি নিজেকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করব। এ দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।’ মনমোহন সিং আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই আমি এক বিবৃতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। আবার তা প্রমাণ করব।’
সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারকের এই নির্দেশে ভারতের রাজনীতি চনমনে হয়ে ওঠে। তবে শাসক দলের নেতারা প্রতিক্রিয়ায় সংযত থেকেছেন। কারণ, মনমোহন সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অসততার অভিযোগ আজ পর্যন্ত কেউ আনেননি। বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর এর দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে বলেছেন, তাদের জন্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই হাল। অন্যদিকে দল মনমোহনের পাশে থাকছে জানিয়ে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল বলেছেন, দেশের কেউ এ কথা বিশ্বাস করবেন না যে মনমোহন সিং কোনো অসৎ বা ভুল কাজ করতে পারেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওকে তিনটি পৃথক মামলায় সিবিআইয়ের মোকাবিলা করতে হয়েছিল। ঝাড়খন্ড ঘুষ মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁকে তিন বছরের জেল ও এক লাখ রুপি জরিমানা করেছিল। হাইকোর্টে অবশ্য তিনি নির্দোষ প্রতিপন্ন হন।