ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমভিত্তিক ওয়েবভিত্তিক এ স্টিক দিয়ে যেমন কম্পিউটার চলবে, তেমনি ব্যবহার করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। পুরো পদ্ধতিতে ফাইল রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ক্লাউডে।
এর আগে বাজারে আসার পরই বেশ জনপ্রিয়তা পায় ক্রোমবুকস। বিশ্বখ্যাত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রোমভিত্তিক ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ক্রোমবুকস বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর এর বিক্রি হবে ৮০ লাখ এবং ২০১৮ সালের মধ্যে তা ১ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
ক্রোমবিটস স্টিকটি গুগল তাইওয়ানের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা আসুসের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি বছরের শেষ দিকে যাতে এ স্টিক ১০০ ডলারের কমে পাওয়া যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে গুগল। গত জানুয়ারি মাসে ইন্টেলও একই ধরনের কম্পিউটার স্টিক বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেয়।
ডেভিস মারফি গ্রুপের প্রযুক্তি বিশ্লেষক ক্রিস গ্রিন বলেন, মানুষ বর্তমানে বড় কম্পিউটারের চেয়ে ছোট অনেকটা ইন্টারনেট মডেমের মতো কম্পিউটারকেই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখছে, যা বহনযোগ্য এবং চাইলে যেকোনো যন্ত্রে লাগিয়ে ওয়েবসাইট দেখাসহ নানা কাজ করতে পারে। আর সে বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন উদ্যোগ।
এ স্টিকের পাশাপাশি ১৪৯ ডলারের বিশেষ ক্রোমবুক ল্যাপটপও বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এর আগে মাইক্রোসফট সারফেস থ্রি ল্যাপটপ ৪৯৯ ডলারে বাজারে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের কথা মাথায় রেখেই গুগল এবং মাইক্রোসফট কম দামের ল্যাপটপ তৈরির উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে নতুন এ ল্যাপটপগুলো বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।