National news - দুনিয়া পাল্টানো নারী পরমাণুর নায়িকা

লাইস মিটনার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের জাল ভেদ
করে যারা সামনে চলে এসেছেন তাদের একজন
তিনি। পরমাণু বিজ্ঞানী এই নারীকে নিয়ে
লিখেছেন সেলিম হোসেন
পরমাণু বা নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী এই নারী ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানী যিনি কখনো মানবিকতাকে হারাননি। তাঁকে এমিল ফিশার ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি, তিনি একজন অপরূপা নারী তাই অন্য বিজ্ঞানীদের কাজে মনোযোগ নষ্ট হবে বলে। তাঁকে নোবেল পুরস্কার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল তাঁরই ৩০ বছরের সহযোগী অটোহ্যানের কৌশলগত কারণে। অথচ ফিশন বিক্রিয়ার তিনিই পথিকৃত্ বা ব্যাখ্যাদাতা— যাকে বলা হতো, ‘এটম বোমা তৈরির ইহুদি-মাতা। অথচ তিনি পরমাণু বোমা তৈরির কাজ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে তিনি ছিলেন বিজ্ঞান জগতের এক কিংবদন্তী নায়িকা। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘মহাজাগতিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তার তাত্পর্য’। এ ঘটনাটি এটা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এ যেন পুরুষশাষিত সমাজের দীর্ঘ ধারাবাহিকতার ফল। যে ধারাবাহিকতা একজন  সৃষ্টিশীল নারীর প্রতিভাকে এমন নির্মমভাবে পরিহাস করতে শিখিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) আগ পর্যন্ত আমেরিকাতে তিনি ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি। এই নারীকে নাত্সীদের কারণে রিক্ত হাতে জার্মান থেকে পালাতে হয়েছিল। পলায়নের পর স্টকহোম থেকে মিটনার চিঠিতে লিখেছিলেন: নিজেকে আমার ঝড়ে উল্টে যাওয়া পুতুলের মতো মনে হয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু ঘটনা আমাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ ভাব প্রকাশ করে কিন্তু তার কোনো স্বকীয়তা নেই। এ থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় কতটা নির্মমভাবে কাটিয়েছেন।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts