বর্তমান
যুগ প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে
ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবহার। টেলিভিশন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, এয়ারকন্ডিশনার,
মোবাইলসহ নানা ইলেকট্রনিক পণ্য ছাড়া এখন দৈনন্দিন জীবন কল্পনাও করা যায়
না। দিন দিন এসব পণ্যের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি এই খাতে বাড়ছে চাকরির
সুযোগ। এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে এখানে আছে চাকরির
সম্ভাবনা অনেক। ইলেকট্রনিক পণ্যের উৎপাদন, বিক্রয় ও বিপণন এবং
বিক্রয়-পরবর্তী সেবা—এসব ক্ষেত্রে রয়েছে চাকরির সুযোগ।
এসকোয়ার ইলেকট্রনিকসের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স) জাহিদুল হাসান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু দিন দিন গরমের প্রকোপ বাড়ছে, তাই এসি ও ফ্রিজের চাহিদা সব সময় থাকবে। তাই এই শিল্পে দক্ষ জনবলের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এখানে কাজ করার সুযোগ অনেক বেশি।
জাহিদুল বলেন, এই শিল্পে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়, তেমনি অভিজ্ঞতারও প্রাধান্য রয়েছে। এখানে টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল—দুই ধরনের লোকবলই নিয়োগ দেওয়া হয়। করপোরেট বা ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজ পরিচালনা করার জন্য নন-টেকনিক্যাল এবং বিক্রয়-পরবর্তী সেবা দিতে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিক্রয়-পরবর্তী সেবা প্রদান আউটলেট বা কাস্টমার কেয়ারগুলোতে বিক্রীত পণ্যের সমস্যার সমাধান করা হয়। এ ছাড়া ক্রেতাদের বিভিন্ন টেকনিক্যাল প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হয়। সাধারণত স্নাতক পাস ইঞ্জিনিয়ারদেরই চাহিদা থাকে। তবে অভিজ্ঞতা থাকলে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। তা ছাড়া এই ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য করার জন্য কিছু জনবল থাকে। কমপক্ষে এসএসসি পাস করা লোকদের এ ক্ষেত্রে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সিঙ্গার ইলেকট্রনিকসের সহযোগী মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, টেকনিক্যালের পাশাপাশি বেশি প্রয়োজন হয় নন-টেকনিক্যাল লোকবলের। এই পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া হয় বিক্রয় ও বিপণনে। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পাশাপাশি নতুনদেরও নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুনদের ক্ষেত্রে বিবিএ বা এমবিএ সম্পন্ন করেছেন এমন ব্যক্তিদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া হিসাবরক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কমার্শিয়াল ও ভ্যাট অফিসার—এ বিভাগগুলোতেও কিছুসংখ্যক লোকবল প্রয়োজন হয়। হিসাবরক্ষণের ক্ষেত্রে সাধারণত কস্ট ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি, ফিন্যান্স বা হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন এমন লোকদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অন্য বিভাগগুলোতে একই বিষয়ে পড়াশোনা করছেন এমন ব্যক্তিদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন চাকরির পোর্টালগুলোতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষ ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে দেশে ইলেকট্রনিক পণ্যের পরিবেশক সনি র্যাং গস লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য পন্থা অবলম্বন করেন। সনি র্যাং গসের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) গ্রুপ ক্যাপ্টেন শিবলী ফারুক জানান, সাধারণত বিভিন্ন মেলার আগে তাঁদের স্টলের জন্য কিছু কর্মীকে নিয়োগ দেয়। মেলায় তাঁদের এক বা দুই মাসের কাজের ওপর ভিত্তি করে তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়। সাধারণত প্রশাসনিক কাজ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিক্রয় ও বিপণনসংক্রান্ত কাজে এভাবে লোক নিয়োগ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
এ ধরনের লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে কমপক্ষে বিবিএ ডিগ্রি থাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন শিবলী ফারুক। তবে দেশজুড়ে সনি র্যাং গসের এক শটির বেশি বিক্রয়-পরবর্তী সেবা প্রদানের আউটলেটে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগ করা হয়। শিবলী ফারুক বলেন, ‘বিক্রয়-পরবর্তী সেবা যেহেতু টেকনিক্যাল, সেহেতু আমরা অভিজ্ঞতাটাকেই গুরুত্ব দিই। সাধারণত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হয়।’
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান জানান, ইলেকট্রনিকস কোম্পানিগুলোতে সবচেয়ে বেশি লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয় মূলত কোম্পানির শোরুমগুলোতে। এখানে ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার ও বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়। শোরুমের আকারের ওপর নির্ভর করে বিক্রয় প্রতিনিধির সংখ্যা। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে বিক্রয় প্রতিনিধিদের নিয়োগ-পরবর্তী ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করা হয়।
ইলেকট্রনিকস শিল্পে কাজের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিক্রয় প্রতিনিধিদের স্মার্ট হতে হয়। তাঁদের বাচনভঙ্গি হতে হয় সুন্দর, থাকতে হয় ভালো যোগাযোগের ক্ষমতা এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার ক্ষমতা। তবেই এ শিল্পের চাকরিতে উন্নতি করা সম্ভব বলে মনে করেন এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এসকোয়ার ইলেকট্রনিকসের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স) জাহিদুল হাসান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু দিন দিন গরমের প্রকোপ বাড়ছে, তাই এসি ও ফ্রিজের চাহিদা সব সময় থাকবে। তাই এই শিল্পে দক্ষ জনবলের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এখানে কাজ করার সুযোগ অনেক বেশি।
জাহিদুল বলেন, এই শিল্পে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়, তেমনি অভিজ্ঞতারও প্রাধান্য রয়েছে। এখানে টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল—দুই ধরনের লোকবলই নিয়োগ দেওয়া হয়। করপোরেট বা ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজ পরিচালনা করার জন্য নন-টেকনিক্যাল এবং বিক্রয়-পরবর্তী সেবা দিতে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিক্রয়-পরবর্তী সেবা প্রদান আউটলেট বা কাস্টমার কেয়ারগুলোতে বিক্রীত পণ্যের সমস্যার সমাধান করা হয়। এ ছাড়া ক্রেতাদের বিভিন্ন টেকনিক্যাল প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হয়। সাধারণত স্নাতক পাস ইঞ্জিনিয়ারদেরই চাহিদা থাকে। তবে অভিজ্ঞতা থাকলে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। তা ছাড়া এই ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য করার জন্য কিছু জনবল থাকে। কমপক্ষে এসএসসি পাস করা লোকদের এ ক্ষেত্রে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সিঙ্গার ইলেকট্রনিকসের সহযোগী মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, টেকনিক্যালের পাশাপাশি বেশি প্রয়োজন হয় নন-টেকনিক্যাল লোকবলের। এই পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া হয় বিক্রয় ও বিপণনে। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পাশাপাশি নতুনদেরও নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুনদের ক্ষেত্রে বিবিএ বা এমবিএ সম্পন্ন করেছেন এমন ব্যক্তিদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া হিসাবরক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কমার্শিয়াল ও ভ্যাট অফিসার—এ বিভাগগুলোতেও কিছুসংখ্যক লোকবল প্রয়োজন হয়। হিসাবরক্ষণের ক্ষেত্রে সাধারণত কস্ট ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি, ফিন্যান্স বা হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন এমন লোকদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অন্য বিভাগগুলোতে একই বিষয়ে পড়াশোনা করছেন এমন ব্যক্তিদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন চাকরির পোর্টালগুলোতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষ ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে দেশে ইলেকট্রনিক পণ্যের পরিবেশক সনি র্যাং গস লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য পন্থা অবলম্বন করেন। সনি র্যাং গসের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) গ্রুপ ক্যাপ্টেন শিবলী ফারুক জানান, সাধারণত বিভিন্ন মেলার আগে তাঁদের স্টলের জন্য কিছু কর্মীকে নিয়োগ দেয়। মেলায় তাঁদের এক বা দুই মাসের কাজের ওপর ভিত্তি করে তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়। সাধারণত প্রশাসনিক কাজ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিক্রয় ও বিপণনসংক্রান্ত কাজে এভাবে লোক নিয়োগ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
এ ধরনের লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে কমপক্ষে বিবিএ ডিগ্রি থাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন শিবলী ফারুক। তবে দেশজুড়ে সনি র্যাং গসের এক শটির বেশি বিক্রয়-পরবর্তী সেবা প্রদানের আউটলেটে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগ করা হয়। শিবলী ফারুক বলেন, ‘বিক্রয়-পরবর্তী সেবা যেহেতু টেকনিক্যাল, সেহেতু আমরা অভিজ্ঞতাটাকেই গুরুত্ব দিই। সাধারণত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হয়।’
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান জানান, ইলেকট্রনিকস কোম্পানিগুলোতে সবচেয়ে বেশি লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয় মূলত কোম্পানির শোরুমগুলোতে। এখানে ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার ও বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়। শোরুমের আকারের ওপর নির্ভর করে বিক্রয় প্রতিনিধির সংখ্যা। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে বিক্রয় প্রতিনিধিদের নিয়োগ-পরবর্তী ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করা হয়।
ইলেকট্রনিকস শিল্পে কাজের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিক্রয় প্রতিনিধিদের স্মার্ট হতে হয়। তাঁদের বাচনভঙ্গি হতে হয় সুন্দর, থাকতে হয় ভালো যোগাযোগের ক্ষমতা এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার ক্ষমতা। তবেই এ শিল্পের চাকরিতে উন্নতি করা সম্ভব বলে মনে করেন এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।