Lifestyle news - মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি ও লক্ষণ

প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে ওরাল ক্যানসার সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেলেই এর চিকিৎসা ও নিরাময় খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। ছবিটি প্রতীকী।
ঠোঁট, জিব, গাল, তালু, সাইনাস কিংবা গলার ভেতরে ক্যানসারকে ওরাল ক্যানসার বা মুখের ক্যানসার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে এটা সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। কিন্তু এই ক্যানসার দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেলেই এর চিকিৎসা ও নিরাময় খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। ওরাল ক্যানসারের ঝুঁকি ও লক্ষণ জানতে পড়ুন জি নিউজ অবলম্বনে এই প্রতিবেদন।

লক্ষণ

ত্বকে ক্ষত দেখা যাওয়া, ঠোঁটে লাম্প বা আলসার, মাড়ি বা মুখের ভেতরে অন্য কোথাও এমন ক্ষত হওয়া। খাবার গিলতে বা চিবানোতে সমস্যা হওয়া কিংবা কথা বলতে কষ্ট হওয়া। মুখের ভেতর বা জিবে ব্যথা হওয়া। মুখের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত রক্ত ঝরা। এগুলো সবই ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তবে অন্য কোনো কারণে এসব হচ্ছে নাকি ক্যানসারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, সেটা নিশ্চিত হতে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

ঝুঁকি

খুব বেশি মাত্রায় তামাকজাত দ্রব্য সেবন, অ্যালকোহলে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি এবং দীর্ঘসময় ধরে সূর্যের আলোয় থাকা থেকেও এমন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এ ছাড়া যৌন আচরণ থেকে সংক্রামিত হিউম্যান পালিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) কারণেও ওরাল ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ যৌন আচরণের কারণে এই এইচপিভি সংক্রমণ ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

প্রতিরোধে সতর্কতা

তামাক সেবন না করা: ধূমপান করা বা তামাক-জর্দা দিয়ে পান চিবানোর অভ্যাস থাকলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে দ্রুত এই অভ্যাস ছাড়ুন। ওরাল ক্যানসারের কারণগুলোর মধ্যে সিগারেট-পানসহ নানা তামাকজাত দ্রব্যের আসক্তি সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটা।

অ্যালকোহল ছাড়ুন: মদ-বিয়ারসহ নানা ধরনের অ্যালকোহল পানের আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করুন। নিয়মিত বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল পান সব সময়ই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, অ্যালকোহলে আসক্তি আছে এমন মানুষের ক্যানসার ঝুঁকি যাঁরা অ্যালকোহল সেবন করেন না, তাঁদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি।

সরাসরি সূর্যের আলো: যদি নিয়মিতই বেশি সময় ধরে সরাসরি সূর্যের আলোয় থাকতে হয়, তাহলে অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। এসব ক্ষেত্রে লিপ বাম বা লিপ গ্লস ব্যবহার করলে ঠোঁট সুরক্ষা করে ঠোঁটের ক্যানসার প্রতিরোধে সতর্ক হতে পারেন।

দাঁতের সুরক্ষা: নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিন। নিয়মিত দাঁত মাজা, মুখ পরিষ্কার রাখা শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্যই জরুরি। বছরে অন্তত দুবার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁত এবং মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি পরীক্ষা করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

ব্যায়াম ও শরীরচর্চা: নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা এবং ব্যায়াম করা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। আপনার শরীর সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হোন। এটা আপনাকে ক্যানসারসহ নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

সবজি ও ফল খান: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর সবজি ও ফল থাকা জরুরি। সবুজ-লাল-হলুদ-বেগুনিসহ নানা রঙের সবজি ও ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ক্যানসারসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts