দু-তিনটি
ফোকলা দাঁতের শিশুর নির্মল হাসি কার না ভালো লাগে? এই হাসি অমলিন রাখতেই
শিশুর দাঁতগুলো যেন সুস্থ থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর দাঁতের
যত্নটা শুরুই হয় দুধদাঁতের মধ্য দিয়ে। সাধারণত নবজাতকের ছয় মাস থেকে আট
মাসের মধ্যে দুধদাঁত দেখা যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে কিছুদিন দেরি হতে পারে।
পরবর্তী সময়ে স্থায়ী ভালো দাঁত পেতে যত্ন নিতে হবে দুধদাঁতের।
শিশুর দাঁতের যত্নআত্তি ও সুস্থতা নিয়ে কথা বলেছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের দন্ত বিভাগের প্রধান অরূপ রতন চৌধুরী। তিনি বললেন, ‘শিশুর দাঁতের যত্ন বলতে আমরা বুঝি, জন্মের ছয় মাস পর যে দাঁত ওঠে। আসলে শিশুর দাঁতের সঠিক পুষ্টি ও যত্নের জন্য মা যখন গর্ভবতী থাকেন, তখন থেকেই এর যত্নের প্রয়োজন। শিশুর সুস্থ দাঁতের জন্য মাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মনোযোগ দিতে হবে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের দিকে। গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি শিশুর দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করে অনেকটা। আর জন্মের পরের যত্নটা তো অবশ্যই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যত্নটা হবে দাঁত ও মাড়ির। প্রথম দিকে প্রতিবার দুধ বা অন্য কিছু খাওয়ার পর পরিষ্কার আঙুল বা পাতলা কাপড় দিয়ে মাড়ি ও দুধদাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে। হাত ধুয়ে মাড়ি মালিশ করে দিতে হবে। যদি সম্ভব হয় শিশুকে বোতলে দুধ খাওয়ানো উপেক্ষা করতে হবে।’
প্রথম দাঁত ওঠার সময় শিশুরা সে সময় নানা অসুস্থতায় ভুগতে পারে। এসব নিয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব মোতানাব্বি। তিনি জানান, দাঁত ওঠার সময় শিশু অসুস্থ হবেই, এমন কোনো কথা নেই। তবে বেশির ভাগ শিশু এই সময়টায় অসুস্থ হয়, কেননা মাড়ি শক্ত হওয়া এবং অস্বস্তি ভাবের জন্য শিশু হাতের নাগালে যা পায়, তা-ই মুখে দিতে চেষ্টা করে। এর ফলে শিশু পেটের নানা সমস্যায় ভোগে। তবে তা দাঁত ওঠার সময়ই হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। মূলত শিশু হাতের নাগালে যা পায়, তা মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে এমনটা হয়।
শিশুর দাঁতের যত্নআত্তি ও সুস্থতা নিয়ে কথা বলেছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের দন্ত বিভাগের প্রধান অরূপ রতন চৌধুরী। তিনি বললেন, ‘শিশুর দাঁতের যত্ন বলতে আমরা বুঝি, জন্মের ছয় মাস পর যে দাঁত ওঠে। আসলে শিশুর দাঁতের সঠিক পুষ্টি ও যত্নের জন্য মা যখন গর্ভবতী থাকেন, তখন থেকেই এর যত্নের প্রয়োজন। শিশুর সুস্থ দাঁতের জন্য মাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মনোযোগ দিতে হবে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের দিকে। গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি শিশুর দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করে অনেকটা। আর জন্মের পরের যত্নটা তো অবশ্যই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যত্নটা হবে দাঁত ও মাড়ির। প্রথম দিকে প্রতিবার দুধ বা অন্য কিছু খাওয়ার পর পরিষ্কার আঙুল বা পাতলা কাপড় দিয়ে মাড়ি ও দুধদাঁত পরিষ্কার করে দিতে হবে। হাত ধুয়ে মাড়ি মালিশ করে দিতে হবে। যদি সম্ভব হয় শিশুকে বোতলে দুধ খাওয়ানো উপেক্ষা করতে হবে।’
প্রথম দাঁত ওঠার সময় শিশুরা সে সময় নানা অসুস্থতায় ভুগতে পারে। এসব নিয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব মোতানাব্বি। তিনি জানান, দাঁত ওঠার সময় শিশু অসুস্থ হবেই, এমন কোনো কথা নেই। তবে বেশির ভাগ শিশু এই সময়টায় অসুস্থ হয়, কেননা মাড়ি শক্ত হওয়া এবং অস্বস্তি ভাবের জন্য শিশু হাতের নাগালে যা পায়, তা-ই মুখে দিতে চেষ্টা করে। এর ফলে শিশু পেটের নানা সমস্যায় ভোগে। তবে তা দাঁত ওঠার সময়ই হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। মূলত শিশু হাতের নাগালে যা পায়, তা মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে এমনটা হয়।
মাহবুব মোতানাব্বি আরও জানালেন, শিশুর যখন দাঁত উঠতে শুরু
করে, তখন তার হাতে এক টুকরা আপেল কিংবা অন্য যেকোনো ফল কেটে দিতে পারেন।
এতে কামড়ালে শিশুর দাঁত ধারালো হবে এবং সে অন্য কিছু কামড়ানো থেকে বিরত
থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে সে যেন হাতের নাগালে যা পায়, তা-ই কামড়ানো শুরু
না করে। হাড় বা শক্ত জিনিস তার নাগালের বাইরে রাখুন। এ সময় মাড়ি
কিড়মিড়, অস্বস্তি ভাব বা ব্যথা হতে পারে। দাঁতে তীব্র ব্যথা হলে দন্ত
চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। শিশুর দাঁত উঠতে শুরু
করলে অতিরিক্ত লালা ঝরতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। পরবর্তীকালে শিশুর
সুস্থ দাঁতের জন্য বোতলে খাবার খাওয়ানো পরিহার করতে হবে এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ
খাবার খাওয়াতে হবে।
দুধদাঁতগুলো ছয় বছর থেকে আট বছরের মধ্যে পড়ে যায়। তারপর
স্থায়ী দাঁত ওঠে। অরূপ রতন চৌধুরী শিশুর দাঁতের পরিচর্যা নিয়ে নানা
পরামর্শ দিয়েছেন।
l শিশুর বয়স দেড় থেকে দুই বছর হলেই তাকে দাঁত ব্রাশ করা
শেখাতে হবে। ছয়-সাত বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ও রাতে
দাঁত ব্রাশ করুন। শিশুর ব্যবহারের উপযোগী নরম ছোট ব্রাশ ব্যবহার করুন।
l ছোটদের দাঁতের প্রধান শত্রু চকলেট, চুইংগাম।
মিষ্টিজাতীয় এসব খাবারে দাঁত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, মাড়ি ছিদ্র হয়ে যায়।
তাই এসব পরিহার করতে হবে। প্রতিবার মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণের পর দাঁত
পরিষ্কার করা উচিত।
l দাঁতের যত্নে ফলমূল, শাকসবজি, পর্যাপ্ত পানি ও আঁশযুক্ত
খাবার খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কেমিক্যাল, সুগন্ধি ও
মাউথওয়াশ ব্যবহার না করা ভালো। এতে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
l দুধদাঁত নড়ে গেলে তা টেনে তোলা উচিত নয়। হালকা নড়লে যদি উঠে যায় তো ভালো, নয়তো দন্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।
l শিশুর বয়স এক বছর হলেই তাকে নিয়মিত দাঁতের ডাক্তার দেখাতে হবে। এভাবে বছরে অন্তত দুবার ডাক্তার দেখানো উচিত।