চৈত্রের কাঠফাটা রোদ। হাঁসফাঁস গরম। এ রকম
আবহাওয়ায় মানুষের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
ডিহাইড্রেশন শব্দটা দিয়ে অবশ্য কেবল পানি নয়, লবণশূন্যতাও বোঝায়। আমাদের
দেহের পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। আর সে জন্য এই
গরমে কী কী করণীয়—জেনে নেওয়া যাক।
পানি কেন দরকার?
আমাদের শরীরের ৬০ শতাংশই পানি। আবার মস্তিষ্কের প্রায় ৮০ শতাংশ পানি দিয়ে গঠিত। এই পানি সাধারণত শিরা-উপশিরার ভেতর ও বাহির—এই দুই জায়গায় থাকে। আর সেখানে পানি ও লবণের ভারসাম্য নষ্ট হলেই ঘটে নানা বিপত্তি। বিশেষ করে, রক্তচাপ ঠিক রাখা এবং মস্তিষ্ক, কিডনি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য পানির ভারসাম্য জরুরি। একই সঙ্গে প্রস্রাব, মল, ঘাম ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরের পানি বের হয়ে যায়। এই পানির ঘাটতি আবার পূরণ করতে হয়। খুব গরমে এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমে এই পানি বের হওয়ার হার অনেক বেড়ে যায়। তাই গরমে পানি লাগেও বেশি।
পানিশূন্যতা হয়েছে?
শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে—এটা বোঝার জন্য মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে আছে পিপাসাকেন্দ্র। সেখান থেকেই পানি পান করা দরকার জানিয়ে তৃষ্ণার অনুভূতি বা সংকেত আসে। এ ছাড়া যখন পানিশূন্যতা দেখা দেয়, তখন আপনার মাথাব্যথা হতে পারে, হাত-পা কামড়াতে পারে, গলা-মুখ বারবার শুকিয়ে যেতে পারে। প্রস্রাবের পরিমাণ যাবে কমে অথবা রং গাঢ় হয়ে যাবে। অবস্থা আরও খারাপ হলে চোখ গর্তে ঢুকে যেতে পারে, ত্বক একেবারে শুকনো খটখটে হয়ে যেতে পারে, প্রস্রাবও বন্ধ হয়ে যেতে পারে; এমনকি উল্টোপাল্টা কথাও বলতে পারেন অথবা চেতনা লুপ্ত হতে পারে। ছোট শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য বিষয়টি জরুরি—কেননা অনেক সময় পিপাসার ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলা তাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না।
চাই সতর্কতা
এই গরমে বাইরে কাজ করার সময় পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন; বিশেষ করে শিশুরা স্কুলে খেলাধুলার সময় এ সমস্যায় পড়তে পারে। তাই সাবধানতা জরুরি। পানির বিকল্প মূলত পানিই। পানিশূন্যতা দূর করতে বিশুদ্ধ পানি পান করাই সবচেয়ে উত্তম। শিশুদের স্কুলব্যাগে অন্যান্য পানীয় না দিয়ে¯ পানির বোতল ভরে দিন ও পরে লক্ষ করুন সে সবটা শেষ করেছে কি না। গবেষকেরা বলছেন, পানিশূন্যতা রোধে এনার্জি ড্রিংকস, কোমল পানীয়, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়—কোনোটাই কার্যকর নয়।
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
গরমে পানিশূন্যতা
লবণযুক্ত স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে, তবে অকারণে নয়। অনেক বেশি ঘাম হলে বা বমি ও ডায়রিয়ার পর স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পাতলা সুতি ও হালকা রঙের কাপড় পরুন
পানি কেন দরকার?
আমাদের শরীরের ৬০ শতাংশই পানি। আবার মস্তিষ্কের প্রায় ৮০ শতাংশ পানি দিয়ে গঠিত। এই পানি সাধারণত শিরা-উপশিরার ভেতর ও বাহির—এই দুই জায়গায় থাকে। আর সেখানে পানি ও লবণের ভারসাম্য নষ্ট হলেই ঘটে নানা বিপত্তি। বিশেষ করে, রক্তচাপ ঠিক রাখা এবং মস্তিষ্ক, কিডনি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য পানির ভারসাম্য জরুরি। একই সঙ্গে প্রস্রাব, মল, ঘাম ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরের পানি বের হয়ে যায়। এই পানির ঘাটতি আবার পূরণ করতে হয়। খুব গরমে এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমে এই পানি বের হওয়ার হার অনেক বেড়ে যায়। তাই গরমে পানি লাগেও বেশি।
পানিশূন্যতা হয়েছে?
শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে—এটা বোঝার জন্য মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে আছে পিপাসাকেন্দ্র। সেখান থেকেই পানি পান করা দরকার জানিয়ে তৃষ্ণার অনুভূতি বা সংকেত আসে। এ ছাড়া যখন পানিশূন্যতা দেখা দেয়, তখন আপনার মাথাব্যথা হতে পারে, হাত-পা কামড়াতে পারে, গলা-মুখ বারবার শুকিয়ে যেতে পারে। প্রস্রাবের পরিমাণ যাবে কমে অথবা রং গাঢ় হয়ে যাবে। অবস্থা আরও খারাপ হলে চোখ গর্তে ঢুকে যেতে পারে, ত্বক একেবারে শুকনো খটখটে হয়ে যেতে পারে, প্রস্রাবও বন্ধ হয়ে যেতে পারে; এমনকি উল্টোপাল্টা কথাও বলতে পারেন অথবা চেতনা লুপ্ত হতে পারে। ছোট শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য বিষয়টি জরুরি—কেননা অনেক সময় পিপাসার ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলা তাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না।
চাই সতর্কতা
এই গরমে বাইরে কাজ করার সময় পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন; বিশেষ করে শিশুরা স্কুলে খেলাধুলার সময় এ সমস্যায় পড়তে পারে। তাই সাবধানতা জরুরি। পানির বিকল্প মূলত পানিই। পানিশূন্যতা দূর করতে বিশুদ্ধ পানি পান করাই সবচেয়ে উত্তম। শিশুদের স্কুলব্যাগে অন্যান্য পানীয় না দিয়ে¯ পানির বোতল ভরে দিন ও পরে লক্ষ করুন সে সবটা শেষ করেছে কি না। গবেষকেরা বলছেন, পানিশূন্যতা রোধে এনার্জি ড্রিংকস, কোমল পানীয়, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়—কোনোটাই কার্যকর নয়।
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
গরমে পানিশূন্যতা
লবণযুক্ত স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে, তবে অকারণে নয়। অনেক বেশি ঘাম হলে বা বমি ও ডায়রিয়ার পর স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পাতলা সুতি ও হালকা রঙের কাপড় পরুন