To days feature women - আইনি পরামর্শ

পারিবারিক
এবং কর্পোরেট আইনজীবী
ঢাকা জজ কোর্ট
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিয়ে, তালাক, খোরপোষ, উত্তরাধিকার এবং সম্পত্তি বাটোয়ারার মত পারিবারিক বিষয়ে প্রযোজ্য একক কোনো বিধিবদ্ধ আইন নেই। তাই নারীরা সম্পত্তির কতখানি অংশীদার তা স্ব স্ব ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সম্পত্তির অধিকার বলতে সম্পত্তি অর্জন করা, ভোগ করা, বিক্রয় এবং হস্তান্তর করা, ভাড়া সংগ্রহ করা এবং নিজের কাছে রাখা, নিজস্ব বেতন, সম্পত্তি সংক্রান্ত চুক্তি এবং সম্পত্তি রক্ষার প্রয়োজনে আদালতে মামলা দায়ের করা- এই সবকিছুকেই বুঝায়।
মুসলিম আইনঃ ইসলাম ধর্মে পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে স্পষ্টভাবেই নারীদেরকে পিতার এবং স্বামীর সম্পত্তির অংশীদার হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। একজন নারী, মেয়ে হিসাবে তার পিতার সম্পত্তিতে ছেলের অর্ধেক পান, অর্থাত্ অংশ। আবার স্ত্রী হিসাবে স্বামীর সম্পত্তির অংশ পান যদি কোনো সন্তান থাকে, কোনো সন্তান না থাকলে অংশ পান।
হিন্দু আইনঃ ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত আইন হিসাবে স্বীকৃত হিন্দু আইন যুগে যুগে শ্রুতি, স্মৃতি, ব্যাখ্যা, প্রথা, বিচারকের সিদ্ধান্ত ও বিধিবদ্ধ আইনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বর্তমান রূপ লাভ করেছে। এই আইন অনুসারে হিন্দু নারীরা স্বামীর সম্পত্তি জীবন সত্ত্বে পায় অর্থাত্ স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী ঐ সম্পত্তি আমৃত্যু ভোগ করতে পারবে কিন্তু ঐ সম্পত্তি আইনসঙ্গত ও বৈধ কারণ ব্যতীত দান, বিক্রয়, উইল বা হস্তান্তর করতে পারবে না। আইনসঙ্গত ও বৈধ কারণ হিসাবে স্বামীর শ্রাদ্ধের কার্যে ব্যয় বা পিণ্ড দান বা স্বামীর ঋণ পরিশোধ বা পরিবারের পোষ্য সকল ব্যক্তিদের ভরণপোষণ বাবদ ব্যয়কে ধরা যায়। নারীরা কেবলমাত্র স্ত্রীধনের পূর্ণ মালিকানা লাভ করে। স্ত্রীধন সম্পত্তি মহিলারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যয়, দান, বিক্রয়, উইল বা হস্তান্তর করতে পারবে।
খ্রীষ্টান আইনঃ খ্রীষ্টান উত্তরাধিকার আইন অনুসারে স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী তার স্বামীর সম্পত্তির অংশ পান, যদি তাদের সন্তান থাকে। আর যদি তাদের সন্তান না থাকে তবে স্ত্রী তার স্বামীর সম্পত্তির অংশ পান। আবার পিতার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তিতে ছেলে এবং মেয়ে সমানভাবে অংশীদার হয়।
বৌদ্ধ ধর্মঃ বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় হিন্দু আইনের দায়ভাগ উত্তরাধিকার আইনের অন্তর্ভুক্ত।
নারীরা তাদের পিতার এবং স্বামীর সম্পত্তির ধৈব অধিকারী হবার পরও তারা কি সত্যিই তাদের অধিকার পাচ্ছে? বাংলাদেশ সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিককে সমান অধিকার দেয়ার কথা বলা আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই। নারীদেরকে তাদের সম্পত্তির অধিকার প্রদানের জন্য সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়, বিভিন্ন অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষরিত হয় কিন্তু বাস্তবতা এর চেয়ে অনেক ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক আইন থাকার পরও নারীরা যে সামাজিকভাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তার জন্য প্রচলিত সামাজিক প্রথা, রক্ষণশীল মনোভাব, অর্থনৈতিক নির্ভরতা, নিরক্ষরতা, নারী-পুরুষ বৈষম্য একত্রে এই সবকিছুই দায়ী। একমাত্র দক্ষ এবং কার্যকরী সরকারি পদক্ষেপই।  
প্রিয় পাঠক
আইনি নানা প্রশ্ন ও পরামর্শ পেতে লিখুন— আইনি পরামর্শ,
মহিলা অঙ্গন, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা। ই-মেইলও করতে
পারেন- mohilaongon@gmail.com
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts