হঠাত্ করে দেশে সন্দেহজনক লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে গেছে। গত ডিসেম্বর থেকে
জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্দেহজনক লেনদেনের
পরিমাণ তিন শতাধিক। মানিলন্ডারিং, চোরাচালান, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও অন্যান্য
আর্থিক অপরাধ দমনের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের বৈঠক গতকাল বাংলাদেশ
ব্যাংকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্য বিভিন্ন
মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
(এনবিআর), পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড
একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বিভিন্ন বাণিজ্যিক
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। টাস্কফোর্সের
প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংক হওয়ায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের
ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজি হাসান।
বৈঠকে জানানো হয়, গত
ডিসেম্বর-জানুয়ারি সময়ে ৩০০টিরও বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্ট (এসটিআর)
করেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক
বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে এসটিআর সংখ্যা ৬১৯টি। সে হিসাবে
প্রতি দুই মাসে এসটিআর সংখ্যা ১০৩টি। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন বন্ধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো
সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে ওই বৈঠকে। তবে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিটি ঘটনাই
মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন হয়েছে তা মনে করছে না কেন্দ্রীয়
ব্যাংক।